এবারের বিশ^কাপের গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী স্বাগতিক ভারতের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত বলাই চলে। তবে কাগজ-কলমের হিসেব অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ী হয়েই সেমির টিকেট নিশ্চিত করতে চায় টানা ছয় ম্যাচে জয় টিম ইন্ডিয়া। পক্ষান্তরে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতের জয়রথ থামাতে চায় শ্রীলঙ্কা
বৃহস্পতিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ, দুপুর ২.৩০মি.
নিজেদের মাঠে বিশ^কাপে প্রথম ছয় ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রোহিত শর্মার দল। এ অবস্থায় কাগজে-কলমে আর মাত্র ১টি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ভারতের।
অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও সেমিতে উঠার ভালো সুযোগ থাকবে ভারতের। তখন লীগ পর্বে শেষ দুই ম্যাচের ১টিতে জিতলেই চলবে টিম ইন্ডিয়ার। ভারতের অন্য দুটি ম্যাচ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
যদি বাকি তিন ম্যাচেও হেরে যায় ভারত, তখন আফগানিস্তানকে বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে ১টিতে হারতে হবে। আর যদি ভারত সব ম্যাচ হারে এবং আফগানরা বাকি সব ম্যাচ জিতে যায়, তখন রান রেটের হিসাব-নিকাশে কষতে হবে ভারতকে। আবার যদি বর্তমানে টেবিলের শীর্ষ চারের মধ্যে থাকা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ভারতকে টপকাতে না পারে সেক্ষেত্রে রান রেট সমীকরণ ছাড়াই সেমিতে খেলবে রোহিত শর্মার দল।
এবারের বিশ^কাপে প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জিতে দারুণভাবে সেমির লড়াইয়ে ফিরে লঙ্কানরা। তবে সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের হার শ্রীলঙ্কাকে আবারও চাপে ফেলে দিয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ২৪১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। এরপর আফগানিস্তানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং শ্রীলঙ্কাকে আবারও হারের বৃত্তে ঠেলে দেয়।
৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। সেমির দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে লঙ্কানদের। আর হেরে গেলে সেমির পথ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কার। তখন লীগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে, সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হার কামনা করতে হবে লংকানদের।
এমন সমীকরণকে মাথায় নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না শ্রীলঙ্কা।
আজকের ম্যাচেও দলের সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে পাচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৬৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। জয়ের পাল্লা ভারী ভারতেরই। ৯৮ ম্যাচে জিতেছে ভারত। শ্রীলঙ্কার জয় ৫৭টিতে। ১টি ম্যাচ টাই ও ১১টি পরিত্যক্ত হয়েছে। বিশ^কাপ মঞ্চে সমান অবস্থায় আছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ৯বারের লড়াইয়ে সমান ৪বার করে জিতেছে দুই দল। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
গত এশিয়া কাপে শেষবারের মত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত- শ্রীলঙ্কা। ফাইনালের সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৫০ রানে অল-আউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩
এবারের বিশ^কাপের গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী স্বাগতিক ভারতের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত বলাই চলে। তবে কাগজ-কলমের হিসেব অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ী হয়েই সেমির টিকেট নিশ্চিত করতে চায় টানা ছয় ম্যাচে জয় টিম ইন্ডিয়া। পক্ষান্তরে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতের জয়রথ থামাতে চায় শ্রীলঙ্কা
বৃহস্পতিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ, দুপুর ২.৩০মি.
নিজেদের মাঠে বিশ^কাপে প্রথম ছয় ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রোহিত শর্মার দল। এ অবস্থায় কাগজে-কলমে আর মাত্র ১টি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ভারতের।
অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও সেমিতে উঠার ভালো সুযোগ থাকবে ভারতের। তখন লীগ পর্বে শেষ দুই ম্যাচের ১টিতে জিতলেই চলবে টিম ইন্ডিয়ার। ভারতের অন্য দুটি ম্যাচ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
যদি বাকি তিন ম্যাচেও হেরে যায় ভারত, তখন আফগানিস্তানকে বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে ১টিতে হারতে হবে। আর যদি ভারত সব ম্যাচ হারে এবং আফগানরা বাকি সব ম্যাচ জিতে যায়, তখন রান রেটের হিসাব-নিকাশে কষতে হবে ভারতকে। আবার যদি বর্তমানে টেবিলের শীর্ষ চারের মধ্যে থাকা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ভারতকে টপকাতে না পারে সেক্ষেত্রে রান রেট সমীকরণ ছাড়াই সেমিতে খেলবে রোহিত শর্মার দল।
এবারের বিশ^কাপে প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জিতে দারুণভাবে সেমির লড়াইয়ে ফিরে লঙ্কানরা। তবে সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের হার শ্রীলঙ্কাকে আবারও চাপে ফেলে দিয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ২৪১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। এরপর আফগানিস্তানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং শ্রীলঙ্কাকে আবারও হারের বৃত্তে ঠেলে দেয়।
৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। সেমির দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে লঙ্কানদের। আর হেরে গেলে সেমির পথ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কার। তখন লীগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে, সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হার কামনা করতে হবে লংকানদের।
এমন সমীকরণকে মাথায় নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না শ্রীলঙ্কা।
আজকের ম্যাচেও দলের সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে পাচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৬৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। জয়ের পাল্লা ভারী ভারতেরই। ৯৮ ম্যাচে জিতেছে ভারত। শ্রীলঙ্কার জয় ৫৭টিতে। ১টি ম্যাচ টাই ও ১১টি পরিত্যক্ত হয়েছে। বিশ^কাপ মঞ্চে সমান অবস্থায় আছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ৯বারের লড়াইয়ে সমান ৪বার করে জিতেছে দুই দল। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
গত এশিয়া কাপে শেষবারের মত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত- শ্রীলঙ্কা। ফাইনালের সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৫০ রানে অল-আউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।