বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন বিশ্বকাপ জিততে কেবল ভালো খেললেই হয় না, জটিল ও কঠিন মুহূর্তগুলোতে ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন হয়। এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল না খেললে হতাশ হবো। কারণ, বাংলাদেশের মতো এবারের আসরে আর কোনো অভিজ্ঞ দল নেই। আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে। দলের জুনিয়র যারা আছে, লিটন-তাসকিন-মিরাজ-শান্তরাও পাঁচ-সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে। এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকার পর এমন স্বপ্ন দেখা অমূলক নয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট কিছু মুহূর্তে ভালো খেলা, কঠিন মুহূর্তে ভালো ক্যাচ নেয়া; এসব খুব জরুরি।
তবে জয়ের জন্য মানসিক ব্যাপারটাতে আমরা কতখানি মানিয়ে নিতে পারবো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাংলাদেশ দল চাপে ভেঙে পড়ে, কিন্তু বড় ম্যাচে চাপকে জয় করা বেশি জরুরি। আশা করি বাংলাদেশ সেই অবস্থানে আছে।
তিনি বলেছেন, গত চার বছরে দলটিতে বড় পরিবর্তন বোলিং আক্রমণ। দারুণ একটি বোলিং অ্যাটাক এখন হয়েছে। তাসকিন, মোস্তাফিজ, এবাদত, শরিফুল, হাসানসহ সবাই ভালো করছে। সাইফউদ্দিনের ইনজুরি না হলে আরও খুশি হতাম। ব্যাটিংয়ে সবাই ভালো করছে। নির্দিষ্ট দিনে ২-১ জন ভালো করছে। বড় রান করার জন্য হয়তো বা মিডল অর্ডার, টপ অর্ডার, লেট মিডল অর্ডারে ১-২ জনকে বড় রান করতে হবে। এভাবে সবার একত্রিত পারফরম্যান্স খুব প্রয়োজন হবে বিশ্বকাপে। স্পিন বিভাগে সাকিব ও মিরাজ আছে। মিরাজের পারফরম্যান্স তো অসাধারণ। সব কিছু মিলিয়ে দলে একটা ভালো পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরেও আমরা নিয়মিত ম্যাচ জিতেছি। খুব ভালো একটি দল হয়ে উঠেছি আমরা।
তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমাদের বিশ্বকাপ দলে তার খুব প্রয়োজন ছিল। আর সাকিব, সে তো পরীক্ষিত। আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সাকিব ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প বিসিবির হাতে ছিল না। আমি মনে করি সাকিব নিজের সেরা সময়ে আছে। সে জানে তার কাজটা কী, দলের চাওয়া কী। আশা করি সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে আলো ছড়াবে বাংলাদেশ।
আমাদের প্রথম ম্যাচ আফগানিন্তানের বিপক্ষে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেÑ আমরা যেন ওদের বিপক্ষে জিততে পারি। তবে যদি টার্গেট করে যাই যে, ‘একে-ওকে হারাবো’ তাহলে সেসব ম্যাচে বেশি মনোযোগ থাকবে আর অন্যগুলোতে কোনো সুযোগই থাকবে না। ফলে নির্দিষ্ট কোনো দলকে টার্গেট করা ঠিক হবে না। নয়টা ম্যাচ নিয়েই আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রতিটি দলের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা ভিন্ন, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেভাবেই টিম তৈরি করতে হবে, পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এমন না যে, আপনি নির্দিষ্ট পাঁচটি ম্যাচ টার্গেট করে গিয়ে সব জিতে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই সব ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
বাংলাদেশকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থাকতে হলে বোলিং বিভাগ ভালো রাখতে হবে। আর যেহেতু ভালো উইকেট, ব্যাটিংটাও ক্যালকুলেটিভ করতে হবে। দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি কেবল ভালো ব্যাটিং কিংবা ভালো বোলিং করেই জিততে পারবেন। আর ফিল্ডিং ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে শর্টকাট কোনো পথ নাই। আমাদের সব বিভাগেই ভালো করে ম্যাচ জিততে হবে।‘আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে’
