প্রথমবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ নবম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে আজ (সকালে ৬.৩০মি.) ত্রিনিদাদে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা । অঘটনের ও অঘটনের জম্মদিয়ে আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া আফগানিস্তান ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না । গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় আফগানরা। গ্রুপ রানার্স-আপ সুপার এইটে উঠে আরও বড় চমক দেখায় রশিদ খানের দলটি। ভারতের কাছে হারলেও, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়।
সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনাল স্বপ্নের মতো লাগছে জানিয়ে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা, দল হিসেবে এটি আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছি, নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর বিশ্বাসটা চলে আসে। এটি অবিশ্বাস্য। অনুভূতি বোঝানোর মতো ভাষা নেই আমার। এত বড় অর্জনে দেশের সবাই নিশ্চিতভাবেই আমাদের নিয়ে অনেক খুশি।’
এবার সেমিফাইনালেও চমক দেখিয়ে বাজিমাত করতে চায় আফগানিস্তান। ফাইনালের টিকেট পেতে মরিয়া রশিদ বলেন, ‘আমাদের সামনে ফাইনালে খেলার সেরা সুযোগ এসেছে। আমরা ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। পুরো দল উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী। সেমিফাইনালে সেরা ক্রিকেট খেলতে মরিয়া তারা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল, কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।’
অন্যদিকে টানা ৭ জয়ের ৬টিতে ঘাম ঝরিয়ে ও ভাগ্যের জোরে নকআউট পর্বে উঠে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে মঞ্চে শ্বাসরুদ্ধকর জয় চায় না। প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লেখানোর স্বপ্ন অধিনায়ক আইডেন মার্করামের, ‘সেমিফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ তৃপ্তি । সেমিতে দাপটের সঙ্গে জিততে চাই। আগের সাত ম্যাচে অনেক ভুল করেছি । আশা করি, সেমিতে পুরনো ভুলগুলো হবে না। তবে এটি সত্যি, আমরা এখন পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। বোলিং ইউনিট দুর্দান্ত করেছে। পাশাপাশি ব্যাটিং ইউনিট সময়মতো নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছে। আশা করি, সেমিতে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।’
ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে খেলতে নেমে তীরে এসে তরি ডুবায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবার সেমিফাইনালে এবং টি-২০ বিশ্বকাপে দু’বার সেমিতে বিদায় নেয়ায়, প্রোটিয়াদের গায়ে ‘চোকার্স’ শব্দটি স্থায়ী বসে গিয়েছে।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেকে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও কি ‘চোকার্স’ শব্দকে নিজেদের সঙ্গে আরও জোরালো করবে প্রোটিয়ারা? এমন প্রশ্নের জবাবে মার্করাম বলেন, ‘অতীতের পরিসংখ্যান নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের সামনে এখন নতুন একটি ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে তারা। আমরাও আফগানদের সামলাতে প্রস্তুত।’
এখন পর্যন্ত টি-২০’তে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান। দু’বারই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হওয়া ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
প্রথমবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ নবম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে আজ (সকালে ৬.৩০মি.) ত্রিনিদাদে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা । অঘটনের ও অঘটনের জম্মদিয়ে আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া আফগানিস্তান ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না । গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় আফগানরা। গ্রুপ রানার্স-আপ সুপার এইটে উঠে আরও বড় চমক দেখায় রশিদ খানের দলটি। ভারতের কাছে হারলেও, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়।
সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনাল স্বপ্নের মতো লাগছে জানিয়ে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা, দল হিসেবে এটি আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছি, নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর বিশ্বাসটা চলে আসে। এটি অবিশ্বাস্য। অনুভূতি বোঝানোর মতো ভাষা নেই আমার। এত বড় অর্জনে দেশের সবাই নিশ্চিতভাবেই আমাদের নিয়ে অনেক খুশি।’
এবার সেমিফাইনালেও চমক দেখিয়ে বাজিমাত করতে চায় আফগানিস্তান। ফাইনালের টিকেট পেতে মরিয়া রশিদ বলেন, ‘আমাদের সামনে ফাইনালে খেলার সেরা সুযোগ এসেছে। আমরা ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। পুরো দল উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী। সেমিফাইনালে সেরা ক্রিকেট খেলতে মরিয়া তারা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল, কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।’
অন্যদিকে টানা ৭ জয়ের ৬টিতে ঘাম ঝরিয়ে ও ভাগ্যের জোরে নকআউট পর্বে উঠে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে মঞ্চে শ্বাসরুদ্ধকর জয় চায় না। প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লেখানোর স্বপ্ন অধিনায়ক আইডেন মার্করামের, ‘সেমিফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ তৃপ্তি । সেমিতে দাপটের সঙ্গে জিততে চাই। আগের সাত ম্যাচে অনেক ভুল করেছি । আশা করি, সেমিতে পুরনো ভুলগুলো হবে না। তবে এটি সত্যি, আমরা এখন পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। বোলিং ইউনিট দুর্দান্ত করেছে। পাশাপাশি ব্যাটিং ইউনিট সময়মতো নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছে। আশা করি, সেমিতে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।’
ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে খেলতে নেমে তীরে এসে তরি ডুবায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবার সেমিফাইনালে এবং টি-২০ বিশ্বকাপে দু’বার সেমিতে বিদায় নেয়ায়, প্রোটিয়াদের গায়ে ‘চোকার্স’ শব্দটি স্থায়ী বসে গিয়েছে।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেকে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও কি ‘চোকার্স’ শব্দকে নিজেদের সঙ্গে আরও জোরালো করবে প্রোটিয়ারা? এমন প্রশ্নের জবাবে মার্করাম বলেন, ‘অতীতের পরিসংখ্যান নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের সামনে এখন নতুন একটি ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে তারা। আমরাও আফগানদের সামলাতে প্রস্তুত।’
এখন পর্যন্ত টি-২০’তে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান। দু’বারই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হওয়া ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।