কানপুরে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিতীয় টেস্টের সময় গ্যালারিতে বাংলাদেশ দলের সুপার ফ্যান ‘টাইগার রবি’কে ভারতীয় সমর্থকেরা হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তাঁর পাঁজরে আঘাত করার কথাও বলেছেন বাংলাদেশ দলের এই সমর্থক। পরে তাঁকে পুলিশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার হামলার হুমকি ছিল। তবে কানপুর টেস্ট শুরু হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে কানপুরে। কিন্তু বাংলাদেশি দর্শকের ওপর হামলা ঠেকাতে পারল না বিসিসিআই।
শুধু তা-ই নয়, রবির শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। রবির দাবি, কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ১৫ জন ভারতীয় তাকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্ত বলেছেন, “সকাল থেকে ভিড়ের (ভারতীয় দর্শকদের) একটা অংশ আমাকে গালাগালি করেছে। (প্রথম দিনের) লাঞ্চের ঘোষণা হলে আমি শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হকের নাম বলতে লাগলাম।”
এরপরই তার গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ রবির, “এর মধ্যে কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিতে শুরু করে, আমার মাসকট (টাইগার) ও আমার পতাকা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে মারতে শুরু করে।”
যদিও উত্তর প্রদেশ পুলিশ রবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, কোনও প্রকার লাঞ্ছনার শিকার হননি রবি। উল্টো এক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, “পানিশূন্যতার কারণে তিনি (রবি) পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি কারও দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার হননি।”
সংবাদসংস্থা পিটিআই এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সুপার ফ্যান টাইগার রবিকে কিছু ব্যক্তি মেরেছেন বলে অভিযোগ। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে৷ বিস্তারিত খবরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে৷’’
কানপুরে কড়া নিরাপত্তা
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চান্দের বলেছেন, দুই দলের ক্রিকেটারদের জন্য এবং মাঠের দর্শকদের জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেক্রিকেটারদের হোটেল থেকে মাঠে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা সিল করে দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভিতরে এক হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে৷ ক্রিকেটার ও ভিআইপি-দের জন্য দুই হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত সোমবার হিন্দু মহাসভার কিছু কর্মী গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে যজ্ঞ করে। তারপর ২০ জন হিন্দু মহাসভা নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
চান্দের বলেছেন, তারা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না৷ দুই দলের ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে, তারা যেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব নীতিনির্দেশিকা মেনে চলেন।
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কানপুরে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিতীয় টেস্টের সময় গ্যালারিতে বাংলাদেশ দলের সুপার ফ্যান ‘টাইগার রবি’কে ভারতীয় সমর্থকেরা হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তাঁর পাঁজরে আঘাত করার কথাও বলেছেন বাংলাদেশ দলের এই সমর্থক। পরে তাঁকে পুলিশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার হামলার হুমকি ছিল। তবে কানপুর টেস্ট শুরু হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে কানপুরে। কিন্তু বাংলাদেশি দর্শকের ওপর হামলা ঠেকাতে পারল না বিসিসিআই।
শুধু তা-ই নয়, রবির শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। রবির দাবি, কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ১৫ জন ভারতীয় তাকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্ত বলেছেন, “সকাল থেকে ভিড়ের (ভারতীয় দর্শকদের) একটা অংশ আমাকে গালাগালি করেছে। (প্রথম দিনের) লাঞ্চের ঘোষণা হলে আমি শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হকের নাম বলতে লাগলাম।”
এরপরই তার গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ রবির, “এর মধ্যে কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিতে শুরু করে, আমার মাসকট (টাইগার) ও আমার পতাকা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে মারতে শুরু করে।”
যদিও উত্তর প্রদেশ পুলিশ রবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, কোনও প্রকার লাঞ্ছনার শিকার হননি রবি। উল্টো এক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, “পানিশূন্যতার কারণে তিনি (রবি) পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি কারও দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার হননি।”
সংবাদসংস্থা পিটিআই এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সুপার ফ্যান টাইগার রবিকে কিছু ব্যক্তি মেরেছেন বলে অভিযোগ। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে৷ বিস্তারিত খবরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে৷’’
কানপুরে কড়া নিরাপত্তা
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চান্দের বলেছেন, দুই দলের ক্রিকেটারদের জন্য এবং মাঠের দর্শকদের জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেক্রিকেটারদের হোটেল থেকে মাঠে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা সিল করে দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভিতরে এক হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে৷ ক্রিকেটার ও ভিআইপি-দের জন্য দুই হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত সোমবার হিন্দু মহাসভার কিছু কর্মী গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে যজ্ঞ করে। তারপর ২০ জন হিন্দু মহাসভা নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
চান্দের বলেছেন, তারা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না৷ দুই দলের ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে, তারা যেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব নীতিনির্দেশিকা মেনে চলেন।