হান্সি ফ্লিকের অধীনে কেমন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দল ছিল বায়ার্ন মিউনিখ- তা হয়তো বার্সেলোনার চেয়ে বেশি অন্য কোনো প্রতিপক্ষের বোঝার কথা নয়। ক্লাবটির ভক্তদের দুঃস্বপ্নে এখনো তাড়া করে বেড়ায় ৮-২ গোলে হারের স্মৃতি।
বাস্তবতা পাল্টে সেই ফ্লিক এখন বার্সারই কোচ। ফ্লিককে সঙ্গী করেই এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল তারা। রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৪-১ গোলের অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রেফারির শুরুর বাঁশি বাজার পর বায়ার্ন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। বায়ার্নের ডিফেন্সকে টপকে ফারমিন লোপেসের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সার দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। ২০০৫ সালে পানাথিনাইকোসের বিপক্ষে ৩৬ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন মার্ক ফন বোমেল।
মাত্র ৫৪ সেকেন্ডে পিছিয়ে যাওয়ার পর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। তাতে দুবার গোলের দেখা পান না হ্যারি কেইন। তবে এর মধ্যে একটি গোল অবশ্য বাতিল অফসাইডের কারণে। কিন্তু ১৮ মিনিটের বেলায় আর কোনো ভুল করেননি এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে সার্জ গ্যানাব্রির পাঠানো নিচু ক্রসে পাওয়া বল দুর্দান্ত ভলিতে জালে পাঠান তিনি।
ম্যাচে বায়ার্নের দাপট ছিল ওই সময়টুকুই। হান্সি ফ্লিকের এই বার্সা যে ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ মিলল আবারও। প্রথমার্ধের ভেতর তাই বায়ার্ন পিছিয়ে পড়ল আবারও। তবু একবার নয় দুবার। ৩৬ মিনিটে লামিন ইয়ামালের কাছ থেকে বল নিয়ে নয়্যারকে টপকাতে চেয়েছিলেন ফেরমিন লোপেস। তাকে ঠেকানোর জন্য খানিকটা ওপরে চলে আসেন নয়্যারও। লোপেসকে আটকাতে সফল হলেও রবের্ত লেভানদোভস্কির ফিরতি শট আর ঠেকাতে পারেননি।
জার্মান গোলরক্ষকের জন্য রাতটি একদমই মনে রাখার মতো ছিল না। বিরতির আগে ৪৫ মিনিটে মার্ক কাসাদোর সহায়তায় ডান পায়ের শটে তাকে আবারও হতাশায় ডোবান রাফিনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই বলা যায় বার্সাময়। ৫৬ মিনিটে রাফিনিয়ার তৃতীয় গোলটি বরং বায়ার্নের ফিরে আসার সম্ভাবনা আরও ফিকে করে দেয়। ইয়ামালের নিখুঁত পাস বেশ ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর নিচু কোনা দিয়ে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। এর আগে বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক করার ইতিহাস আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সের্হিও আগুয়েরো ও রয় ম্যাকের।
রাফিনিয়ার এমন জাদুকরী পারফরম্যান্সেই প্রায় এক দশকে বায়ার্নকে প্রথমবার হারানোর স্বাদ পেল বার্সা। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশে আছে তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
হান্সি ফ্লিকের অধীনে কেমন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দল ছিল বায়ার্ন মিউনিখ- তা হয়তো বার্সেলোনার চেয়ে বেশি অন্য কোনো প্রতিপক্ষের বোঝার কথা নয়। ক্লাবটির ভক্তদের দুঃস্বপ্নে এখনো তাড়া করে বেড়ায় ৮-২ গোলে হারের স্মৃতি।
বাস্তবতা পাল্টে সেই ফ্লিক এখন বার্সারই কোচ। ফ্লিককে সঙ্গী করেই এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল তারা। রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৪-১ গোলের অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রেফারির শুরুর বাঁশি বাজার পর বায়ার্ন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। বায়ার্নের ডিফেন্সকে টপকে ফারমিন লোপেসের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সার দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। ২০০৫ সালে পানাথিনাইকোসের বিপক্ষে ৩৬ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন মার্ক ফন বোমেল।
মাত্র ৫৪ সেকেন্ডে পিছিয়ে যাওয়ার পর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। তাতে দুবার গোলের দেখা পান না হ্যারি কেইন। তবে এর মধ্যে একটি গোল অবশ্য বাতিল অফসাইডের কারণে। কিন্তু ১৮ মিনিটের বেলায় আর কোনো ভুল করেননি এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে সার্জ গ্যানাব্রির পাঠানো নিচু ক্রসে পাওয়া বল দুর্দান্ত ভলিতে জালে পাঠান তিনি।
ম্যাচে বায়ার্নের দাপট ছিল ওই সময়টুকুই। হান্সি ফ্লিকের এই বার্সা যে ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ মিলল আবারও। প্রথমার্ধের ভেতর তাই বায়ার্ন পিছিয়ে পড়ল আবারও। তবু একবার নয় দুবার। ৩৬ মিনিটে লামিন ইয়ামালের কাছ থেকে বল নিয়ে নয়্যারকে টপকাতে চেয়েছিলেন ফেরমিন লোপেস। তাকে ঠেকানোর জন্য খানিকটা ওপরে চলে আসেন নয়্যারও। লোপেসকে আটকাতে সফল হলেও রবের্ত লেভানদোভস্কির ফিরতি শট আর ঠেকাতে পারেননি।
জার্মান গোলরক্ষকের জন্য রাতটি একদমই মনে রাখার মতো ছিল না। বিরতির আগে ৪৫ মিনিটে মার্ক কাসাদোর সহায়তায় ডান পায়ের শটে তাকে আবারও হতাশায় ডোবান রাফিনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই বলা যায় বার্সাময়। ৫৬ মিনিটে রাফিনিয়ার তৃতীয় গোলটি বরং বায়ার্নের ফিরে আসার সম্ভাবনা আরও ফিকে করে দেয়। ইয়ামালের নিখুঁত পাস বেশ ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর নিচু কোনা দিয়ে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। এর আগে বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক করার ইতিহাস আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সের্হিও আগুয়েরো ও রয় ম্যাকের।
রাফিনিয়ার এমন জাদুকরী পারফরম্যান্সেই প্রায় এক দশকে বায়ার্নকে প্রথমবার হারানোর স্বাদ পেল বার্সা। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশে আছে তারা।