এল ক্লাসিকো ফুটবল প্রেমীদের কাছে এক উত্তেজনার রাত। ফুটবল বিশারদরা সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন, চোখ রাখেন, খবর সংগ্রহ করেন এই দ্বৈরথের। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১ টায় রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
লা লিগার বা স্প্যানিশ লিগের শিরোপা নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে এল ক্লাসিকোর ফলাফল। বিগত কয়েক বছরে যারা এল ক্লাসিকোতে জয়ী হয়েছে তারাই লা লিগার ট্রফি উৎসব করেছে।
শুধুই কি ট্রফি বা লিগ জয়? এল ক্লাসিকোঐতিহ্যের লড়াই হিসেবে উপাখ্যান পেয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি পর্দায় চোখ রাখে নিজ দলের জার্সি পরে টিভির সামনে বসে দলবেঁধে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরতলীতে অন্যদেশের সমর্থকরা জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে।
বাদ যায় না ঢাকাও। বড় বড় রেস্তোরাঁ গুলোতে খেলা দেখার আয়োজন করে দুদলের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসে ভক্ত, সমর্থকরা।
এই দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে অবশ্য দুই দল বেশ কাছাকাছি, সামান্য এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। মোট ২৫৭ ম্যাচের এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে প্রায় ৪২ শতাংশ বা ১০৫ ম্যাচ। আর বার্সেলোনার জয় প্রায় ৩৯ শতাংশ আর্থাৎ ১০০ ম্যাচ। ড্র হয়েছে বাকী ৫২ টি ম্যাচ।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি — ফুটবল ইতিহাসের দুই মহারথী নেই এখন এই দুই ক্লাবে। তবে তাতে বিন্দুমাত্র রং হারায়নি এল ক্লাসিকো।
এবারের এল ক্লাসিকো নতুন তারকা এমবাপ্পের জন্য প্রথম। আর বার্সেলোনার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা আজ।
ফ্লিকের নেতৃত্বেই বার্সেলোনা ১০ ম্যাচ শেষে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ফ্লিকের কোচিংয়ে বার্সেলোনার আক্রমণভাগ জ্বলে উঠেছে। গোল করে চলেছে লেভানদভস্কি, লামিনে ইয়ামাল এবং রাফিনিয়া। এই ত্রয়ী রীতিমতো তান্ডব চালায় প্রতিপক্ষের গোলবারে।
দুদিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখের জালে ৪ গোল দিয়ে বার্সেলোনা আগাম হুমকি দিয়ে রাখলো কিনা রিয়ালকে, তা সময়ই বলে দিবে।
লা লিগায় প্রথম ১০ ম্যাচে ৩৩ গোল করেছে বার্সেলোনা। হজম করেছে মাত্র ১০ গোল। যা ২০১৪/১৫ মৌসুমের পর সবচেয়ে বেশি। মেসি চলে যাবার পর বার্সার আক্রমণ ভাগ নিয়ে যে শংকা ছিলো তা কাটিয়ে উঠেছে। বার্সেলোনার ম্যাচ প্রতি গড় গোলের হার দেখলে তা প্রতীয়মান।
যোগ্য কোচের হাতে পরে রত্নে পরিনত হচ্ছে বার্সেলোনা — ফুটবল পাড়ায় এখন এটা জোর আলোচনা। তবে শুরুতে সবাই অবাক হয়েছিল জার্মান লং পাসিংয়ে অভ্যস্ত কোচ টিকিটাকার আতুরাশ্রম খ্যাত স্পেনে এসে মানাতে পারবে তো! তা আপাতত জয়ী হলেও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে আজ।
আর টানা ৪০ ম্যাচ লা লিগায় অপরাজিত রিয়ালের আক্রমণে রয়েছে পৃথিবীর সেরাদের কয়েকজন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এমবাপ্পে, জুড বেলিংহামরা কি করতে পারে তা অবশ্য বেশি দূর যেতে হয়না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ২ গোলে পিছিয়ে পরে ৫ গোল করে জয় — নিঃসন্দেহে রিয়ালের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াবে। ডর্টমুন্ড ম্যাচে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাট্টিক এবং তার দ্বিতীয় গোলটি — যা অন্য গ্রহের বলে শোরগোল চলছে চারিদিকে।
রিয়ালের ডিফেন্ডাররা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোলও করেন। ডর্টমুন্ড ম্যাচে আন্টোনিও রুডিগার গোল করে সমতা ফেরাতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, যা তার স্বভাবে পরিনত হয়েছে।
এই মৌসুমে লা লিগায় বার্সেলোনা হেরেছে শুধুমাত্র ওসাসুনার বিপক্ষে। রিয়াল হারেনি কোন ম্যাচ, ড্র করেছে তিনটি। বলা চলে আজ জমজমাট একটি ম্যাচের সাক্ষি হতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
