ম্যাচ শুরুর প্রথমার্ধেই দুটি শট নিয়ে দুটিতেই গোল পেঢে বড় ব্যবধান তৈরি করল রেয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পরেই আরও একটি গোল দিয়ে জয়ের পথে থাকলেও শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল দেপোর্তিভো আলাভেস। প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ সামলে উত্তেজনায় ঠাসা বাকি সময়টা কাটিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল রেয়াল।
রেয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তির কোচিং ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ ছিল এটি। লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে দেপর্তিভো আলাভাসকে ৩-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন গোল খেয়েই ম্যাচ শুরু করে আলাভেস। ম্যাচের ৫৪তম সেকেন্ডে বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে গোললাইনের কাছ থেকে গোলমুখে থাকা লুকাস ভাসকেসকে পাস দেন ভিনিসিউস। বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল আদায় করে নেন ভাসকেস। ফলে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার প্রথম মিনিটেই সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ৩৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক।
ষষ্ঠ মিনিটি সমতায় ফেরার একটি ভালো সুযোগ তৈরি করে আলাভেস, কিন্তু ছয় গজ বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া উগো নোভার দূরের পোস্টে পাঠানো জোরালো ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন দলটির মিডফিল্ডার তমাস কোনেচি। ফলে তীরে গিয়েও তরী ডোবে তাদের।
এর বেশ কিছুক্ষণ পর ম্যাচের ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে, কিন্তু বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকার মুখে এমবাপ্পেকে যখন পাস বাড়ান ভিসিনিউস, তখন তিনি অফসাইড ছিলেন। ফলে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়েও হতাশ হন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
এরপর আরও কিছু সময় ধরে একের পর এক সুযোগ খুঁজতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ব্যবধান বাড়ায় ৪০তম মিনিটে। প্রথমবার অফসাইডের কারণে হতাশ হলেও দ্বিতীয়বারে বক্সের ভেতরে বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। এই গোলের মাধ্যমে লিগে ৭ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা হলো পাঁচটি, যার চারটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। শুধু তা-ই নয়, এখন পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে প্রতি ম্যাচেই অন্তত একটি গোলে অবদান রাখলেন ২৫ বছর বয়সী এই তারকা।
এরপর আরও চেষ্টা করেছিল রিয়াল, কিন্তু বিরতির আগে আর সফলতা পায়নি দলটি। প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে গোলের উদ্দেশে আটটি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ, যার তিনটি শট লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, চারটি শট থেকে মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় রুক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা আলাভেস।
প্রথমার্ধ যেভাবে শুরু করে রিয়াল, দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুটাও একইরকমভাবে গোলের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার তৃতীয় মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো।
মাঝমাঠ থেকে লুকাস ভাসকেসের দেওয়া পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে একক নৈপুণ্যে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ব্রাজিলীয়। আলাভেসের ম্যাচের ফেরার আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
এদিন ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে নামেন এন্দ্রিক। মাঠে নামার তৃতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ প্রতিভা। বল নিয়ে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট বরাবর নিচু শট নেন তিনি। শটটি প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে উপরে উঠে যায়। এরপর ক্রসবারের কোনায় লেগে ফিরে এলে হতাশ হন এন্দ্রিক।
চার মিনিট পর আলাভেসের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে ব্যবধান কমানোর সুযোগবঞ্চিত হয় তারা।
তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে প্রথম গোলটি পেয়ে যায় আলাভেস। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে রিয়ালের ভুল পাস ধরে বক্সের একটু বাইরে থেকে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন কার্লোস বেনাভিদেস।
দুই মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটি করে শেষদিকে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের মনে ভীতি ছড়ায় আলাভেস। মাঝ মাঠের কিছুটা সামনে থেকে দারুণ একটি উড়ন্ত লং পাস বাড়ান বেনাভিদেস। দ্রুতগতিতে বক্সে ঢুকে বল ধরেই অসাধারণ দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন আলাভেস ফরোয়ার্ড কিকে গার্সিয়া। এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারীরা। এরইমাঝে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে আরও একটি শট নেন এন্দ্রিক। তবে তার সেই শটটিও ঠেকিয়ে দেন আলাভেস গোলরক্ষক।
এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের বুক কাঁপানো আরও একটি শট নিয়েছিল আলাভেস। তবে তা থেকে গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেই মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল রেয়াল। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতালান ক্লাবটি।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ম্যাচ শুরুর প্রথমার্ধেই দুটি শট নিয়ে দুটিতেই গোল পেঢে বড় ব্যবধান তৈরি করল রেয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পরেই আরও একটি গোল দিয়ে জয়ের পথে থাকলেও শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল দেপোর্তিভো আলাভেস। প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ সামলে উত্তেজনায় ঠাসা বাকি সময়টা কাটিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল রেয়াল।
রেয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তির কোচিং ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ ছিল এটি। লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে দেপর্তিভো আলাভাসকে ৩-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন গোল খেয়েই ম্যাচ শুরু করে আলাভেস। ম্যাচের ৫৪তম সেকেন্ডে বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে গোললাইনের কাছ থেকে গোলমুখে থাকা লুকাস ভাসকেসকে পাস দেন ভিনিসিউস। বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল আদায় করে নেন ভাসকেস। ফলে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার প্রথম মিনিটেই সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ৩৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক।
ষষ্ঠ মিনিটি সমতায় ফেরার একটি ভালো সুযোগ তৈরি করে আলাভেস, কিন্তু ছয় গজ বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া উগো নোভার দূরের পোস্টে পাঠানো জোরালো ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন দলটির মিডফিল্ডার তমাস কোনেচি। ফলে তীরে গিয়েও তরী ডোবে তাদের।
এর বেশ কিছুক্ষণ পর ম্যাচের ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে, কিন্তু বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকার মুখে এমবাপ্পেকে যখন পাস বাড়ান ভিসিনিউস, তখন তিনি অফসাইড ছিলেন। ফলে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়েও হতাশ হন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
এরপর আরও কিছু সময় ধরে একের পর এক সুযোগ খুঁজতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ব্যবধান বাড়ায় ৪০তম মিনিটে। প্রথমবার অফসাইডের কারণে হতাশ হলেও দ্বিতীয়বারে বক্সের ভেতরে বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। এই গোলের মাধ্যমে লিগে ৭ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা হলো পাঁচটি, যার চারটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। শুধু তা-ই নয়, এখন পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে প্রতি ম্যাচেই অন্তত একটি গোলে অবদান রাখলেন ২৫ বছর বয়সী এই তারকা।
এরপর আরও চেষ্টা করেছিল রিয়াল, কিন্তু বিরতির আগে আর সফলতা পায়নি দলটি। প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে গোলের উদ্দেশে আটটি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ, যার তিনটি শট লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, চারটি শট থেকে মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় রুক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা আলাভেস।
প্রথমার্ধ যেভাবে শুরু করে রিয়াল, দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুটাও একইরকমভাবে গোলের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার তৃতীয় মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো।
মাঝমাঠ থেকে লুকাস ভাসকেসের দেওয়া পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে একক নৈপুণ্যে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ব্রাজিলীয়। আলাভেসের ম্যাচের ফেরার আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
এদিন ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে নামেন এন্দ্রিক। মাঠে নামার তৃতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ প্রতিভা। বল নিয়ে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট বরাবর নিচু শট নেন তিনি। শটটি প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে উপরে উঠে যায়। এরপর ক্রসবারের কোনায় লেগে ফিরে এলে হতাশ হন এন্দ্রিক।
চার মিনিট পর আলাভেসের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে ব্যবধান কমানোর সুযোগবঞ্চিত হয় তারা।
তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে প্রথম গোলটি পেয়ে যায় আলাভেস। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে রিয়ালের ভুল পাস ধরে বক্সের একটু বাইরে থেকে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন কার্লোস বেনাভিদেস।
দুই মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটি করে শেষদিকে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের মনে ভীতি ছড়ায় আলাভেস। মাঝ মাঠের কিছুটা সামনে থেকে দারুণ একটি উড়ন্ত লং পাস বাড়ান বেনাভিদেস। দ্রুতগতিতে বক্সে ঢুকে বল ধরেই অসাধারণ দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন আলাভেস ফরোয়ার্ড কিকে গার্সিয়া। এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারীরা। এরইমাঝে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে আরও একটি শট নেন এন্দ্রিক। তবে তার সেই শটটিও ঠেকিয়ে দেন আলাভেস গোলরক্ষক।
এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের বুক কাঁপানো আরও একটি শট নিয়েছিল আলাভেস। তবে তা থেকে গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেই মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল রেয়াল। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতালান ক্লাবটি।