দুর্দান্ত শুরু করেছিলো রেয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। তার কিছুক্ষন পরেই আবার গোলের সুযোগ, পেনাল্টিরও আবেদন উঠেছিলো। তবে সেই দাপট দ্রুতই হারিয়ে ফেলে রেয়াল।। ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই জমিয়ে তুলে আতলেতিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘অন্যরকম দল’ রেয়াল মাদ্রিদ। তাতে ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে একটু এগিয়ে রইল কার্লো আনচেলত্তির দল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ।
পুরো ম্যাচে বল দখলে প্রায় সমতা থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল রেয়াল। গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রেখেছিলো তারা। শেষদিকে কিছু ভালো সুযোগও পেয়েছিলো। কিন্তু আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রেয়াল। আর আতলেতিকোর ছয় শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। দুই দলের তিনটি গোলই ছিল চোখধাঁধানো।
খেলার চতুর্থ মিনিটে দারুণ থ্রু পাস বাড়ান রেয়ালের ফেদেরিকো ভালভের্দে। আর ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো গতিতে প্রতিপক্ষের একজনকে পেছনে ফেলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে আরেক ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে চমৎকার শটে বল পাঠান জালে। উচ্ছাস রেয়াল শিবিরে।
কিছুক্ষণ পরই আবারও ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। তবে এবার ডিফেন্ডার হাভি গালানের চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পেনাল্টির জোরালো দাবি উঠলেও সাড়া দেননি রেফারি।
শুরুর একের পর এক আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণে উঠতে থাকে আতলেতিকো। আধা ঘণ্টায় গোলের প্রচেষ্টায় দুটি শটও নিয়েছিলো আতলেতিকো। তবে দুটিই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। কিন্তু ৩২তম মিনিটে আর্জেন্টাইন আলভারেসের দৃষ্টিনন্দন গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো।
বল পায়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে কাটিয়ে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই শট নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। জাল জড়ায় বল।
এই গোলের আগে থেকেই রেয়ালের খেলার ধার ও গতি কমে গিয়েছিলো। আর গোল হজমের পর আরেকটু ঝিমিয়ে পড়ে তারা।
তবে খেলার ৫৫ মিনিটে এক পাল্টা আক্রমণে আবার এগিয়ে যায় রেয়াল মাদ্রিদ। ফেরলঁদ মঁদির ছোট পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াস। সেখানে দুজনকে কাটান। তারপর প্রতিপক্ষের পাঁচ জনের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দিয়াস।
এর ঠিক পাঁচ মিনিট পর কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় রেয়াল। গ্রিজমানের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে আতলেতিকোর হোসে মারিয়া হিমেনেসের শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়।
যোগ করা তিন মিনিট সময়ে দারুণ দুটি আক্রমণ শাণায় রেয়াল; কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
এবারের লা লিগায় দুটি মাদ্রিদ ডার্বিই শেষ হয় ১-১ সমতায়। আর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে রেয়ালের মাঠে হেরে গেল আতলেতিকো। তবে এই লড়াইয়ের ফিরতি লেগ নিজেদের মাঠে হওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে তাদের। আগামী বুধবার রাতে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
দুর্দান্ত শুরু করেছিলো রেয়াল মাদ্রিদ। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। তার কিছুক্ষন পরেই আবার গোলের সুযোগ, পেনাল্টিরও আবেদন উঠেছিলো। তবে সেই দাপট দ্রুতই হারিয়ে ফেলে রেয়াল।। ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই জমিয়ে তুলে আতলেতিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘অন্যরকম দল’ রেয়াল মাদ্রিদ। তাতে ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে একটু এগিয়ে রইল কার্লো আনচেলত্তির দল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ।
পুরো ম্যাচে বল দখলে প্রায় সমতা থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল রেয়াল। গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রেখেছিলো তারা। শেষদিকে কিছু ভালো সুযোগও পেয়েছিলো। কিন্তু আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রেয়াল। আর আতলেতিকোর ছয় শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। দুই দলের তিনটি গোলই ছিল চোখধাঁধানো।
খেলার চতুর্থ মিনিটে দারুণ থ্রু পাস বাড়ান রেয়ালের ফেদেরিকো ভালভের্দে। আর ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো গতিতে প্রতিপক্ষের একজনকে পেছনে ফেলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে আরেক ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে চমৎকার শটে বল পাঠান জালে। উচ্ছাস রেয়াল শিবিরে।
কিছুক্ষণ পরই আবারও ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। তবে এবার ডিফেন্ডার হাভি গালানের চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পেনাল্টির জোরালো দাবি উঠলেও সাড়া দেননি রেফারি।
শুরুর একের পর এক আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণে উঠতে থাকে আতলেতিকো। আধা ঘণ্টায় গোলের প্রচেষ্টায় দুটি শটও নিয়েছিলো আতলেতিকো। তবে দুটিই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। কিন্তু ৩২তম মিনিটে আর্জেন্টাইন আলভারেসের দৃষ্টিনন্দন গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো।
বল পায়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে কাটিয়ে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই শট নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। জাল জড়ায় বল।
এই গোলের আগে থেকেই রেয়ালের খেলার ধার ও গতি কমে গিয়েছিলো। আর গোল হজমের পর আরেকটু ঝিমিয়ে পড়ে তারা।
তবে খেলার ৫৫ মিনিটে এক পাল্টা আক্রমণে আবার এগিয়ে যায় রেয়াল মাদ্রিদ। ফেরলঁদ মঁদির ছোট পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াস। সেখানে দুজনকে কাটান। তারপর প্রতিপক্ষের পাঁচ জনের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দিয়াস।
এর ঠিক পাঁচ মিনিট পর কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় রেয়াল। গ্রিজমানের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে আতলেতিকোর হোসে মারিয়া হিমেনেসের শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়।
যোগ করা তিন মিনিট সময়ে দারুণ দুটি আক্রমণ শাণায় রেয়াল; কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
এবারের লা লিগায় দুটি মাদ্রিদ ডার্বিই শেষ হয় ১-১ সমতায়। আর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে রেয়ালের মাঠে হেরে গেল আতলেতিকো। তবে এই লড়াইয়ের ফিরতি লেগ নিজেদের মাঠে হওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে তাদের। আগামী বুধবার রাতে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।