পিটারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ,
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা তাদের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তারা দাবি করেছেন, কোচের আচরণ এবং পরিচালনায় তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন, যা দলের মধ্যে অস্থিরতা এবং বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এই নিয়ে তারা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির কাছে একটি চিঠি প্রদান করেছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, পিটার বাটলারকে যদি কোচ হিসেবে রাখা হয়, তারা একযোগে পদত্যাগ করবেন।
ফুটবলাররা বলেন, "গত কয়েক মাসে কোচের কাছ থেকে গালিগালাজ, মানসিক হয়রানি এবং শারীরিকভাবে উৎপীড়িত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ক্যাম্পে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বাধা সৃষ্টি করেছে।" তারা আরও জানান, পিটার বাটলারের নেতৃত্বে দলের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে, এবং তারা আর এই ধরনের পরিবেশে খেলতে ইচ্ছুক নন।
সাবিনা খাতুনসহ দলের সিনিয়র ফুটবলাররা জানিয়েছেন, তাদের ক্যাম্পের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার জন্য কোচ কিছু জুনিয়র খেলোয়াড়কে ব্যবহার করছেন, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার। তারা বলেন, "আমরা কখনো কাউকে চাপ প্রয়োগ করি না, এবং সবারই নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।"
তাদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কোচ পিটার বাটলার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগেই সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে একাদশ ঘোষণা করেছিলেন, যা দলকে হারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এছাড়া, ম্যাচের সময় খেলোয়াড় বদলের বিষয়েও তাঁর অজ্ঞতা এবং ভুল সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের হতাশ করেছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলোয়াড় বদলের কাগজ না থাকার ঘটনায় দলকে সমস্যায় পড়তে হয়।
তারা আরো বলেন, "পিটারের দ্বারা যে শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ করা হয়েছে, তা অবমাননাকর এবং দলের সমষ্টিগত পারফরম্যান্সে বাধা সৃষ্টি করেছে।" তারা আশা করছেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পিটার বাটলারের অধীনে আর কোনো ট্রেনিং ক্যাম্প আয়োজন করবেন না এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন।
সাবিনা খাতুন ও তার সতীর্থরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, "যদি বাফুফে কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে এবং আমাদের অভিযোগে গুরুত্ব না দেয়, আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব।"
ফুটবলারদের এই দাবির পর, এখন ফুটবল ফেডারেশন ও পিটার বাটলারের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
পিটারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ,
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা তাদের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তারা দাবি করেছেন, কোচের আচরণ এবং পরিচালনায় তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন, যা দলের মধ্যে অস্থিরতা এবং বিভাজন সৃষ্টি করেছে। এই নিয়ে তারা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির কাছে একটি চিঠি প্রদান করেছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, পিটার বাটলারকে যদি কোচ হিসেবে রাখা হয়, তারা একযোগে পদত্যাগ করবেন।
ফুটবলাররা বলেন, "গত কয়েক মাসে কোচের কাছ থেকে গালিগালাজ, মানসিক হয়রানি এবং শারীরিকভাবে উৎপীড়িত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ক্যাম্পে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বাধা সৃষ্টি করেছে।" তারা আরও জানান, পিটার বাটলারের নেতৃত্বে দলের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে, এবং তারা আর এই ধরনের পরিবেশে খেলতে ইচ্ছুক নন।
সাবিনা খাতুনসহ দলের সিনিয়র ফুটবলাররা জানিয়েছেন, তাদের ক্যাম্পের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার জন্য কোচ কিছু জুনিয়র খেলোয়াড়কে ব্যবহার করছেন, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার। তারা বলেন, "আমরা কখনো কাউকে চাপ প্রয়োগ করি না, এবং সবারই নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।"
তাদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কোচ পিটার বাটলার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগেই সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে একাদশ ঘোষণা করেছিলেন, যা দলকে হারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এছাড়া, ম্যাচের সময় খেলোয়াড় বদলের বিষয়েও তাঁর অজ্ঞতা এবং ভুল সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের হতাশ করেছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলোয়াড় বদলের কাগজ না থাকার ঘটনায় দলকে সমস্যায় পড়তে হয়।
তারা আরো বলেন, "পিটারের দ্বারা যে শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ করা হয়েছে, তা অবমাননাকর এবং দলের সমষ্টিগত পারফরম্যান্সে বাধা সৃষ্টি করেছে।" তারা আশা করছেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পিটার বাটলারের অধীনে আর কোনো ট্রেনিং ক্যাম্প আয়োজন করবেন না এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন।
সাবিনা খাতুন ও তার সতীর্থরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, "যদি বাফুফে কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে এবং আমাদের অভিযোগে গুরুত্ব না দেয়, আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব।"
ফুটবলারদের এই দাবির পর, এখন ফুটবল ফেডারেশন ও পিটার বাটলারের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।