ফিল্ডিং দক্ষতায়
বরাবরই বিতর্ক সঙ্গী করে পথ চলতে পছন্দ করে পাকিস্তান ক্রিকেট! দেশটার ক্রিকেটের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গেছে এই কথাটা। বারবার বিচিত্র ঘটনার জন্ম দিয়ে তারা পেয়েছে আনপ্রেডিকটেবল তকমা। হরহামেশাই পাকিস্তান ক্রিকেটের এই বিতর্কের অংশ হয় ক্যাচ মিস! সহজ ক্যাচ ছেড়ে ট্রলের শিকার হয়েছেন হাসান আলী কিংবা উসামা মীরের মতো ক্রিকেটাররাও। অথচ এবারের বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
গতকালের ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পর্যন্ত ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে ভালো করা দলটির নাম পাকিস্তান। এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তান মাত্র ৬টি ক্যাচ ছেড়েছে। এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলা পাকিস্তান ক্রিকেট দল মাঠে ৩৭টি ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে নিতে পেরেছে ৩১টি ক্যাচ। ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে তালিকার শীর্ষে পাকিস্তান।
ক্যাচ নেওয়ার হার ৮০ শতাংশের ওপরে এমন দল এখন পর্যন্ত পাঁচটি। সেই তালিকায় আছে পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, ভারত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ডাচরা ৩৩ ক্যাচের মধ্যে নিতে পেরেছে ২৭টি। ছেড়েছে পাকিস্তানের সমান ৬টি ক্যাচ। সাফল্যের হার ৮৫ শতাংশ।
ক্যাচ ছাড়ার ক্ষেত্রে ভারতও অনুসরণ করেছে তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দলকে। মোট ২৫টি ক্যাচের মধ্যে ভারতও ছেড়েছে ৬টি ক্যাচ। ১৯টি ক্যাচ নেওয়া ভারতের সাফল্যের হার ৮১ শতাংশ। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকারও ক্যাচ নেওয়ায় সাফল্যের হার ভারতের সমান (৮১ শতাংশ)। ২৬টি ক্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ডও ৬টি ক্যাচ ছেড়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১ ক্যাচের মধ্যে ছেড়েছে ১২টি।
বাংলাদেশ এই তালিকায় ষষ্ঠ দল। ২৬টি ক্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ দল ফেলেছে ৮টি ক্যাচ। ১৮টি ক্যাচ নিয়ে সাফল্যের হার ৭৬ শতাংশ। ক্যাচ নেওয়ার হারে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৯টি ক্যাচের মধ্যে ১২টি ক্যাচ ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৭টি ক্যাচ নিয়ে সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ।
আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ক্যাচ নেওয়ার হারও ৭১ শতাংশ। ২০টি ক্যাচের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছে বাংলাদেশের সমান ৮টি ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়া দল নিউজিল্যান্ড। ৪০টি ক্যাচের মধ্যে ৬টি ছেড়েছে কিউইরা। ২২টি ক্যাচের মধ্যে ১৪টি ফেলে ৬১ শতাংশ সাফল্য নিয়ে এই তালিকায় সবার তলানির দল শ্রীলঙ্কা।
ফিল্ডিং দক্ষতায়
শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩
বরাবরই বিতর্ক সঙ্গী করে পথ চলতে পছন্দ করে পাকিস্তান ক্রিকেট! দেশটার ক্রিকেটের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গেছে এই কথাটা। বারবার বিচিত্র ঘটনার জন্ম দিয়ে তারা পেয়েছে আনপ্রেডিকটেবল তকমা। হরহামেশাই পাকিস্তান ক্রিকেটের এই বিতর্কের অংশ হয় ক্যাচ মিস! সহজ ক্যাচ ছেড়ে ট্রলের শিকার হয়েছেন হাসান আলী কিংবা উসামা মীরের মতো ক্রিকেটাররাও। অথচ এবারের বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
গতকালের ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পর্যন্ত ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে ভালো করা দলটির নাম পাকিস্তান। এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তান মাত্র ৬টি ক্যাচ ছেড়েছে। এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলা পাকিস্তান ক্রিকেট দল মাঠে ৩৭টি ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে নিতে পেরেছে ৩১টি ক্যাচ। ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে তালিকার শীর্ষে পাকিস্তান।
ক্যাচ নেওয়ার হার ৮০ শতাংশের ওপরে এমন দল এখন পর্যন্ত পাঁচটি। সেই তালিকায় আছে পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, ভারত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ডাচরা ৩৩ ক্যাচের মধ্যে নিতে পেরেছে ২৭টি। ছেড়েছে পাকিস্তানের সমান ৬টি ক্যাচ। সাফল্যের হার ৮৫ শতাংশ।
ক্যাচ ছাড়ার ক্ষেত্রে ভারতও অনুসরণ করেছে তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দলকে। মোট ২৫টি ক্যাচের মধ্যে ভারতও ছেড়েছে ৬টি ক্যাচ। ১৯টি ক্যাচ নেওয়া ভারতের সাফল্যের হার ৮১ শতাংশ। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকারও ক্যাচ নেওয়ায় সাফল্যের হার ভারতের সমান (৮১ শতাংশ)। ২৬টি ক্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ডও ৬টি ক্যাচ ছেড়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১ ক্যাচের মধ্যে ছেড়েছে ১২টি।
বাংলাদেশ এই তালিকায় ষষ্ঠ দল। ২৬টি ক্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ দল ফেলেছে ৮টি ক্যাচ। ১৮টি ক্যাচ নিয়ে সাফল্যের হার ৭৬ শতাংশ। ক্যাচ নেওয়ার হারে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৯টি ক্যাচের মধ্যে ১২টি ক্যাচ ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৭টি ক্যাচ নিয়ে সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ।
আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ক্যাচ নেওয়ার হারও ৭১ শতাংশ। ২০টি ক্যাচের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছে বাংলাদেশের সমান ৮টি ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়া দল নিউজিল্যান্ড। ৪০টি ক্যাচের মধ্যে ৬টি ছেড়েছে কিউইরা। ২২টি ক্যাচের মধ্যে ১৪টি ফেলে ৬১ শতাংশ সাফল্য নিয়ে এই তালিকায় সবার তলানির দল শ্রীলঙ্কা।