খেলা শুরুর আগে শংকা ছিলো আদৌ খেলা মাঠে গড়াবে কিনা। লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডের চারপাশে হচ্ছিলো ভারী তুষারপাত। মাঠ পরিষ্কার করতে হয়েছে বারবার।
তবে অবশেষে সব শংকা কাটিয়ে হয়েছে খেলা। তাতে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দল লিভারপুলের সাথে ২-২ গোলে ড্র করে ১ পয়েন্ট পাওয়া জয়ের সমানই বলা চলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য। তবে শেষ মিনিটের শেষ মূহুর্তে হ্যারি ম্যাগুয়ার হাস্যকর ভুল না করলে জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারতো ইউনাইটেড।
শুভ্র তুষারপাতের রেখা মাড়িয়ে শুরু করা খেলায় প্রথমার্ধে দুদলই নিজেদের রক্ষন আগলে খেলেছেন। ম্যাচের ১৪ মিনিটে লিভারপুলের কোডি গাকপো সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।
মিনিট দুয়েক পর আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। মোহাম্মদ সালাহর বাড়ানো পাসে সামনে থেকে গোল করতে পারেননি তিনি। এর বাইরে প্রথমার্ধে লিভারপুলের খেলায় ছিলো না তেমন ধার। আর ইউনাইটেডতো খেলেছে এলোমেলো ফুটবল।
গোলশূন্য বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে আচমকা গোল করে বসে ইউনাইটেডের লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। বক্সের একদম সামনে থেকে তার বুলেট গতির শট রুখতে পারেনি লিভারপুল গোল কিপার অ্যালিসন বেকার। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ভ্যাব্যাচ্যাকা খেয়ে যায় লিভারপুলের সমথর্করা। কারন পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নাম্বার দলের সাথে তা মানতে কষ্ট হচ্ছিলো তাদের। মাঠের তুষারপাত আর দর্শকদের হৈ হুল্লোড় পুঁজি করে জেগে ওঠে লিভারপুল।
ম্যাক এলিস্টারের কাছ থেকে ৫৯ মিনিটে বল পেয়ে কোডি গাকপো একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ গোল করে সমতায় ফেরান লিভারপুলকে। ১-১ গোলে সমতায় স্বস্তি ফিরে আসে লিভারপুল শিবিরে।
সেখানে ইউনাইটেড শিবিরে আবারো হতাশা। ৬৯ মিনিটে ইউনাইটেডের ডি লিট হাস্যকর ভাবে হাত বাড়িয়ে বক্সের ভিতর বল আটকে দিলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল।
পেনাল্টি নেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ যার ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডকে পেলেই গোল ক্ষুধা বেড়ে বলে। তিনি পেনাল্টি মিস করেননি। ১৩ ম্যাচে ইউনাইটেডের বিপক্ষে তার রয়েছে ১২ গোল। পেনাল্টিতে গোল করে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
তবে এর পরের সময়টুকু সবটাই ইউনাইটেডের। কি এক মন্ত্র বলে পুরো পাল্টে যায় লাল শয়তানরা। অসাধারণ পাসিং, ড্রিবলিং — সবকিছুই যেন সেই ২০১২-১৩র মতো। তখনকার কিছু সময় যেন ভর করেছিল তাদের ওপর।এর ফলও পায় তারা। আইভরিকোষ্টের উঠতি তারকা ২২ বছর বয়সী ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড আমাদ দিয়ালোর হালকা শট আটকাতে পারেনি অ্যালিসন বেকার। তাকে ফাঁকি দিয়ে বল গোল পোস্টে চলে যায়। ২-২ গোলে সমতায় ফিরে ইউনাইটেড।
তারকা বনে যাওয়ার মতো অবস্থা আমাদের। কিছুদিন আগে নগর প্রতিদন্ধতী ম্যানচেস্টার সিটির সাথে যার শেষ মূহুর্তের গোলে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড।
ম্যাচের একদম অন্তিম মূহুর্তে ইউনাইটেডের হ্যারি মাগুয়ার ১০ গজ সামনে থেকে গোল করতে পারেনি।তিনি বল পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে দিলে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় ইউনাইটেড। নয়তো, ইতিহাস ঐতিহ্য আর সন্মানের লড়াইয়ে বহুদিন পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
লিগে লিভারপুল কিছুদিন আগে ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে ৩-০ গোলে জিতে এসেছিল। এর আগে লিভারপুলের কাছেই ৭ গোল হজম করতে হয়েছিল ইউনাইটেডকে। সেখানে গতকালের ড্র বলা চলে ঐতিহ্য হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইউনাইটেডের জন্য জয়ের সমান।
সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫
খেলা শুরুর আগে শংকা ছিলো আদৌ খেলা মাঠে গড়াবে কিনা। লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডের চারপাশে হচ্ছিলো ভারী তুষারপাত। মাঠ পরিষ্কার করতে হয়েছে বারবার।
তবে অবশেষে সব শংকা কাটিয়ে হয়েছে খেলা। তাতে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দল লিভারপুলের সাথে ২-২ গোলে ড্র করে ১ পয়েন্ট পাওয়া জয়ের সমানই বলা চলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য। তবে শেষ মিনিটের শেষ মূহুর্তে হ্যারি ম্যাগুয়ার হাস্যকর ভুল না করলে জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারতো ইউনাইটেড।
শুভ্র তুষারপাতের রেখা মাড়িয়ে শুরু করা খেলায় প্রথমার্ধে দুদলই নিজেদের রক্ষন আগলে খেলেছেন। ম্যাচের ১৪ মিনিটে লিভারপুলের কোডি গাকপো সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।
মিনিট দুয়েক পর আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। মোহাম্মদ সালাহর বাড়ানো পাসে সামনে থেকে গোল করতে পারেননি তিনি। এর বাইরে প্রথমার্ধে লিভারপুলের খেলায় ছিলো না তেমন ধার। আর ইউনাইটেডতো খেলেছে এলোমেলো ফুটবল।
গোলশূন্য বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে আচমকা গোল করে বসে ইউনাইটেডের লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। বক্সের একদম সামনে থেকে তার বুলেট গতির শট রুখতে পারেনি লিভারপুল গোল কিপার অ্যালিসন বেকার। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ভ্যাব্যাচ্যাকা খেয়ে যায় লিভারপুলের সমথর্করা। কারন পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নাম্বার দলের সাথে তা মানতে কষ্ট হচ্ছিলো তাদের। মাঠের তুষারপাত আর দর্শকদের হৈ হুল্লোড় পুঁজি করে জেগে ওঠে লিভারপুল।
ম্যাক এলিস্টারের কাছ থেকে ৫৯ মিনিটে বল পেয়ে কোডি গাকপো একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ গোল করে সমতায় ফেরান লিভারপুলকে। ১-১ গোলে সমতায় স্বস্তি ফিরে আসে লিভারপুল শিবিরে।
সেখানে ইউনাইটেড শিবিরে আবারো হতাশা। ৬৯ মিনিটে ইউনাইটেডের ডি লিট হাস্যকর ভাবে হাত বাড়িয়ে বক্সের ভিতর বল আটকে দিলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল।
পেনাল্টি নেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ যার ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডকে পেলেই গোল ক্ষুধা বেড়ে বলে। তিনি পেনাল্টি মিস করেননি। ১৩ ম্যাচে ইউনাইটেডের বিপক্ষে তার রয়েছে ১২ গোল। পেনাল্টিতে গোল করে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
তবে এর পরের সময়টুকু সবটাই ইউনাইটেডের। কি এক মন্ত্র বলে পুরো পাল্টে যায় লাল শয়তানরা। অসাধারণ পাসিং, ড্রিবলিং — সবকিছুই যেন সেই ২০১২-১৩র মতো। তখনকার কিছু সময় যেন ভর করেছিল তাদের ওপর।এর ফলও পায় তারা। আইভরিকোষ্টের উঠতি তারকা ২২ বছর বয়সী ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড আমাদ দিয়ালোর হালকা শট আটকাতে পারেনি অ্যালিসন বেকার। তাকে ফাঁকি দিয়ে বল গোল পোস্টে চলে যায়। ২-২ গোলে সমতায় ফিরে ইউনাইটেড।
তারকা বনে যাওয়ার মতো অবস্থা আমাদের। কিছুদিন আগে নগর প্রতিদন্ধতী ম্যানচেস্টার সিটির সাথে যার শেষ মূহুর্তের গোলে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড।
ম্যাচের একদম অন্তিম মূহুর্তে ইউনাইটেডের হ্যারি মাগুয়ার ১০ গজ সামনে থেকে গোল করতে পারেনি।তিনি বল পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে দিলে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় ইউনাইটেড। নয়তো, ইতিহাস ঐতিহ্য আর সন্মানের লড়াইয়ে বহুদিন পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
লিগে লিভারপুল কিছুদিন আগে ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে ৩-০ গোলে জিতে এসেছিল। এর আগে লিভারপুলের কাছেই ৭ গোল হজম করতে হয়েছিল ইউনাইটেডকে। সেখানে গতকালের ড্র বলা চলে ঐতিহ্য হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইউনাইটেডের জন্য জয়ের সমান।