সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের বড় দুশ্চিন্তার নাম টপ-অর্ডার ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাব। তার চেয়েও বড় সমস্যা ওপেনিং পজিশন। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই এই পজিশনে ব্যাটাররা বলার মতো রান পাচ্ছেন না। লিটন দাস অবশ্য সর্বশেষ ম্যাচে অর্ধশতক করে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়!
এই টাইগার ওপেনার প্রথম ম্যাচে আফগানিন্তানের বিপক্ষে ৫ রান করার পর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন মোটে ১ রান। এরপর থেকে দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের চিন্তার বড় জায়গা ওপেনিং পজিশন। তানজিদ তামিম বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করলেও, মূল ম্যাচে খেলার ধরনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অবশ্য এসব চিন্তা করতে নারাজ আরেক টপ-অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান ওপেনিং নিয়ে চিন্তা-ই বাদ দিয়েছেন তিনি।
চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগে শান্ত বলন, ‘আমার মনে হয় ওপোনিং নিয়ে চিন্তাই না করি। মানে এই চিন্তাটাই বাদ দিয়ে দেই। আমার কাছে মনে হয় যে যারাই টপ-অর্ডারে ব্যাটিং করছে, সবাই খুব ভালো মতো প্রিপারেশন নিয়েই আসছে। দুয়েকটা ভালো ইনিংসই তাদের কনফিডেন্স নিয়ে আসবে বলে আমার মনে হয়। কেউই এখানে রিল্যাক্সে নেই বা দলের জন্য চেষ্টা করছে না- এমন নয়। সবাই চেষ্টা করছে, আশা করছি পরবর্তী ম্যাচ থেকে টপ-অর্ডার থেকেও ভালো স্কোর আসবে।’
এছাড়া আলাদা করে তানজিদকে নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সে কেবল ৫-৬টা ম্যাচ খেলছে। প্রত্যেকটা প্লেয়ারেরই একটু সময় লাগে, কারও একটু বেশি-কারও একটু কম। তার ওপরও সবার ওই বিশ্বাসটা রাখা উচিত। সবাই যেন আমরা তাকে সমর্থন করি। এখানে যারা যে কয়জন প্লেয়ার আসছে, ভালো করার মতো সবাই সামর্থ্যবান। আশা করি সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করবে।’
আজ একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। পরিবর্তন আসতে ওপেনিং ও দলের বোলিং পজিশনে।
‘পেসারদের সামনে চ্যালেঞ্জ
নিউজিল্যান্ড ম্যাচ’
চলমান বিশ্বকাপে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের পেসাররা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শরিফুল ইসলাম নেন ২ উইকেট। তবে একাদশের বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। এরপর ইংল্যান্ড ম্যাচেও তাসকিন-মোস্তাফিজরা ছিলেন বিবর্ণ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়া শরিফুল ইংলিশদের বিপক্ষেও ভালো করেছেন। এই বাঁ-হাতি পেসার ৩ উইকেট তুলে নিলেও তাসকিন পেয়েছেন কেবল ১টি। অন্যদিকে মোস্তাফিজ কোনো উইকেটের দেখাই পাননি। সবমিলিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগার পেস আক্রমণ। এবার তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। অবশ্য তার আগে তাসকিন-মোস্তফিজরা পাশে পেলেন সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তকে।
নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন চেন্নাইয়ে টাইগার পেসারদের নিয়ে শান্ত বলেন, ‘প্রথমতো কোনো পেস বোলার হতাশ না, এখানে উইকেটই এমন। রান স্বাভাবিকভাবে একটু বেশিই দিবে। নরমালি আমরা দেখি না আমাদের পেস বোলাররা ১০ ওভারে ৭০, ৬০ বা ৬৫ দেয়।’
‘তো হঠাৎ করে এখানে দেখে মনে হচ্ছে অনেক খারাপ বোলিং হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টা এরকম না, সবাই এ বিষয়টা নিয়ে অবগত আছে যে এখানে উইকেটটা ভালো। এখানে কত কম রান দেয়া যায়, মিডল ওভারে উইকেট বের করতে পারি, নতুন বলে উইকেট বের করতে পারি’ যোগ করেন শান্ত।
শান্ত মনে করছেন এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ১০ ভাগ উন্নতি করলেই টাইগার পেসাররা ভালো কিছু করবে, ‘সুতরাং সবার একটা প্ল্যান আছে, সবাই কষ্ট করছে। আমার মনে হয় পেস বোলাররা এখন যে অবস্থায় আছে তার থেকে ১০ পারসেন্ট উন্নতি করলে আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারব।’
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের বড় দুশ্চিন্তার নাম টপ-অর্ডার ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাব। তার চেয়েও বড় সমস্যা ওপেনিং পজিশন। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই এই পজিশনে ব্যাটাররা বলার মতো রান পাচ্ছেন না। লিটন দাস অবশ্য সর্বশেষ ম্যাচে অর্ধশতক করে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়!
