টেস্ট ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরেই অনিয়মিত সাকিব আল হাসান। তাইজুল ইসলাম সেখানে টেস্টে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন বার বার। আড়াল থেকে এখন সাদা পোশাকে বাংলাদেশের মূল স্পিনারই হয়ে উঠেছেন এই বাঁ-হাতি। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ তো আর এমনি এমনিই মনে করেন না যে সাকিব খেলুক আর না-ই খেলুক, তাইজুল বাংলাদেশের জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন।
বুধবার সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাইজুল নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার কল্যাণে লিড পাওয়ার আশা দেখছে বাংলাদেশ। হাতে মাত্র ২ উইকেট নিয়ে এখনও নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে আছে ৪৪ রানে। টম লাথামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুলই। মাঝে ড্যারিল মিচেলকে আউট করার পর শেষ বিকালেও ঝলক দেখান তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা কেইন উইলিয়ামসনকে দারুণ ডেলিভারিতে করেন বোল্ড। ইশ সোধিকে দেননি রানের খাতা খুলতে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হেরাথ। লাইন-লেংথে আঁটসাঁট থাকাটাই মুগ্ধ করে এই ম্যাচ দিয়ে বিদায় নিতে যাওয়া শ্রীলঙ্কান কোচকে। সাকিব খেললে তাইজুলের ভূমিকা একরকম, না খেললে অন্যরকম— টেস্টে এরকম ঘটনাই কি ঘটে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাকিব খেলুক আর না-ই খেলুক, তাইজুল আমাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। সে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক— দুটি ভূমিকাই পালন করে থাকে। সে সবসময়ই তার লাইন ও লেংথের ওপর নির্ভর করে।’
তাইজুলের সাফল্য পাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আনন্দের ঝিলিকই ফুটে ওঠে হেরাথের মুখে। লঙ্কান এই বাঁ-হাতি স্পিন কিংবদন্তির মতে, ‘তাইজুল সব সময়ই বোলিং আক্রমণকে সাহায্য করে। সে আমাদের মূল স্পিনার। সে নিউজিল্যান্ডের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে। সে অনেক অ্যাঙ্গেল তৈরি করেছে। তার দারুণ অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতা আছে। আমি খুব খুশি যে সে আজকে ৪ উইকেট নিয়েছে।’
হেরাথের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে যাত্রা আপাতত থেমে যাচ্ছে এখানেই। আজ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই তার বিদায় নেয়ার কথা। ২০২১ সালের জুনে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কাজ করলেন দুই বছরের বেশি সময়। সেই কাজ বাংলাদেশের স্পিনারদের সাহায্য করবে বলে মনে করেন হেরাথ, ‘আমি কোচ হিসেবে অনেক কিছুই শিখেছি। আমি ছেলেদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছি। আমি নিশ্চিত, তারা সেটা তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পারবে।’
স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি হেরাথ প্রশাংসায় ভাসালেন দেশের পেসারদেরও, ‘ক্রিকেট দলীয় খেলা। তাই কম্বিনেশন এবং ব্যালেন্স জরুরি। আমাদের দারুণ ফাস্ট বোলিং অ্যাটাক আছে। স্পিনাররা কীভাবে ভূমিকা রাখছে সেদিকেও নজর রাখতে হয়। পুরোটাই বোঝাপড়া আর সচেতনতার ব্যাপার।’
এদিকে হেরাথ চলে গেলে তার জায়গায় নতুন কেউ আসবেন। নতুন সেই কোচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্পিনারদের টোটকা দিয়েছেন হেরাথ, ‘আমি ছেলেদের সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। আসল ব্যাপার হলোÑ নিজের দায়িত্ব বুঝতে পারা, নিজের শক্তির জায়গা চিহ্নিত করতে পারা। সেটা বুঝতে পারলেই নতুন কোচের অধীনে ছেলেরা ভালো করবে।’
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
টেস্ট ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরেই অনিয়মিত সাকিব আল হাসান। তাইজুল ইসলাম সেখানে টেস্টে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন বার বার। আড়াল থেকে এখন সাদা পোশাকে বাংলাদেশের মূল স্পিনারই হয়ে উঠেছেন এই বাঁ-হাতি। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ তো আর এমনি এমনিই মনে করেন না যে সাকিব খেলুক আর না-ই খেলুক, তাইজুল বাংলাদেশের জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন।
বুধবার সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাইজুল নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার কল্যাণে লিড পাওয়ার আশা দেখছে বাংলাদেশ। হাতে মাত্র ২ উইকেট নিয়ে এখনও নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে আছে ৪৪ রানে। টম লাথামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুলই। মাঝে ড্যারিল মিচেলকে আউট করার পর শেষ বিকালেও ঝলক দেখান তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা কেইন উইলিয়ামসনকে দারুণ ডেলিভারিতে করেন বোল্ড। ইশ সোধিকে দেননি রানের খাতা খুলতে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হেরাথ। লাইন-লেংথে আঁটসাঁট থাকাটাই মুগ্ধ করে এই ম্যাচ দিয়ে বিদায় নিতে যাওয়া শ্রীলঙ্কান কোচকে। সাকিব খেললে তাইজুলের ভূমিকা একরকম, না খেললে অন্যরকম— টেস্টে এরকম ঘটনাই কি ঘটে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাকিব খেলুক আর না-ই খেলুক, তাইজুল আমাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। সে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক— দুটি ভূমিকাই পালন করে থাকে। সে সবসময়ই তার লাইন ও লেংথের ওপর নির্ভর করে।’
তাইজুলের সাফল্য পাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আনন্দের ঝিলিকই ফুটে ওঠে হেরাথের মুখে। লঙ্কান এই বাঁ-হাতি স্পিন কিংবদন্তির মতে, ‘তাইজুল সব সময়ই বোলিং আক্রমণকে সাহায্য করে। সে আমাদের মূল স্পিনার। সে নিউজিল্যান্ডের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে। সে অনেক অ্যাঙ্গেল তৈরি করেছে। তার দারুণ অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতা আছে। আমি খুব খুশি যে সে আজকে ৪ উইকেট নিয়েছে।’
হেরাথের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে যাত্রা আপাতত থেমে যাচ্ছে এখানেই। আজ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই তার বিদায় নেয়ার কথা। ২০২১ সালের জুনে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কাজ করলেন দুই বছরের বেশি সময়। সেই কাজ বাংলাদেশের স্পিনারদের সাহায্য করবে বলে মনে করেন হেরাথ, ‘আমি কোচ হিসেবে অনেক কিছুই শিখেছি। আমি ছেলেদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছি। আমি নিশ্চিত, তারা সেটা তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পারবে।’
স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি হেরাথ প্রশাংসায় ভাসালেন দেশের পেসারদেরও, ‘ক্রিকেট দলীয় খেলা। তাই কম্বিনেশন এবং ব্যালেন্স জরুরি। আমাদের দারুণ ফাস্ট বোলিং অ্যাটাক আছে। স্পিনাররা কীভাবে ভূমিকা রাখছে সেদিকেও নজর রাখতে হয়। পুরোটাই বোঝাপড়া আর সচেতনতার ব্যাপার।’
এদিকে হেরাথ চলে গেলে তার জায়গায় নতুন কেউ আসবেন। নতুন সেই কোচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্পিনারদের টোটকা দিয়েছেন হেরাথ, ‘আমি ছেলেদের সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। আসল ব্যাপার হলোÑ নিজের দায়িত্ব বুঝতে পারা, নিজের শক্তির জায়গা চিহ্নিত করতে পারা। সেটা বুঝতে পারলেই নতুন কোচের অধীনে ছেলেরা ভালো করবে।’