দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘অরাজনৈতিক ঐক্য’ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পল্লবী সিটি ক্লাব মাঠে শহীদ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে দলীয়করণের প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাবের কারণে যোগ্য খেলোয়াড়রা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়েছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্রীড়াঙ্গনে একটি অরাজনৈতিক ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এটি ক্রীড়ার মানোন্নয়নের পাশাপাশি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে।”
মির্জা ফখরুল বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী নীতির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনও এই ধ্বংসের শিকার হয়েছে। দলীয়করণের ফলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় তাদের সুযোগ হারিয়েছে। এটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য হতাশার।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের ভালোবাসা সম্প্রতি বেড়েছে। তবে এক সময় ফুটবল ছিল এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আজ টুর্নামেন্টের সভাপতিত্ব করা আমিনুল হক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা ক্রীড়াঙ্গনে উদার ও মানবিক মানসিকতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারেন।”
মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ প্রজন্মকে ক্রীড়ামুখী করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য তরুণরা মাদক থেকে দূরে থেকে ক্রীড়ার মাধ্যমে তাদের মনোযোগ উন্নয়নমূলক কাজে নিবদ্ধ করবে।”
দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে জিয়া পরিবারের অবদান স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ক্রিকেটের উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। আজ যে ক্রিকেট বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে ধরেছে, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল কোকোর সময়েই। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার অবদান অস্বীকার করা যাবে না।”
টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, “এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করবে। আমরা বিশ্বাস করি, খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।”
অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাদী আমিন এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামানসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “খেলাধুলার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে আনা সম্ভব। এটি শুধু খেলাধুলার উন্নয়ন নয়, বরং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘অরাজনৈতিক ঐক্য’ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পল্লবী সিটি ক্লাব মাঠে শহীদ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে দলীয়করণের প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাবের কারণে যোগ্য খেলোয়াড়রা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়েছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্রীড়াঙ্গনে একটি অরাজনৈতিক ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এটি ক্রীড়ার মানোন্নয়নের পাশাপাশি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে।”
মির্জা ফখরুল বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী নীতির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনও এই ধ্বংসের শিকার হয়েছে। দলীয়করণের ফলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় তাদের সুযোগ হারিয়েছে। এটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য হতাশার।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের ভালোবাসা সম্প্রতি বেড়েছে। তবে এক সময় ফুটবল ছিল এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আজ টুর্নামেন্টের সভাপতিত্ব করা আমিনুল হক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা ক্রীড়াঙ্গনে উদার ও মানবিক মানসিকতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারেন।”
মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ প্রজন্মকে ক্রীড়ামুখী করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য তরুণরা মাদক থেকে দূরে থেকে ক্রীড়ার মাধ্যমে তাদের মনোযোগ উন্নয়নমূলক কাজে নিবদ্ধ করবে।”
দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে জিয়া পরিবারের অবদান স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ক্রিকেটের উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। আজ যে ক্রিকেট বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে ধরেছে, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল কোকোর সময়েই। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার অবদান অস্বীকার করা যাবে না।”
টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, “এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করবে। আমরা বিশ্বাস করি, খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।”
অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাদী আমিন এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামানসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “খেলাধুলার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে আনা সম্ভব। এটি শুধু খেলাধুলার উন্নয়ন নয়, বরং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”