বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের আগে কোনো এক সময় হলে এ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর কিছু ছিল না। এমন কি টুর্নামেন্টের শুরুর দিকের ম্যাচ হলেও না। কিন্তু বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিকে এসে এ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। ওয়াংখেড়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এরই মধ্যে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। সর্বাধিকবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল খেলার ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে। আজই তাদের শেষ চারে খেলার টিকিট নিশ্চিত হতে পারে। আবার আরো বেশি ঝুলে যেতে পারে। সে তুলনায় একটু পিছিয়ে আফগানিস্তান। আজকের জয় তাদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করবে। হারলে সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
সাত ম্যাচ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই তাদের স্থান। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৮। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
বিশ্বকাপে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। দুইবারই পুচকে আফগানদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে সর্বাধিকবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২০১৫ সালে আফগান বোলারদের বিধ্বস্ত করে ৬ উইকেটে ৪১৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জিতেছিল ২৭৫ রানে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে আফগানদের ২০৭ রানে অল আউট করে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল অজিরা।
তবে আগের দুই বিশ্বকাপে খেলা আফগানিস্তান ও বর্তমান আফগানিস্তান এক নয়। ওয়াংখেড়ে আজকের ম্যাচে আফগানদের আগের মতো উড়িয়ে দেওয়া যাবে এমনটা অস্ট্রেলিয়া কল্পনায়ও আনছে। এটা ঠিক যে, অস্ট্রেলিয়া টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে। পিছিয়ে নেই, আফগানিস্তানও। তাদের টানা তিন জয়। টুর্নামেন্টে তারা তিন সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়াকেও হারানোর সামর্থ্য আফগানিস্তানের বর্তমান দলটির রয়েছে। এ কথা আফগানরা যেমন বিশ্বাস করে তেমনি ভালোভাবে জানে অস্ট্রেলিয়া। স্পিন বোলিংয়ে বেশ দুর্বলতা রয়েছে অজিদের। অথচ আফগানিস্তান এই বিভাগে বেশ শক্তিশালী। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও নুর আহমদ নিয়ে গড়া স্পিন বিভাগ যে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধরণের সমস্যায় ফেলবে এটা নিশ্চিত। ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে আফগান বোলিংয়ে কুপোকাত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য সে ম্যাচে দুই পেসার নাভিন উল হক ও ফজল হক ফারুকী তাদের যথেষ্ঠ সমস্যায় ফেলেছিলেন।
ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের জন্য স্বর্গোদ্যান। আগে ব্যাট করে দলগুলো রানের পাহাড় গড়ছে। এবারের বিশ্বকাপে এখানে হওয়া তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলগুলো সাড়ে তিনশর ওপর রান করেছে। ফলে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের লড়াইটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠতে পারে।
মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের আগে কোনো এক সময় হলে এ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর কিছু ছিল না। এমন কি টুর্নামেন্টের শুরুর দিকের ম্যাচ হলেও না। কিন্তু বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিকে এসে এ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। ওয়াংখেড়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এরই মধ্যে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। সর্বাধিকবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল খেলার ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে। আজই তাদের শেষ চারে খেলার টিকিট নিশ্চিত হতে পারে। আবার আরো বেশি ঝুলে যেতে পারে। সে তুলনায় একটু পিছিয়ে আফগানিস্তান। আজকের জয় তাদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করবে। হারলে সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
সাত ম্যাচ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই তাদের স্থান। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৮। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
বিশ্বকাপে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। দুইবারই পুচকে আফগানদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে সর্বাধিকবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২০১৫ সালে আফগান বোলারদের বিধ্বস্ত করে ৬ উইকেটে ৪১৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জিতেছিল ২৭৫ রানে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে আফগানদের ২০৭ রানে অল আউট করে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল অজিরা।
তবে আগের দুই বিশ্বকাপে খেলা আফগানিস্তান ও বর্তমান আফগানিস্তান এক নয়। ওয়াংখেড়ে আজকের ম্যাচে আফগানদের আগের মতো উড়িয়ে দেওয়া যাবে এমনটা অস্ট্রেলিয়া কল্পনায়ও আনছে। এটা ঠিক যে, অস্ট্রেলিয়া টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে। পিছিয়ে নেই, আফগানিস্তানও। তাদের টানা তিন জয়। টুর্নামেন্টে তারা তিন সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়াকেও হারানোর সামর্থ্য আফগানিস্তানের বর্তমান দলটির রয়েছে। এ কথা আফগানরা যেমন বিশ্বাস করে তেমনি ভালোভাবে জানে অস্ট্রেলিয়া। স্পিন বোলিংয়ে বেশ দুর্বলতা রয়েছে অজিদের। অথচ আফগানিস্তান এই বিভাগে বেশ শক্তিশালী। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও নুর আহমদ নিয়ে গড়া স্পিন বিভাগ যে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধরণের সমস্যায় ফেলবে এটা নিশ্চিত। ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে আফগান বোলিংয়ে কুপোকাত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য সে ম্যাচে দুই পেসার নাভিন উল হক ও ফজল হক ফারুকী তাদের যথেষ্ঠ সমস্যায় ফেলেছিলেন।
ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের জন্য স্বর্গোদ্যান। আগে ব্যাট করে দলগুলো রানের পাহাড় গড়ছে। এবারের বিশ্বকাপে এখানে হওয়া তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলগুলো সাড়ে তিনশর ওপর রান করেছে। ফলে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের লড়াইটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠতে পারে।