ইতিহাস রচিত হয় বদলে যাবার জন্যই। একসময়ের ঐতিহ্য কালের বির্বতনে ফিকে হয়ে যায়। জমে ধুলো। ঠিক আগের মত আর বাজে না সবকিছু। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার তার গুলোয়।’
এক সময়ে ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে টক্কর দিয়ে, চোখে চোখ রেখে জবাব দেয়ার সাহস, সামর্থ্য ছিলো এসি মিলানের। সময়ের বির্বতনে তাদের তানপুরায় আজ ধূলা জমে গেছে। হারিয়েছে জৌলুশ। খুইয়েছে ঐতিহ্য।
চ্যাম্পিয়নস লীগের সবচেয়ে সফল দুটি দল রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান। ২০০৭ সালে এসি মিলান যখন লিভারপুলকে হারিয়ে তাদের গৌরবের সপ্তমবারের মতো ইউরোপ সেরা হয়, সেবার এসি মিলানের কোচ ছিলেন কার্লো আনচেলওি।তখন রিয়ালের ছিলো নয়টি ইউরোপীয় সেরার শিরোপা। মাত্র দুইটি শিরোপা কম ছিলো এসি মিলানের।
তখন ইউরোপ জুড়ে ক্লাব ফুটবলে প্রতিযোগিতা বলতে সবার আগে এই দুই জায়ান্টের প্রতাপ বুঝানো হতো।সময় কতো বদলেছে, রিয়ালের এখন গৌরবের পনেরটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ট্রফি। গত ১৭ বছরে এসি মিলানের আর জেতা হয়নি চ্যাম্পিয়নস লীগের ট্রফি।
তাদের চ্যাম্পিয়নস লীগে সেরা সফলতা বলতে ২০২২-২৩ মৌসুমে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে বাদ পরা। ২০০৩ সালেও কার্লো আনচেলত্তির অধীনে জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছিল এসি মিলান। ফিলিপো ইনজাগি, কাকা, পাওলো মালদিনি, আন্দ্রে পিরলোর সেই এসি মিলানের গৌরব আজ ফিকে হয়ে গেছে। নিজেদেরকে হারিয়ে খুঁজছেন তারা।
খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার ইউরোপ সেরা হওয়ার পাশাপাশি কোচ হিসেবেও এসি মিলানকে দুইবার ইউরোপ সেরার নজির গড়েছেন কার্লো আনচেলতি। তবে আজ যখন কোচ হিসেবে রিয়ালের ডাগআউট মাতাবেন আনচেলত্তি, তখন হয়তো বার, বার স্মৃতি কাতর হবেন।
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সানসিরোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-০ গোলের পরাজয় উপহার দিয়েছিল এসি মিলান। সেখানে প্রথম গোলটি করেছিলেন আনচেলত্তি নিজে।
অথচ আজ সেই প্রিয় ক্লাবের পরাজয়ের জন্য তিনি ছক কষবেন। ফুটবল মাঝেমধ্যে খুব নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়।
রিয়াল মাদ্রিদের বিখ্যাত স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২ টায় চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান। ৩ ম্যাচে ২ জয় ১ পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩২ দলের মধ্যে ১২তম অবস্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা লা লীগায় এল ক্লাসিকোর শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনার কাছে। আজ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন তারা।
এসি মিলান সেখানে চ্যাম্পিয়নস লীগের পয়েন্ট টেবিলের ২৫ নম্বরে। তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে, এক জয়ে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৩।
সব ঐতিহ্য আর রেকর্ডের পাতা উল্টাপাল্টা করে দিতে অভ্যস্ত দুই ইউরোপ জায়ান্টের লড়াইটি নিঃসন্দেহে সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মনে স্মৃতির রসদ জোগাবে।
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
ইতিহাস রচিত হয় বদলে যাবার জন্যই। একসময়ের ঐতিহ্য কালের বির্বতনে ফিকে হয়ে যায়। জমে ধুলো। ঠিক আগের মত আর বাজে না সবকিছু। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার তার গুলোয়।’
এক সময়ে ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে টক্কর দিয়ে, চোখে চোখ রেখে জবাব দেয়ার সাহস, সামর্থ্য ছিলো এসি মিলানের। সময়ের বির্বতনে তাদের তানপুরায় আজ ধূলা জমে গেছে। হারিয়েছে জৌলুশ। খুইয়েছে ঐতিহ্য।
চ্যাম্পিয়নস লীগের সবচেয়ে সফল দুটি দল রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান। ২০০৭ সালে এসি মিলান যখন লিভারপুলকে হারিয়ে তাদের গৌরবের সপ্তমবারের মতো ইউরোপ সেরা হয়, সেবার এসি মিলানের কোচ ছিলেন কার্লো আনচেলওি।তখন রিয়ালের ছিলো নয়টি ইউরোপীয় সেরার শিরোপা। মাত্র দুইটি শিরোপা কম ছিলো এসি মিলানের।
তখন ইউরোপ জুড়ে ক্লাব ফুটবলে প্রতিযোগিতা বলতে সবার আগে এই দুই জায়ান্টের প্রতাপ বুঝানো হতো।সময় কতো বদলেছে, রিয়ালের এখন গৌরবের পনেরটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ট্রফি। গত ১৭ বছরে এসি মিলানের আর জেতা হয়নি চ্যাম্পিয়নস লীগের ট্রফি।
তাদের চ্যাম্পিয়নস লীগে সেরা সফলতা বলতে ২০২২-২৩ মৌসুমে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে বাদ পরা। ২০০৩ সালেও কার্লো আনচেলত্তির অধীনে জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছিল এসি মিলান। ফিলিপো ইনজাগি, কাকা, পাওলো মালদিনি, আন্দ্রে পিরলোর সেই এসি মিলানের গৌরব আজ ফিকে হয়ে গেছে। নিজেদেরকে হারিয়ে খুঁজছেন তারা।
খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার ইউরোপ সেরা হওয়ার পাশাপাশি কোচ হিসেবেও এসি মিলানকে দুইবার ইউরোপ সেরার নজির গড়েছেন কার্লো আনচেলতি। তবে আজ যখন কোচ হিসেবে রিয়ালের ডাগআউট মাতাবেন আনচেলত্তি, তখন হয়তো বার, বার স্মৃতি কাতর হবেন।
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সানসিরোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-০ গোলের পরাজয় উপহার দিয়েছিল এসি মিলান। সেখানে প্রথম গোলটি করেছিলেন আনচেলত্তি নিজে।
অথচ আজ সেই প্রিয় ক্লাবের পরাজয়ের জন্য তিনি ছক কষবেন। ফুটবল মাঝেমধ্যে খুব নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়।
রিয়াল মাদ্রিদের বিখ্যাত স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২ টায় চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান। ৩ ম্যাচে ২ জয় ১ পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩২ দলের মধ্যে ১২তম অবস্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা লা লীগায় এল ক্লাসিকোর শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনার কাছে। আজ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন তারা।
এসি মিলান সেখানে চ্যাম্পিয়নস লীগের পয়েন্ট টেবিলের ২৫ নম্বরে। তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে, এক জয়ে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৩।
সব ঐতিহ্য আর রেকর্ডের পাতা উল্টাপাল্টা করে দিতে অভ্যস্ত দুই ইউরোপ জায়ান্টের লড়াইটি নিঃসন্দেহে সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মনে স্মৃতির রসদ জোগাবে।