এই টাইগার ওপেনার প্রথম ম্যাচে আফগানিন্তানের বিপক্ষে ৫ রান করার পর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন মোটে ১ রান। এরপর থেকে দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের চিন্তার বড় জায়গা ওপেনিং পজিশন। তানজিদ তামিম বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করলেও, মূল ম্যাচে খেলার ধরনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অবশ্য এসব চিন্তা করতে নারাজ আরেক টপ-অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান ওপেনিং নিয়ে চিন্তা-ই বাদ দিয়েছেন তিনি।
চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগে শান্ত বলন, ‘আমার মনে হয় ওপোনিং নিয়ে চিন্তাই না করি। মানে এই চিন্তাটাই বাদ দিয়ে দেই। আমার কাছে মনে হয় যে যারাই টপ-অর্ডারে ব্যাটিং করছে, সবাই খুব ভালো মতো প্রিপারেশন নিয়েই আসছে। দুয়েকটা ভালো ইনিংসই তাদের কনফিডেন্স নিয়ে আসবে বলে আমার মনে হয়। কেউই এখানে রিল্যাক্সে নেই বা দলের জন্য চেষ্টা করছে না- এমন নয়। সবাই চেষ্টা করছে, আশা করছি পরবর্তী ম্যাচ থেকে টপ-অর্ডার থেকেও ভালো স্কোর আসবে।’
এছাড়া আলাদা করে তানজিদকে নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সে কেবল ৫-৬টা ম্যাচ খেলছে। প্রত্যেকটা প্লেয়ারেরই একটু সময় লাগে, কারও একটু বেশি-কারও একটু কম। তার ওপরও সবার ওই বিশ্বাসটা রাখা উচিত। সবাই যেন আমরা তাকে সমর্থন করি। এখানে যারা যে কয়জন প্লেয়ার আসছে, ভালো করার মতো সবাই সামর্থ্যবান। আশা করি সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করবে।’
আজ একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। পরিবর্তন আসতে ওপেনিং ও দলের বোলিং পজিশনে।
‘পেসারদের সামনে চ্যালেঞ্জ
নিউজিল্যান্ড ম্যাচ’
চলমান বিশ্বকাপে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের পেসাররা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শরিফুল ইসলাম নেন ২ উইকেট। তবে একাদশের বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। এরপর ইংল্যান্ড ম্যাচেও তাসকিন-মোস্তাফিজরা ছিলেন বিবর্ণ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়া শরিফুল ইংলিশদের বিপক্ষেও ভালো করেছেন। এই বাঁ-হাতি পেসার ৩ উইকেট তুলে নিলেও তাসকিন পেয়েছেন কেবল ১টি। অন্যদিকে মোস্তাফিজ কোনো উইকেটের দেখাই পাননি। সবমিলিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগার পেস আক্রমণ। এবার তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। অবশ্য তার আগে তাসকিন-মোস্তফিজরা পাশে পেলেন সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তকে।
নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন চেন্নাইয়ে টাইগার পেসারদের নিয়ে শান্ত বলেন, ‘প্রথমতো কোনো পেস বোলার হতাশ না, এখানে উইকেটই এমন। রান স্বাভাবিকভাবে একটু বেশিই দিবে। নরমালি আমরা দেখি না আমাদের পেস বোলাররা ১০ ওভারে ৭০, ৬০ বা ৬৫ দেয়।’
‘তো হঠাৎ করে এখানে দেখে মনে হচ্ছে অনেক খারাপ বোলিং হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টা এরকম না, সবাই এ বিষয়টা নিয়ে অবগত আছে যে এখানে উইকেটটা ভালো। এখানে কত কম রান দেয়া যায়, মিডল ওভারে উইকেট বের করতে পারি, নতুন বলে উইকেট বের করতে পারি’ যোগ করেন শান্ত।
শান্ত মনে করছেন এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ১০ ভাগ উন্নতি করলেই টাইগার পেসাররা ভালো কিছু করবে, ‘সুতরাং সবার একটা প্ল্যান আছে, সবাই কষ্ট করছে। আমার মনে হয় পেস বোলাররা এখন যে অবস্থায় আছে তার থেকে ১০ পারসেন্ট উন্নতি করলে আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারব।’