alt

ভারতের স্বপ্ন ভেঙে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক : রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

ট্রফি হাতে উল্লসিত চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৪১ রানের। তবে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মোহাম্মদ শামি-জাসপ্রিত বুমরাহদের বোলিং তোপে ৪৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।

তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। ট্রাভিস হেড আর মার্নাস লাবুশেনের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালের রান তাড়ায় সর্বোচ্চ জুটি এখন হেড ও লাবুশেনের ১৭২ রান, সব মিলিয়ে ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। প্রথমটি ১৯৯৬ সালে করেছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।

সিরাজের শর্ট বলে ডিপ মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন হেড। অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২ রান। ৪৩তম ওভারের শেষ বলে সিরাজের বলে পুল করে জয়সুচক দুই রান নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩ বলে ৭ করে মোহাম্মদ শামির বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ হন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৫ বলে ১৫ করে মিচেল মার্শ হন জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার। উইকেটরক্ষক নেন ক্যাচ।

এরপর মাত্র ৪ রান করে স্টিভেন স্মিথও বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। যদিও স্মিথ আউট ছিলেন না। বল বাইরে পিচ করেছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলে আর রিভিউ নেননি স্মিথ।

এর আগে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুলের লড়াকু ফিফটির পরও পুরো ৫০ ওভার খেললে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা মানেই ভারতের ঝোড়ো সূচনা। ব্যত্যয় ঘটেনি ফাইনালেও। শুরুতে ওপেনার শুভমান গিলের (৭ বলে ৪) উইকেট হারিয়ে ফেললেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছে ভারত।

রোহিত মারকুটে ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তবে ৩১ বলে ৪৭ করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপরই ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া।

১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল। এরপর টানা ১৬ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশেষে ২৭তম ওভারে এসে সেই বাউন্ডারিখরা কাটান লোকেশ রাহুল।

এর আগে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দলীয় ৩০ রানের মাথায় মিচেল স্টার্ক ফেরান শুভমান গিলকে (৭ বলে ৪)। এরপর কামিন্স দ্রুতই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। তিনি এসেই সাফল্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ১০ম ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। সাজঘরে ফেরান রোহিত শর্মাকে।

ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি রোহিত। শট খেলতে গেলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় অফসাইডে। ট্রাভিস হেড কভার অঞ্চল থেকে পেছনে গিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।

এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি বাউন্ডারি মেরে তিনিও ফিরে গেলেন। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আয়ার। ৮১ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল খোলসে ঢুকে পড়েন। দলকে এগিয়ে নিতে দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বল খেলে তারা ধীরগতিতে যোগ করেন ৬৭ রান।

অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে কোহলির দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৫৪ রানের।

রবীন্দ্র জাদেজা সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন লোকেশ রাহুল। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক।

৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ১০৭ বলের ইনিংসে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাকান তিনি। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও (৬) সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।

এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি ভারত। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার সূর্যকুমারের ওপর ভরসা ছিল। তিনিও ২৮ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

ইনিংসের শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজ দুই নিতে গেলে রানআউটের কবলে পড়েন কুলদ্বীপ যাদব। তাতেই ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৩টি, প্যাট কামিন্স আর জস হ্যাজেলউড নেন ২টি করে উইকেট।

ভারত জিতে এসেছিল টানা ১০ ম্যাচ, টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল তারা, যে জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানীতে চলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের জয়রথ ছুটেছে, অস্ট্রেলিয়া খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেরিয়ে এসেছে একের পর এক বাধা। সর্বশেষ সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কঠিন লড়াই করে আসতে হয়েছে তাদের।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল। সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে থমকে গেল ভারত। এবারের বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল রোহিত শর্মার ভারত। সেটিও ঘরের মাঠে ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে।

ছবি

জয়ের অপরাজিত ১৬৯ রানে মজবুত অবস্থানে বাংলাদেশ

ছবি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচ প্লে-অফের প্রথমটি বৃহস্পতিবার

ছবি

মিশ্র ইভেন্টের স্বর্ণের লড়াইয়ে বাংলাদেশ

ছবি

’২৬ বিশ্বকাপ: খেলবেন রোনালদো, বোঝা হতে চান না মেসি

ছবি

আসিফ আকবরকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম

ছবি

ক্যাচ মিসের সুবিধা নিয়ে ১ম দিন আইরিশদের স্কোর ২৭০/৮

ছবি

ভারত ম্যাচকে ঘিরেই কোচের মূল পরিকল্পনা

ছবি

দেশের মানুষের ভালোবাসা খুব লালন করি: হামজা

ছবি

বার্সেলোনার মাঠে হাজির মেসি, আবার স্পেনে খেলা নিয়ে জল্পনা

ছবি

টাইগারদের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ে খুশি মাহমুদ

ছবি

কুলসুমকে ঘিরেই এখন বাংলাদেশের প্রত্যাশা

ছবি

ইসলামিক গেমস: পুরুষ টিটি দলের বিদায়

ছবি

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ড্র

ছবি

মাহেদির ব্যাটিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষে খুলনা

ছবি

বিশ্বকাপে ইতালিকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ফিফার বিরুদ্ধে

বিসিবি পরিচালকের রুচিহীন মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন বাফুফে সভাপতি

ছবি

কমনওয়েলথ দাবায় নিজ গ্রুপে শীর্ষে ওয়ারিসা ও লুবাবা

ছবি

বাংলাদেশকে হারিয়ে ইরানি মেয়েদের ব্রোঞ্জ, প্রথম পদক উজবেকিস্তানের

ছবি

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকেট ছয় মিনিটে শেষ!

