কলকাতায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচ শনিবার
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা দুই দল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শনিবার মুখোমুখি। ৭ ম্যাচে ৭ জয়ে স্বাগতিক ভারত পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে। আর ৭ ম্যাচে ৬ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এ ম্যাচকেই সবাই বিশ্বকাপের ফাইনাল মনে করছেন।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিট।
এ ম্যাচটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। এবারের বিশ্বকাপে ভারত যে ফর্মে রয়েছে, তাতে এক নম্বরে থেকে যেতে পারেন রোহিত শর্মারা। যদি ভারত দুই নম্বরে নেমে যায়, তা হলে এক নম্বর জায়গাটা দখল করার সুযোগ সব থেকে বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার। অর্থাৎ এক বনাম চার এবং দুই বনাম তিন নম্বর দলের সেমিফাইনালের নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত খেলতে পারে আবার ফাইনালেই। তার আগে শনিবার হয়ে যাবে ‘ড্রেস রিহার্সাল’।
এবারের আসরে ভারতকে প্রথম থেকেই ফাইনালে ওঠার দাবিদার বলা হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারালে সেই দাবি আরও জোরালো হয়। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ১৯৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। সেই ম্যাচে ৮৫ রান করেন কোহলি। ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। এরপর যত ম্যাচ গড়িয়েছে, ভারত তত ভয়ংকর হয়েছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। রোহিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ম্যাচই পাকিস্তান বধ। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯১ রানে। ভারত জয়ী হয় ৭ উইকেটে। এরপর বাংলাদেশ (৭ উইকেটে জয়), নিউজিল্যান্ড (৪ উইকেটে জয়), ইংল্যান্ড (১০০ রানে জয়) এবং শ্রীলঙ্কাও (৩০২ রানে জয়) ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ছয় ম্যাচ জিতলেও নেদারল্যান্ডসের মতো দলের কাছে হেরেছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হার নেহাতই অঘটন। বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট রোহিতদের চাপ তৈরি করার মতোই।
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেই ৪২৮ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই ম্যাচে শতরান করেছিলেন কুইন্টন ডি’কক, ডাসেন এবং মার্করাম। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে যায় ১৭৭ রানে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩৯৯ রান। সেই ম্যাচটি প্রোটিয়াবাহিনী জেতে ২২৯ রানে। বাংলাদেশ (১৪৯ রানে জয়), পাকিস্তান (১ উইকেটে জয়) এবং নিউজিল্যান্ডও (১৯০ রানে জয়) দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই লড়াই এখন আর শুধু দুটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পৌঁছে গিয়েছে ব্যক্তিগত স্তরেও। এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় এখন শীর্ষে ডি’কক। সাত ম্যাচে ৫৪৫ রান করেছেন। চারটি শতরান করে ফেলেছেন। তাকে তাড়া করছেন কোহলি, ৪৪২ রান। তার শতক একটি হলেও অর্ধশতরান চারটি। রানের বিচারে খুব একটা পিছনে নেই ভারতের রোহিত (৪০২) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মার্করামও (৩৬২)।
ব্যাটিংয়ের মতো ব্যক্তিগত লড়াই দেখা যাচ্ছে বোলিংয়েও। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। সাত ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। তার থেকে এক উইকেট কম বুমরার। পেসার মোহাম্মদ সামি নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজিও নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। পিছিয়ে নেই কাগিগো রাবাদা (১১) এবং কুলদীপ যাদবও (১০)।
তাই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে পয়েন্ট তালিকায় দুই দল এক এবং দুই নম্বর স্থানে থাকায়। ফলে আজ যদি ভারতকে হারিয়ে দিতে পারেন ডি’ককরা, তা হলে এক নম্বর হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাবেন তারা। অন্য দিকে, ভারত জিতলে এক নম্বর জায়গাটা কার্যত পাকা করে ফেলবে। কারণ রোহিতদের শেষ ম্যাচ দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেখানে খেলতে হবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। যারা এবারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু ম্যাচে বড় দলকে বেগ দিয়েছে।
কিন্তু অন্য দলের ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সেমিফাইনাল নিজেরাই নিশ্চিত করতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের অধিনায়ক বাভুমা বলেন, ‘সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সামনে সহজ সমীকরণ। সেটি হলোÑ জয়। আর এ কাজটি ছেলেরা দারুণভাবে করছে। সর্বশেষ চার ম্যাচের সবকয়টিতেই জিতেছি আমরা। আশা করছি, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই সেমির টিকেট নিশ্চিত করতে পারবো।’
ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও মাটিতেই পা রাখতে চায় ভারত। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই এখন মূল লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার। দলের ওপেনার শুভমান গিল বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলছি। প্রথম ৭ ম্যাচ জয়ে সেমি নিশ্চিত হয়েছে আমাদের। কিন্তু এখানেই হাল ছেড়ে দিতে চাই না আমরা। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। জয়ের ধারায় থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লীগ পর্বে বাকি দুই ম্যাচেও জিততে চাই আমরা।’
এখন পর্যন্ত ৯০ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৫০টিতে এবং ভারতের জয় ৩৭ ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয়েছে ৩ ম্যাচ।
বিশ্বকাপেও ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচবারের মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩টিতে। ভারত জিতেছে ২ ম্যাচে। অবশ্য বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুই আসরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় আছে ভারতের।