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন বিশ্বকাপ জিততে কেবল ভালো খেললেই হয় না, জটিল ও কঠিন মুহূর্তগুলোতে ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন হয়। এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল না খেললে হতাশ হবো। কারণ, বাংলাদেশের মতো এবারের আসরে আর কোনো অভিজ্ঞ দল নেই। আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে। দলের জুনিয়র যারা আছে, লিটন-তাসকিন-মিরাজ-শান্তরাও পাঁচ-সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে। এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকার পর এমন স্বপ্ন দেখা অমূলক নয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট কিছু মুহূর্তে ভালো খেলা, কঠিন মুহূর্তে ভালো ক্যাচ নেয়া; এসব খুব জরুরি।
তবে জয়ের জন্য মানসিক ব্যাপারটাতে আমরা কতখানি মানিয়ে নিতে পারবো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাংলাদেশ দল চাপে ভেঙে পড়ে, কিন্তু বড় ম্যাচে চাপকে জয় করা বেশি জরুরি। আশা করি বাংলাদেশ সেই অবস্থানে আছে।
তিনি বলেছেন, গত চার বছরে দলটিতে বড় পরিবর্তন বোলিং আক্রমণ। দারুণ একটি বোলিং অ্যাটাক এখন হয়েছে। তাসকিন, মোস্তাফিজ, এবাদত, শরিফুল, হাসানসহ সবাই ভালো করছে। সাইফউদ্দিনের ইনজুরি না হলে আরও খুশি হতাম। ব্যাটিংয়ে সবাই ভালো করছে। নির্দিষ্ট দিনে ২-১ জন ভালো করছে। বড় রান করার জন্য হয়তো বা মিডল অর্ডার, টপ অর্ডার, লেট মিডল অর্ডারে ১-২ জনকে বড় রান করতে হবে। এভাবে সবার একত্রিত পারফরম্যান্স খুব প্রয়োজন হবে বিশ্বকাপে। স্পিন বিভাগে সাকিব ও মিরাজ আছে। মিরাজের পারফরম্যান্স তো অসাধারণ। সব কিছু মিলিয়ে দলে একটা ভালো পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরেও আমরা নিয়মিত ম্যাচ জিতেছি। খুব ভালো একটি দল হয়ে উঠেছি আমরা।
তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমাদের বিশ্বকাপ দলে তার খুব প্রয়োজন ছিল। আর সাকিব, সে তো পরীক্ষিত। আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সাকিব ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প বিসিবির হাতে ছিল না। আমি মনে করি সাকিব নিজের সেরা সময়ে আছে। সে জানে তার কাজটা কী, দলের চাওয়া কী। আশা করি সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে আলো ছড়াবে বাংলাদেশ।
আমাদের প্রথম ম্যাচ আফগানিন্তানের বিপক্ষে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেÑ আমরা যেন ওদের বিপক্ষে জিততে পারি। তবে যদি টার্গেট করে যাই যে, ‘একে-ওকে হারাবো’ তাহলে সেসব ম্যাচে বেশি মনোযোগ থাকবে আর অন্যগুলোতে কোনো সুযোগই থাকবে না। ফলে নির্দিষ্ট কোনো দলকে টার্গেট করা ঠিক হবে না। নয়টা ম্যাচ নিয়েই আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রতিটি দলের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা ভিন্ন, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেভাবেই টিম তৈরি করতে হবে, পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এমন না যে, আপনি নির্দিষ্ট পাঁচটি ম্যাচ টার্গেট করে গিয়ে সব জিতে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই সব ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
বাংলাদেশকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থাকতে হলে বোলিং বিভাগ ভালো রাখতে হবে। আর যেহেতু ভালো উইকেট, ব্যাটিংটাও ক্যালকুলেটিভ করতে হবে। দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি কেবল ভালো ব্যাটিং কিংবা ভালো বোলিং করেই জিততে পারবেন। আর ফিল্ডিং ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে শর্টকাট কোনো পথ নাই। আমাদের সব বিভাগেই ভালো করে ম্যাচ জিততে হবে।
শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন বিশ্বকাপ জিততে কেবল ভালো খেললেই হয় না, জটিল ও কঠিন মুহূর্তগুলোতে ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন হয়। এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল না খেললে হতাশ হবো। কারণ, বাংলাদেশের মতো এবারের আসরে আর কোনো অভিজ্ঞ দল নেই। আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে। দলের জুনিয়র যারা আছে, লিটন-তাসকিন-মিরাজ-শান্তরাও পাঁচ-সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে। এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকার পর এমন স্বপ্ন দেখা অমূলক নয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট কিছু মুহূর্তে ভালো খেলা, কঠিন মুহূর্তে ভালো ক্যাচ নেয়া; এসব খুব জরুরি।
তবে জয়ের জন্য মানসিক ব্যাপারটাতে আমরা কতখানি মানিয়ে নিতে পারবো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাংলাদেশ দল চাপে ভেঙে পড়ে, কিন্তু বড় ম্যাচে চাপকে জয় করা বেশি জরুরি। আশা করি বাংলাদেশ সেই অবস্থানে আছে।
তিনি বলেছেন, গত চার বছরে দলটিতে বড় পরিবর্তন বোলিং আক্রমণ। দারুণ একটি বোলিং অ্যাটাক এখন হয়েছে। তাসকিন, মোস্তাফিজ, এবাদত, শরিফুল, হাসানসহ সবাই ভালো করছে। সাইফউদ্দিনের ইনজুরি না হলে আরও খুশি হতাম। ব্যাটিংয়ে সবাই ভালো করছে। নির্দিষ্ট দিনে ২-১ জন ভালো করছে। বড় রান করার জন্য হয়তো বা মিডল অর্ডার, টপ অর্ডার, লেট মিডল অর্ডারে ১-২ জনকে বড় রান করতে হবে। এভাবে সবার একত্রিত পারফরম্যান্স খুব প্রয়োজন হবে বিশ্বকাপে। স্পিন বিভাগে সাকিব ও মিরাজ আছে। মিরাজের পারফরম্যান্স তো অসাধারণ। সব কিছু মিলিয়ে দলে একটা ভালো পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরেও আমরা নিয়মিত ম্যাচ জিতেছি। খুব ভালো একটি দল হয়ে উঠেছি আমরা।
তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমাদের বিশ্বকাপ দলে তার খুব প্রয়োজন ছিল। আর সাকিব, সে তো পরীক্ষিত। আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সাকিব ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প বিসিবির হাতে ছিল না। আমি মনে করি সাকিব নিজের সেরা সময়ে আছে। সে জানে তার কাজটা কী, দলের চাওয়া কী। আশা করি সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে আলো ছড়াবে বাংলাদেশ।
আমাদের প্রথম ম্যাচ আফগানিন্তানের বিপক্ষে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেÑ আমরা যেন ওদের বিপক্ষে জিততে পারি। তবে যদি টার্গেট করে যাই যে, ‘একে-ওকে হারাবো’ তাহলে সেসব ম্যাচে বেশি মনোযোগ থাকবে আর অন্যগুলোতে কোনো সুযোগই থাকবে না। ফলে নির্দিষ্ট কোনো দলকে টার্গেট করা ঠিক হবে না। নয়টা ম্যাচ নিয়েই আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রতিটি দলের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা ভিন্ন, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেভাবেই টিম তৈরি করতে হবে, পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এমন না যে, আপনি নির্দিষ্ট পাঁচটি ম্যাচ টার্গেট করে গিয়ে সব জিতে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই সব ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
বাংলাদেশকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থাকতে হলে বোলিং বিভাগ ভালো রাখতে হবে। আর যেহেতু ভালো উইকেট, ব্যাটিংটাও ক্যালকুলেটিভ করতে হবে। দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি কেবল ভালো ব্যাটিং কিংবা ভালো বোলিং করেই জিততে পারবেন। আর ফিল্ডিং ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে শর্টকাট কোনো পথ নাই। আমাদের সব বিভাগেই ভালো করে ম্যাচ জিততে হবে।‘আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে’