ছবি

শক্তিশালী চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ

ছবি

দলের স্বার্থেই টেস্ট দলের নেতৃতে ফিরেছি: শান্ত

ছবি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম টেস্ট শুরু আজ

দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী, ভারত ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা

ছবি

বাছাই পর্বে বাংলাদেশি আর্চারদের মধ্যে উজ্জ্বল রামকৃষ্ণ ও বন্যা

ছবি

জাতীয় দলের ক্যাম্পে কিউবা মিচেল, হামজা আসছেন আজ, শমিত কাল

ছবি

জাহানারার অভিযোগে নাম আসা চার কর্মকর্তাকে ওএসডি করলো বিসিবি

ছবি

ভারোত্তোলক ইকরার ব্রোঞ্জ পদক

ছবি

তামিমের সেঞ্চুরিতে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করেছে যুবারা

ছবি

লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক ক্রিকেটে পাক-ভারত ম্যাচের সম্ভাবনা ক্ষীণ

ছবি

নারী হকিতে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন

ছবি

যুব হকি বিশ্বকাপ খেলতে ১৮ নভেম্বর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ

ছবি

ব্রিসবেনে শেষ টি-২০ বৃষ্টিতে পণ্ড, সিরিজ জিতলো ভারত

ছবি

জাতীয় লীগ: চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহ

ছবি

অনুশীলনে জাতীয় নারী ফুটবল দল নারী ফুটবল লীগ এবার জমজমাট হচ্ছে

ছবি

হংকং সিক্সেস সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান

ছবি

মোহামেডানের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পর

tab

ভারতের স্বপ্ন ভেঙে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক

ট্রফি হাতে উল্লসিত চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৪১ রানের। তবে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মোহাম্মদ শামি-জাসপ্রিত বুমরাহদের বোলিং তোপে ৪৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।

তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। ট্রাভিস হেড আর মার্নাস লাবুশেনের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালের রান তাড়ায় সর্বোচ্চ জুটি এখন হেড ও লাবুশেনের ১৭২ রান, সব মিলিয়ে ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। প্রথমটি ১৯৯৬ সালে করেছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।

সিরাজের শর্ট বলে ডিপ মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন হেড। অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২ রান। ৪৩তম ওভারের শেষ বলে সিরাজের বলে পুল করে জয়সুচক দুই রান নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩ বলে ৭ করে মোহাম্মদ শামির বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ হন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৫ বলে ১৫ করে মিচেল মার্শ হন জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার। উইকেটরক্ষক নেন ক্যাচ।

এরপর মাত্র ৪ রান করে স্টিভেন স্মিথও বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। যদিও স্মিথ আউট ছিলেন না। বল বাইরে পিচ করেছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলে আর রিভিউ নেননি স্মিথ।

এর আগে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুলের লড়াকু ফিফটির পরও পুরো ৫০ ওভার খেললে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা মানেই ভারতের ঝোড়ো সূচনা। ব্যত্যয় ঘটেনি ফাইনালেও। শুরুতে ওপেনার শুভমান গিলের (৭ বলে ৪) উইকেট হারিয়ে ফেললেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছে ভারত।

রোহিত মারকুটে ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তবে ৩১ বলে ৪৭ করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপরই ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া।

১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল। এরপর টানা ১৬ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশেষে ২৭তম ওভারে এসে সেই বাউন্ডারিখরা কাটান লোকেশ রাহুল।

এর আগে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দলীয় ৩০ রানের মাথায় মিচেল স্টার্ক ফেরান শুভমান গিলকে (৭ বলে ৪)। এরপর কামিন্স দ্রুতই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। তিনি এসেই সাফল্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ১০ম ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। সাজঘরে ফেরান রোহিত শর্মাকে।

ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি রোহিত। শট খেলতে গেলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় অফসাইডে। ট্রাভিস হেড কভার অঞ্চল থেকে পেছনে গিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।

এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি বাউন্ডারি মেরে তিনিও ফিরে গেলেন। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আয়ার। ৮১ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল খোলসে ঢুকে পড়েন। দলকে এগিয়ে নিতে দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বল খেলে তারা ধীরগতিতে যোগ করেন ৬৭ রান।

অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে কোহলির দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৫৪ রানের।

রবীন্দ্র জাদেজা সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন লোকেশ রাহুল। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক।

৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ১০৭ বলের ইনিংসে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাকান তিনি। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও (৬) সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।

এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি ভারত। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার সূর্যকুমারের ওপর ভরসা ছিল। তিনিও ২৮ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

ইনিংসের শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজ দুই নিতে গেলে রানআউটের কবলে পড়েন কুলদ্বীপ যাদব। তাতেই ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৩টি, প্যাট কামিন্স আর জস হ্যাজেলউড নেন ২টি করে উইকেট।

ভারত জিতে এসেছিল টানা ১০ ম্যাচ, টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল তারা, যে জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানীতে চলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের জয়রথ ছুটেছে, অস্ট্রেলিয়া খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেরিয়ে এসেছে একের পর এক বাধা। সর্বশেষ সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কঠিন লড়াই করে আসতে হয়েছে তাদের।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল। সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে থমকে গেল ভারত। এবারের বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল রোহিত শর্মার ভারত। সেটিও ঘরের মাঠে ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে।

back to top