পরিসংখ্যানের খাতায় সব জয়ের মানই হয়তো সমান, তবে কিছু জয়ের ওজন চট করেই আলাদা করে ফেলা যায়। টেস্ট ম্যাচ জেতা এমনিতেই কঠিন কাজ, সেটা যদি হয় আবার কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতে তাই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যাচ সেরা তাইজুল ইসলাম।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কন্ডিশন প্রেক্ষাপটে কিউইদের শেষ তিন উইকেট তুলে নেয়া ছিল সময়ের ব্যাপার। প্রথম ঘণ্টার পর সেই কাজও হয়ে যায়। দেড়শ’ রানের বড় ব্যবধানে জিতে উল্লাস করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে কিউই বধের নায়ক তাইজুল। জয়ের পর মাঠেই তাকে ঘিরে ধরে গণমাধ্যমের ক্যামেরা। তাইজুল বুনো উদযাপনে কমতি রাখেননি মাঠে, ড্রেসিংরুমেও হয়েছে উল্লাস।
ফের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তাই তার অভাব পড়ল শব্দের, ‘আপনি যখন এত বড় দলের সঙ্গে জিতবেন, এটার অনুভূতি আপনি বুঝাতে পারবেন না।’
এই টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। নেই লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামরা। তামিম ইকবালকেও এখন টেস্টে পায় না বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর শান্তদের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিলো কম। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বলে পুরো শক্তির দলই পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ এই অবস্থায় ম্যাচটা জিততে পারবে সেই আশার বাণী জোরালো ছিল না। তবে তাইজুল জানান, কিউইদের মাঠে গিয়েও জিতে আসার স্মৃতি থাকায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তারা, ‘বিগত দিনে নিউজিল্যান্ডের মতো জায়গায় তাদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল জিতেছে। তারা আমাদের কন্ডিশনে যখন এসেছে আমরা জেতার জন্যই নেমেছি।’
এই টেস্টে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পালাবদলের আরেকটা বার্তাও মিললো। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার টেস্টেও ছিলেন না সাকিব-তামিম। এবার এই দুজনের সঙ্গে নিয়মিত পারফর্মারও তিনজন ছিলেন না।
বিশেষ করে ঘরের মাঠে সাকিবের মতো তারকার অনুপস্থিতি নিয়ে সব সময়ই কথা হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দেখালো তাদের ছাড়াও ঠিকই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে নিতে পারে দল। তাইজুলের মতে কেউই সারাজীবন থাকবেন না, একটা উচ্চতা তৈরি করলে পারফর্ম করেই অন্যরা জায়গা নেবে, ‘এখানে আমি বার্তা কিংবা বার্তা না বলব না। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সারাজীবন খেলবে না। একটাই আশা থাকবে আমি যখন থাকব না আমার জায়গায় যে আসবে সে পারফরম্যান্স করেই আসবে।’
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাকিব-তামিমের ফোন পাওয়ার কথা জানান, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কালকে ফোনে কথা হয়েছিল। সাকিব ভাই নিজেই ফোন দিয়েছিলেন। তামিম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। উনার সঙ্গে আমার রেগুলার কথা হয়। উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার বড় ভাইয়ের মতো ট্রিট করি।’
এমন জয়ের পর দলের উদযাপন নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘যখন আপনি অনেক বড় কিছু পাবেন তখন উদযাপন সবসময়ই হয়। আমরা যে আজকে উদযাপন করিনি তা নয়। অবশ্যই আমরা উদযাপন করেছি, মাঠের মধ্যে বা ড্রেসিং রুমের সব জায়গাতেই। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করতেছি যেন আরও ভালো কিছু পাই।’
এর আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। ১০ উইকেট পাওয়ায় প্রেরণা আরও বাড়ল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তুলে নেয়া জয় দলের মানসিকতাকে ঠিক রাখবে। সতীর্থদেরও সমর্থন পেয়েছি।’
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