কলকাতায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচ শনিবার
শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা দুই দল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শনিবার মুখোমুখি। ৭ ম্যাচে ৭ জয়ে স্বাগতিক ভারত পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে। আর ৭ ম্যাচে ৬ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এ ম্যাচকেই সবাই বিশ্বকাপের ফাইনাল মনে করছেন।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিট।
এ ম্যাচটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। এবারের বিশ্বকাপে ভারত যে ফর্মে রয়েছে, তাতে এক নম্বরে থেকে যেতে পারেন রোহিত শর্মারা। যদি ভারত দুই নম্বরে নেমে যায়, তা হলে এক নম্বর জায়গাটা দখল করার সুযোগ সব থেকে বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার। অর্থাৎ এক বনাম চার এবং দুই বনাম তিন নম্বর দলের সেমিফাইনালের নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত খেলতে পারে আবার ফাইনালেই। তার আগে শনিবার হয়ে যাবে ‘ড্রেস রিহার্সাল’।
এবারের আসরে ভারতকে প্রথম থেকেই ফাইনালে ওঠার দাবিদার বলা হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারালে সেই দাবি আরও জোরালো হয়। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ১৯৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। সেই ম্যাচে ৮৫ রান করেন কোহলি। ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। এরপর যত ম্যাচ গড়িয়েছে, ভারত তত ভয়ংকর হয়েছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। রোহিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ম্যাচই পাকিস্তান বধ। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯১ রানে। ভারত জয়ী হয় ৭ উইকেটে। এরপর বাংলাদেশ (৭ উইকেটে জয়), নিউজিল্যান্ড (৪ উইকেটে জয়), ইংল্যান্ড (১০০ রানে জয়) এবং শ্রীলঙ্কাও (৩০২ রানে জয়) ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ছয় ম্যাচ জিতলেও নেদারল্যান্ডসের মতো দলের কাছে হেরেছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার হার নেহাতই অঘটন। বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট রোহিতদের চাপ তৈরি করার মতোই।
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেই ৪২৮ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই ম্যাচে শতরান করেছিলেন কুইন্টন ডি’কক, ডাসেন এবং মার্করাম। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে যায় ১৭৭ রানে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩৯৯ রান। সেই ম্যাচটি প্রোটিয়াবাহিনী জেতে ২২৯ রানে। বাংলাদেশ (১৪৯ রানে জয়), পাকিস্তান (১ উইকেটে জয়) এবং নিউজিল্যান্ডও (১৯০ রানে জয়) দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই লড়াই এখন আর শুধু দুটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পৌঁছে গিয়েছে ব্যক্তিগত স্তরেও। এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় এখন শীর্ষে ডি’কক। সাত ম্যাচে ৫৪৫ রান করেছেন। চারটি শতরান করে ফেলেছেন। তাকে তাড়া করছেন কোহলি, ৪৪২ রান। তার শতক একটি হলেও অর্ধশতরান চারটি। রানের বিচারে খুব একটা পিছনে নেই ভারতের রোহিত (৪০২) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মার্করামও (৩৬২)।
ব্যাটিংয়ের মতো ব্যক্তিগত লড়াই দেখা যাচ্ছে বোলিংয়েও। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। সাত ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। তার থেকে এক উইকেট কম বুমরার। পেসার মোহাম্মদ সামি নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজিও নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। পিছিয়ে নেই কাগিগো রাবাদা (১১) এবং কুলদীপ যাদবও (১০)।
তাই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে পয়েন্ট তালিকায় দুই দল এক এবং দুই নম্বর স্থানে থাকায়। ফলে আজ যদি ভারতকে হারিয়ে দিতে পারেন ডি’ককরা, তা হলে এক নম্বর হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাবেন তারা। অন্য দিকে, ভারত জিতলে এক নম্বর জায়গাটা কার্যত পাকা করে ফেলবে। কারণ রোহিতদের শেষ ম্যাচ দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেখানে খেলতে হবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। যারা এবারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু ম্যাচে বড় দলকে বেগ দিয়েছে।
কিন্তু অন্য দলের ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সেমিফাইনাল নিজেরাই নিশ্চিত করতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের অধিনায়ক বাভুমা বলেন, ‘সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সামনে সহজ সমীকরণ। সেটি হলোÑ জয়। আর এ কাজটি ছেলেরা দারুণভাবে করছে। সর্বশেষ চার ম্যাচের সবকয়টিতেই জিতেছি আমরা। আশা করছি, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই সেমির টিকেট নিশ্চিত করতে পারবো।’
ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও মাটিতেই পা রাখতে চায় ভারত। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই এখন মূল লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার। দলের ওপেনার শুভমান গিল বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলছি। প্রথম ৭ ম্যাচ জয়ে সেমি নিশ্চিত হয়েছে আমাদের। কিন্তু এখানেই হাল ছেড়ে দিতে চাই না আমরা। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। জয়ের ধারায় থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লীগ পর্বে বাকি দুই ম্যাচেও জিততে চাই আমরা।’
এখন পর্যন্ত ৯০ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৫০টিতে এবং ভারতের জয় ৩৭ ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয়েছে ৩ ম্যাচ।
বিশ্বকাপেও ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচবারের মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩টিতে। ভারত জিতেছে ২ ম্যাচে। অবশ্য বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুই আসরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় আছে ভারতের।