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন বিশ্বকাপ জিততে কেবল ভালো খেললেই হয় না, জটিল ও কঠিন মুহূর্তগুলোতে ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন হয়। এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল না খেললে হতাশ হবো। কারণ, বাংলাদেশের মতো এবারের আসরে আর কোনো অভিজ্ঞ দল নেই। আমাদের এখন বিশ্বকাপ জেতার সময় এসেছে। দলের জুনিয়র যারা আছে, লিটন-তাসকিন-মিরাজ-শান্তরাও পাঁচ-সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে। এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকার পর এমন স্বপ্ন দেখা অমূলক নয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট কিছু মুহূর্তে ভালো খেলা, কঠিন মুহূর্তে ভালো ক্যাচ নেয়া; এসব খুব জরুরি।
তবে জয়ের জন্য মানসিক ব্যাপারটাতে আমরা কতখানি মানিয়ে নিতে পারবো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাংলাদেশ দল চাপে ভেঙে পড়ে, কিন্তু বড় ম্যাচে চাপকে জয় করা বেশি জরুরি। আশা করি বাংলাদেশ সেই অবস্থানে আছে।
তিনি বলেছেন, গত চার বছরে দলটিতে বড় পরিবর্তন বোলিং আক্রমণ। দারুণ একটি বোলিং অ্যাটাক এখন হয়েছে। তাসকিন, মোস্তাফিজ, এবাদত, শরিফুল, হাসানসহ সবাই ভালো করছে। সাইফউদ্দিনের ইনজুরি না হলে আরও খুশি হতাম। ব্যাটিংয়ে সবাই ভালো করছে। নির্দিষ্ট দিনে ২-১ জন ভালো করছে। বড় রান করার জন্য হয়তো বা মিডল অর্ডার, টপ অর্ডার, লেট মিডল অর্ডারে ১-২ জনকে বড় রান করতে হবে। এভাবে সবার একত্রিত পারফরম্যান্স খুব প্রয়োজন হবে বিশ্বকাপে। স্পিন বিভাগে সাকিব ও মিরাজ আছে। মিরাজের পারফরম্যান্স তো অসাধারণ। সব কিছু মিলিয়ে দলে একটা ভালো পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরেও আমরা নিয়মিত ম্যাচ জিতেছি। খুব ভালো একটি দল হয়ে উঠেছি আমরা।
তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমাদের বিশ্বকাপ দলে তার খুব প্রয়োজন ছিল। আর সাকিব, সে তো পরীক্ষিত। আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সাকিব ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প বিসিবির হাতে ছিল না। আমি মনে করি সাকিব নিজের সেরা সময়ে আছে। সে জানে তার কাজটা কী, দলের চাওয়া কী। আশা করি সাকিবের নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপে আলো ছড়াবে বাংলাদেশ।
আমাদের প্রথম ম্যাচ আফগানিন্তানের বিপক্ষে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেÑ আমরা যেন ওদের বিপক্ষে জিততে পারি। তবে যদি টার্গেট করে যাই যে, ‘একে-ওকে হারাবো’ তাহলে সেসব ম্যাচে বেশি মনোযোগ থাকবে আর অন্যগুলোতে কোনো সুযোগই থাকবে না। ফলে নির্দিষ্ট কোনো দলকে টার্গেট করা ঠিক হবে না। নয়টা ম্যাচ নিয়েই আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রতিটি দলের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা ভিন্ন, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেভাবেই টিম তৈরি করতে হবে, পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এমন না যে, আপনি নির্দিষ্ট পাঁচটি ম্যাচ টার্গেট করে গিয়ে সব জিতে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই সব ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
বাংলাদেশকে শীর্ষ চার দলের মধ্যে থাকতে হলে বোলিং বিভাগ ভালো রাখতে হবে। আর যেহেতু ভালো উইকেট, ব্যাটিংটাও ক্যালকুলেটিভ করতে হবে। দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি কেবল ভালো ব্যাটিং কিংবা ভালো বোলিং করেই জিততে পারবেন। আর ফিল্ডিং ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে শর্টকাট কোনো পথ নাই। আমাদের সব বিভাগেই ভালো করে ম্যাচ জিততে হবে।