বিরাট কোহলি-শুভমান গিল-শ্রেয়াশ আইয়ারের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান করে।
তিন ব্যাটারই আশির গণ্ডি পেরিয়ে সেঞ্চুরির সুবাস ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কেউই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে পরাজিত হয় ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি ৫ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সিরাজ নেন ৭ ওভার বোলিংয়ে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। বুমরা নেন ৫ ওভারে ৮ রানে ১টি ও জাদেজা ৪ রান দিয়ে এক উইকেট লাভ করেন। রোহিতদের এই জয়টি ছিল সাত ম্যাচে সপ্তম এবং রানের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়। এ জয়ের পুরো ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত পয়েন্ট তালিকায় ফের শীর্ষ স্থান দখল করলো।
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং উইকেটে এমন সিদ্ধান্ত লঙ্কানদের জন্য ফিরে এলো বুমেরাং হয়ে। পুরো ম্যাচে কখনোই খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তারা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাজে ফিল্ডিং। শুরুতে গিল আর কোহলির পর শেষে ঝড় তুলেছেন রানখরায় থাকা শ্রেয়াশ আইয়ার।
ম্যাচের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মার উইকেট যেন ঝড়ের আগে খানিক স্বস্তি দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। মাঝে বিরাট কোহলির ক্যাচ নেয়ার সুযোগ ছিল। তবে সেটা নিতে পারেননি বোলার দুশমান্থ চামিরা। এরপর যেন একেবারেই চেপে বসেন ভারতের দুই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ১৮৯ রান।
দুজনেই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। জোড়া সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। তবে সেই উৎসবের আমেজ প- করে দেন মাদুশঙ্কা। নিজের দুই ওভারে গিল আর কোহলিকে ফেরান এই লঙ্কান পেসার। গিল আউট হয়েছেন লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। আর কোহলি হয়েছেন বিভ্রান্ত। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছিলেন। তাতেই ক্যাচ উঠে যায় পাথুম নিশাঙ্কার হাতে।
গিল আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৯২ রানে। আর কোহলি আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে। এই দুই উইকেটের পর কিছুটা ছেদ পড়ে রান তোলায়। ক্রিজে এসে লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়াশ আইয়ার কিছুটা সময় নিতে চেয়েছিলেন।
রাহুল ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ২১ রান করে দুশমান্থ চামিরার বলে দুশান হেমন্তর হাতে ক্যাচ দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপরের পুরোটা সময় শুধুই শ্রেয়াশ আইয়ার। চলতি বিশ্বকাপে রান খরায় ভুগতে থাকা এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) খেলেছেন মনে রাখার মতো এক ইনিংস। সূর্যকুমার ৯ বলে ১২ করে ফিরে গেলেও অবিচল ছিলেন আইয়ার।
৩ চার আর ৬ ছয় দিয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস সাজিয়েছেন আইয়ার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তাড়া করতে গিয়ে ৮২ রানেই থামে তার ইনিংস। পরে রবীন্দ্র জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ভারতের স্কোর সাড়ে তিনশ’ পার হয়।
লঙ্কানদের হয়ে উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল দুজন। দিলশান মাদুশঙ্কা নিয়েছেন ৮০ রানে ৫ উইকেট।
বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩
বিরাট কোহলি-শুভমান গিল-শ্রেয়াশ আইয়ারের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান করে।
তিন ব্যাটারই আশির গণ্ডি পেরিয়ে সেঞ্চুরির সুবাস ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কেউই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে পরাজিত হয় ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি ৫ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সিরাজ নেন ৭ ওভার বোলিংয়ে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। বুমরা নেন ৫ ওভারে ৮ রানে ১টি ও জাদেজা ৪ রান দিয়ে এক উইকেট লাভ করেন। রোহিতদের এই জয়টি ছিল সাত ম্যাচে সপ্তম এবং রানের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়। এ জয়ের পুরো ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত পয়েন্ট তালিকায় ফের শীর্ষ স্থান দখল করলো।
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং উইকেটে এমন সিদ্ধান্ত লঙ্কানদের জন্য ফিরে এলো বুমেরাং হয়ে। পুরো ম্যাচে কখনোই খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তারা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাজে ফিল্ডিং। শুরুতে গিল আর কোহলির পর শেষে ঝড় তুলেছেন রানখরায় থাকা শ্রেয়াশ আইয়ার।
ম্যাচের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মার উইকেট যেন ঝড়ের আগে খানিক স্বস্তি দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। মাঝে বিরাট কোহলির ক্যাচ নেয়ার সুযোগ ছিল। তবে সেটা নিতে পারেননি বোলার দুশমান্থ চামিরা। এরপর যেন একেবারেই চেপে বসেন ভারতের দুই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ১৮৯ রান।
দুজনেই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। জোড়া সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। তবে সেই উৎসবের আমেজ প- করে দেন মাদুশঙ্কা। নিজের দুই ওভারে গিল আর কোহলিকে ফেরান এই লঙ্কান পেসার। গিল আউট হয়েছেন লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। আর কোহলি হয়েছেন বিভ্রান্ত। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছিলেন। তাতেই ক্যাচ উঠে যায় পাথুম নিশাঙ্কার হাতে।
গিল আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৯২ রানে। আর কোহলি আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে। এই দুই উইকেটের পর কিছুটা ছেদ পড়ে রান তোলায়। ক্রিজে এসে লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়াশ আইয়ার কিছুটা সময় নিতে চেয়েছিলেন।
রাহুল ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ২১ রান করে দুশমান্থ চামিরার বলে দুশান হেমন্তর হাতে ক্যাচ দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপরের পুরোটা সময় শুধুই শ্রেয়াশ আইয়ার। চলতি বিশ্বকাপে রান খরায় ভুগতে থাকা এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) খেলেছেন মনে রাখার মতো এক ইনিংস। সূর্যকুমার ৯ বলে ১২ করে ফিরে গেলেও অবিচল ছিলেন আইয়ার।
৩ চার আর ৬ ছয় দিয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস সাজিয়েছেন আইয়ার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তাড়া করতে গিয়ে ৮২ রানেই থামে তার ইনিংস। পরে রবীন্দ্র জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ভারতের স্কোর সাড়ে তিনশ’ পার হয়।
লঙ্কানদের হয়ে উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল দুজন। দিলশান মাদুশঙ্কা নিয়েছেন ৮০ রানে ৫ উইকেট।