পরিসংখ্যানের খাতায় সব জয়ের মানই হয়তো সমান, তবে কিছু জয়ের ওজন চট করেই আলাদা করে ফেলা যায়। টেস্ট ম্যাচ জেতা এমনিতেই কঠিন কাজ, সেটা যদি হয় আবার কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতে তাই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যাচ সেরা তাইজুল ইসলাম।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কন্ডিশন প্রেক্ষাপটে কিউইদের শেষ তিন উইকেট তুলে নেয়া ছিল সময়ের ব্যাপার। প্রথম ঘণ্টার পর সেই কাজও হয়ে যায়। দেড়শ’ রানের বড় ব্যবধানে জিতে উল্লাস করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে কিউই বধের নায়ক তাইজুল। জয়ের পর মাঠেই তাকে ঘিরে ধরে গণমাধ্যমের ক্যামেরা। তাইজুল বুনো উদযাপনে কমতি রাখেননি মাঠে, ড্রেসিংরুমেও হয়েছে উল্লাস।
ফের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তাই তার অভাব পড়ল শব্দের, ‘আপনি যখন এত বড় দলের সঙ্গে জিতবেন, এটার অনুভূতি আপনি বুঝাতে পারবেন না।’
এই টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। নেই লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামরা। তামিম ইকবালকেও এখন টেস্টে পায় না বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর শান্তদের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিলো কম। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বলে পুরো শক্তির দলই পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ এই অবস্থায় ম্যাচটা জিততে পারবে সেই আশার বাণী জোরালো ছিল না। তবে তাইজুল জানান, কিউইদের মাঠে গিয়েও জিতে আসার স্মৃতি থাকায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তারা, ‘বিগত দিনে নিউজিল্যান্ডের মতো জায়গায় তাদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল জিতেছে। তারা আমাদের কন্ডিশনে যখন এসেছে আমরা জেতার জন্যই নেমেছি।’
এই টেস্টে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পালাবদলের আরেকটা বার্তাও মিললো। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার টেস্টেও ছিলেন না সাকিব-তামিম। এবার এই দুজনের সঙ্গে নিয়মিত পারফর্মারও তিনজন ছিলেন না।
বিশেষ করে ঘরের মাঠে সাকিবের মতো তারকার অনুপস্থিতি নিয়ে সব সময়ই কথা হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দেখালো তাদের ছাড়াও ঠিকই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে নিতে পারে দল। তাইজুলের মতে কেউই সারাজীবন থাকবেন না, একটা উচ্চতা তৈরি করলে পারফর্ম করেই অন্যরা জায়গা নেবে, ‘এখানে আমি বার্তা কিংবা বার্তা না বলব না। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সারাজীবন খেলবে না। একটাই আশা থাকবে আমি যখন থাকব না আমার জায়গায় যে আসবে সে পারফরম্যান্স করেই আসবে।’
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাকিব-তামিমের ফোন পাওয়ার কথা জানান, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কালকে ফোনে কথা হয়েছিল। সাকিব ভাই নিজেই ফোন দিয়েছিলেন। তামিম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। উনার সঙ্গে আমার রেগুলার কথা হয়। উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার বড় ভাইয়ের মতো ট্রিট করি।’
এমন জয়ের পর দলের উদযাপন নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘যখন আপনি অনেক বড় কিছু পাবেন তখন উদযাপন সবসময়ই হয়। আমরা যে আজকে উদযাপন করিনি তা নয়। অবশ্যই আমরা উদযাপন করেছি, মাঠের মধ্যে বা ড্রেসিং রুমের সব জায়গাতেই। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করতেছি যেন আরও ভালো কিছু পাই।’
এর আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ম্যাচসেরা তাইজুল বলেন, ‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। ১০ উইকেট পাওয়ায় প্রেরণা আরও বাড়ল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তুলে নেয়া জয় দলের মানসিকতাকে ঠিক রাখবে। সতীর্থদেরও সমর্থন পেয়েছি।’