এল ক্লাসিকো ফুটবল প্রেমীদের কাছে এক উত্তেজনার রাত। ফুটবল বিশারদরা সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন, চোখ রাখেন, খবর সংগ্রহ করেন এই দ্বৈরথের। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১ টায় রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
লা লিগার বা স্প্যানিশ লিগের শিরোপা নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে এল ক্লাসিকোর ফলাফল। বিগত কয়েক বছরে যারা এল ক্লাসিকোতে জয়ী হয়েছে তারাই লা লিগার ট্রফি উৎসব করেছে।
শুধুই কি ট্রফি বা লিগ জয়? এল ক্লাসিকোঐতিহ্যের লড়াই হিসেবে উপাখ্যান পেয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক টিভি পর্দায় চোখ রাখে নিজ দলের জার্সি পরে টিভির সামনে বসে দলবেঁধে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরতলীতে অন্যদেশের সমর্থকরা জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে।
বাদ যায় না ঢাকাও। বড় বড় রেস্তোরাঁ গুলোতে খেলা দেখার আয়োজন করে দুদলের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসে ভক্ত, সমর্থকরা।
এই দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে অবশ্য দুই দল বেশ কাছাকাছি, সামান্য এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। মোট ২৫৭ ম্যাচের এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে প্রায় ৪২ শতাংশ বা ১০৫ ম্যাচ। আর বার্সেলোনার জয় প্রায় ৩৯ শতাংশ আর্থাৎ ১০০ ম্যাচ। ড্র হয়েছে বাকী ৫২ টি ম্যাচ।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি — ফুটবল ইতিহাসের দুই মহারথী নেই এখন এই দুই ক্লাবে। তবে তাতে বিন্দুমাত্র রং হারায়নি এল ক্লাসিকো।
এবারের এল ক্লাসিকো নতুন তারকা এমবাপ্পের জন্য প্রথম। আর বার্সেলোনার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা আজ।
ফ্লিকের নেতৃত্বেই বার্সেলোনা ১০ ম্যাচ শেষে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ফ্লিকের কোচিংয়ে বার্সেলোনার আক্রমণভাগ জ্বলে উঠেছে। গোল করে চলেছে লেভানদভস্কি, লামিনে ইয়ামাল এবং রাফিনিয়া। এই ত্রয়ী রীতিমতো তান্ডব চালায় প্রতিপক্ষের গোলবারে।
দুদিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখের জালে ৪ গোল দিয়ে বার্সেলোনা আগাম হুমকি দিয়ে রাখলো কিনা রিয়ালকে, তা সময়ই বলে দিবে।
লা লিগায় প্রথম ১০ ম্যাচে ৩৩ গোল করেছে বার্সেলোনা। হজম করেছে মাত্র ১০ গোল। যা ২০১৪/১৫ মৌসুমের পর সবচেয়ে বেশি। মেসি চলে যাবার পর বার্সার আক্রমণ ভাগ নিয়ে যে শংকা ছিলো তা কাটিয়ে উঠেছে। বার্সেলোনার ম্যাচ প্রতি গড় গোলের হার দেখলে তা প্রতীয়মান।
যোগ্য কোচের হাতে পরে রত্নে পরিনত হচ্ছে বার্সেলোনা — ফুটবল পাড়ায় এখন এটা জোর আলোচনা। তবে শুরুতে সবাই অবাক হয়েছিল জার্মান লং পাসিংয়ে অভ্যস্ত কোচ টিকিটাকার আতুরাশ্রম খ্যাত স্পেনে এসে মানাতে পারবে তো! তা আপাতত জয়ী হলেও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে আজ।
আর টানা ৪০ ম্যাচ লা লিগায় অপরাজিত রিয়ালের আক্রমণে রয়েছে পৃথিবীর সেরাদের কয়েকজন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এমবাপ্পে, জুড বেলিংহামরা কি করতে পারে তা অবশ্য বেশি দূর যেতে হয়না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ২ গোলে পিছিয়ে পরে ৫ গোল করে জয় — নিঃসন্দেহে রিয়ালের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াবে। ডর্টমুন্ড ম্যাচে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাট্টিক এবং তার দ্বিতীয় গোলটি — যা অন্য গ্রহের বলে শোরগোল চলছে চারিদিকে।
রিয়ালের ডিফেন্ডাররা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোলও করেন। ডর্টমুন্ড ম্যাচে আন্টোনিও রুডিগার গোল করে সমতা ফেরাতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, যা তার স্বভাবে পরিনত হয়েছে।
এই মৌসুমে লা লিগায় বার্সেলোনা হেরেছে শুধুমাত্র ওসাসুনার বিপক্ষে। রিয়াল হারেনি কোন ম্যাচ, ড্র করেছে তিনটি। বলা চলে আজ জমজমাট একটি ম্যাচের সাক্ষি হতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব।