কিছুদিন ধরে চলা গুঞ্জনের প্রথম ভাগ শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। ছিন্ন হলো নেইমারের সঙ্গে আল হিলালের বন্ধন। এবার গুঞ্জনের পরের ভাগও সত্যি হওয়ার অপেক্ষা। ব্রাজিলিয়ান তারকার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যাওয়া এখন বলা যায় স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
আল হিলাল গত রোববার সামাজিক মাধ্যমে জানায়, পারস্পরিক সমঝোতায় নেইমারের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে তাদের। ৩২ বছর বয়সী তারকাকে ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানায় সৌদি প্রো লীগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি।
ক্যারিয়ারের এই অধ্যায়টুকু ভুলে যেতেই চাইবেন নেইমার। সৌদি ফুটবল ও ক্লাবের সমর্থকেরাও তার কাছ থেকে পাননি তেমন কিছুই।
২০২৩ সালে ৩২ পেরুনো ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বাৎসরিক প্রায় ১০.৪ কোটি ডলার চুক্তিতে পিএসজি থেকে আল-হিলালে যোগ দেন। নানাবিধ চোট মিলিয়ে কেবল ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি।
কিছুদিন পরই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে ভয়াবহ চোট পান। বাঁ হাঁটুর সেই চোট তাকে মাঠের বাইরে রাখে এক বছরের বেশি সময়। একটা সময় বেশ মুটিয়ে যান তিনি। পরে দীর্ঘ পুনবার্সন শেষে মোটামুটি ফিট হয়ে মাঠে ফেরেন গত অক্টোবরে। ফেরার পরপরই আবার মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে।
আল হিলালের কোচ জর্জ জেসুস কদিন আগে বলেন, নেইমার চাইলে অন্য কোনো সুযোগ অনুসন্ধান করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আর সৌদি ক্লাবটির হয়ে মাঠে ফেরা হচ্ছে না তার। আল হিলালে এই প্রায় দেড় বছরে স্রেফ সাতটি ম্যাচ খেলে গোল করেন একটি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সান্তোসের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে নেইমারের। প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের চুক্তি হবে, পরে যা এক বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
ইএসপিএন ব্রাজিলের খবর, আল হিলাল থেকে সান্তোসে ফেরার জন্য পারিশ্রমিকে বড় ছাড় দিয়েছেন নেইমার। বাকি থাকা সাড়ে ৬ কোটি ডলারের আড়াই থেকে তিন কোটি ডলার ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আগামী শুক্রবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারকে বরণ করে নিতে পারে সান্তোস।
এই ক্লাবের একাডেমির হয়েই ১১ বছর বয়সে স্বপ্নের পিছু ছুটতে শুরু করেন নেইমার। এই ক্লাবের জার্সিতেই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ১৭ বছর বয়সে। এখানে দুর্দান্ত পারফর্ম করেই ২০১০ সালে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। ২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে পাড়ি জমান তিনি বার্সেলোনায়। সেখানে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক আক্রমণভাগ।
বার্সেলোনায় একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, দুটি লা-লিগা ও তিনটি কোপা দেল রে জিতে ২০১৭ সালে তিনি খুঁজে নেন নতুন ঠিকানা। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে তাকে দলে নেয় পিএসজি। সেখানে তিনি জেতেন ৫টি লীগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপ ও দুটি লিগ কাপের ট্রফি। এরপর ৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে তিনি পড়ি জমান আল হিলালে।
অনেক সাফল্য-ব্যর্থতা-সম্ভাবনা-হতাশার পথ পেরিয়ে আবার তিনি ফিরছেন নিজ দেশে প্রিয় ক্লাবে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
কিছুদিন ধরে চলা গুঞ্জনের প্রথম ভাগ শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। ছিন্ন হলো নেইমারের সঙ্গে আল হিলালের বন্ধন। এবার গুঞ্জনের পরের ভাগও সত্যি হওয়ার অপেক্ষা। ব্রাজিলিয়ান তারকার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যাওয়া এখন বলা যায় স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
আল হিলাল গত রোববার সামাজিক মাধ্যমে জানায়, পারস্পরিক সমঝোতায় নেইমারের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে তাদের। ৩২ বছর বয়সী তারকাকে ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানায় সৌদি প্রো লীগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি।
ক্যারিয়ারের এই অধ্যায়টুকু ভুলে যেতেই চাইবেন নেইমার। সৌদি ফুটবল ও ক্লাবের সমর্থকেরাও তার কাছ থেকে পাননি তেমন কিছুই।
২০২৩ সালে ৩২ পেরুনো ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বাৎসরিক প্রায় ১০.৪ কোটি ডলার চুক্তিতে পিএসজি থেকে আল-হিলালে যোগ দেন। নানাবিধ চোট মিলিয়ে কেবল ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি।
কিছুদিন পরই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে ভয়াবহ চোট পান। বাঁ হাঁটুর সেই চোট তাকে মাঠের বাইরে রাখে এক বছরের বেশি সময়। একটা সময় বেশ মুটিয়ে যান তিনি। পরে দীর্ঘ পুনবার্সন শেষে মোটামুটি ফিট হয়ে মাঠে ফেরেন গত অক্টোবরে। ফেরার পরপরই আবার মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে।
আল হিলালের কোচ জর্জ জেসুস কদিন আগে বলেন, নেইমার চাইলে অন্য কোনো সুযোগ অনুসন্ধান করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আর সৌদি ক্লাবটির হয়ে মাঠে ফেরা হচ্ছে না তার। আল হিলালে এই প্রায় দেড় বছরে স্রেফ সাতটি ম্যাচ খেলে গোল করেন একটি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সান্তোসের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে নেইমারের। প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের চুক্তি হবে, পরে যা এক বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
ইএসপিএন ব্রাজিলের খবর, আল হিলাল থেকে সান্তোসে ফেরার জন্য পারিশ্রমিকে বড় ছাড় দিয়েছেন নেইমার। বাকি থাকা সাড়ে ৬ কোটি ডলারের আড়াই থেকে তিন কোটি ডলার ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আগামী শুক্রবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারকে বরণ করে নিতে পারে সান্তোস।
এই ক্লাবের একাডেমির হয়েই ১১ বছর বয়সে স্বপ্নের পিছু ছুটতে শুরু করেন নেইমার। এই ক্লাবের জার্সিতেই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ১৭ বছর বয়সে। এখানে দুর্দান্ত পারফর্ম করেই ২০১০ সালে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। ২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে পাড়ি জমান তিনি বার্সেলোনায়। সেখানে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক আক্রমণভাগ।
বার্সেলোনায় একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, দুটি লা-লিগা ও তিনটি কোপা দেল রে জিতে ২০১৭ সালে তিনি খুঁজে নেন নতুন ঠিকানা। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে তাকে দলে নেয় পিএসজি। সেখানে তিনি জেতেন ৫টি লীগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপ ও দুটি লিগ কাপের ট্রফি। এরপর ৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে তিনি পড়ি জমান আল হিলালে।
অনেক সাফল্য-ব্যর্থতা-সম্ভাবনা-হতাশার পথ পেরিয়ে আবার তিনি ফিরছেন নিজ দেশে প্রিয় ক্লাবে।