টানা আট জয়ের পর টানা তিন হার রংপুরের
বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করা রংপুর রাইডার্স টানা তৃতীয় ম্যাচে হার দেখেছে। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুই ম্যাচ হারের পর ২৯শে জানুয়ারি বুধবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে হায়দার আলীর টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ১৪ বল আগে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে চিটাগং। এই জয়ে প্লে-অফের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তারা। অন্যদিকে চিটাগংয়ের জয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। ঢাকা বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফ খেলার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
বুধবার আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইফতেখার আহমেদের ৬৫ রানে ভর করে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারায় চিটাগং। এরপর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে গড়েন ৩৪ রানের জুটি।
মিঠুন ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হওয়ার পর পারভেজের সঙ্গে জুটি বাধেন হায়দার আলী। এবার চতুর্থ উইকেটে হয় ৪৩ রানের জুটি। ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। এরপর শামীম হোসেন দুই বলে ৮ রান করে আউট হন। জয়ের জন্য বাকি পথটা হায়দার ও রাহাতুল ফেরদৌস মিলে পাড়ি দিয়ে ফেলেন। হায়দার ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় মিরপুরে টর্নেডো বইয়ে দেন। শেষ তিন ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আকিফ জাবেদের প্রথম চার বলে চার ছক্কা মেরে ১৮তম ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন হায়দার আলী। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে তারা। চিটাগংয়ের সঙ্গে প্লে-অফের মিশনে আছে দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বল হাতে খুব সফল হতে পারেনি রংপুর। আকিফ জাবেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি বোলারদের কেউই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া রংপুর রাইডার্স কালও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রানে তিনটি উইকেট হারায়। ইনজুরি থেকে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সোহান ও ইফতেখার ৩৩ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েন। সোহান ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হলে জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এরপর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ইফতেখার। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করায় তার অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসে দাঁড়িয়ে রংপুর পায় ১৪৩ রানের সংগ্রহ। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ইফতেখার নিজের ইনিংসটি সাজান। শেষ দিকে শেখ মেহেদীর ২০ বলে ২২ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিংসের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ দুটি এবং শামীম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর ১৪৩/৫ (টেলর ০, সৌম্য ২৩, সাইফ ৮, হাসান , ইফতিখার ৬৫*, নুরুল ৯, ইরফান ১, শেখ মেহেদি ২২*; শরিফুল ১/৩৪, খালেদ ২/৪৪, শামীম ১/১০)।
চিটাগং ১৭.৪ ওভারে ১৪৮/৫ (মিলান্থা ৬, পারভেজ ৪১, ক্লার্ক ১৫, মিঠুন ২০, হায়দার ৪৮*, শামীম ৮, রাহাতুল ৬*; আকিফ ২/৩৭, সাইফ উদ্দিন ২/২৫।
ম্যাচসেরা : হায়দার আলি।
টানা আট জয়ের পর টানা তিন হার রংপুরের
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করা রংপুর রাইডার্স টানা তৃতীয় ম্যাচে হার দেখেছে। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুই ম্যাচ হারের পর ২৯শে জানুয়ারি বুধবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে হায়দার আলীর টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ১৪ বল আগে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে চিটাগং। এই জয়ে প্লে-অফের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তারা। অন্যদিকে চিটাগংয়ের জয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। ঢাকা বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফ খেলার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
বুধবার আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইফতেখার আহমেদের ৬৫ রানে ভর করে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারায় চিটাগং। এরপর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে গড়েন ৩৪ রানের জুটি।
মিঠুন ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হওয়ার পর পারভেজের সঙ্গে জুটি বাধেন হায়দার আলী। এবার চতুর্থ উইকেটে হয় ৪৩ রানের জুটি। ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। এরপর শামীম হোসেন দুই বলে ৮ রান করে আউট হন। জয়ের জন্য বাকি পথটা হায়দার ও রাহাতুল ফেরদৌস মিলে পাড়ি দিয়ে ফেলেন। হায়দার ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় মিরপুরে টর্নেডো বইয়ে দেন। শেষ তিন ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আকিফ জাবেদের প্রথম চার বলে চার ছক্কা মেরে ১৮তম ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন হায়দার আলী। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে তারা। চিটাগংয়ের সঙ্গে প্লে-অফের মিশনে আছে দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বল হাতে খুব সফল হতে পারেনি রংপুর। আকিফ জাবেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি বোলারদের কেউই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া রংপুর রাইডার্স কালও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রানে তিনটি উইকেট হারায়। ইনজুরি থেকে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সোহান ও ইফতেখার ৩৩ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েন। সোহান ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হলে জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এরপর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ইফতেখার। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করায় তার অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসে দাঁড়িয়ে রংপুর পায় ১৪৩ রানের সংগ্রহ। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ইফতেখার নিজের ইনিংসটি সাজান। শেষ দিকে শেখ মেহেদীর ২০ বলে ২২ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিংসের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ দুটি এবং শামীম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর ১৪৩/৫ (টেলর ০, সৌম্য ২৩, সাইফ ৮, হাসান , ইফতিখার ৬৫*, নুরুল ৯, ইরফান ১, শেখ মেহেদি ২২*; শরিফুল ১/৩৪, খালেদ ২/৪৪, শামীম ১/১০)।
চিটাগং ১৭.৪ ওভারে ১৪৮/৫ (মিলান্থা ৬, পারভেজ ৪১, ক্লার্ক ১৫, মিঠুন ২০, হায়দার ৪৮*, শামীম ৮, রাহাতুল ৬*; আকিফ ২/৩৭, সাইফ উদ্দিন ২/২৫।
ম্যাচসেরা : হায়দার আলি।