হামজা চৌধুরীর ফাইল ছবি
এক হামজা চৌধুরী যেন আমুল বদলে দিয়েছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে। লন্ডন থেকে তিনি এলেন, খেললেন, জয় করলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। মূলত হাজমার খেলা এবং তার প্রতি মানুষের নির্ভরতায় মুগ্ধ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এবার দেশের সকল ক্রীড়া ফেডারেশনকে ‘হামজা’র মতো প্রবাসী খুঁজে দেশের হয়ে খেলানোর জন্য চিঠি দিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিবাবক সংস্থাটি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রবাসী সকল ক্রীড়াবিদরা যেন বাংলাদেশের হয়ে খেলেন এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব ফেডারেশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বুধবার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা এমন চিঠি সব ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা প্রধান নির্বাহীকে দেয়া হয়েছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে লেস্টার সিটির হয়ে সাধারণত খেলে থাকেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এখন অবশ্য ধারে খেলছেন শেফিল্ডোর হয়ে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম সম্প্রতি বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে আসার পরই ফুটবলের আবহ বদলে গেছে। দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বত্রই এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা। সামিত সোমও যোগ হলে বাংলাদেশ দলের মান আরও অনেক বাড়বে। গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ দলে প্রথম খেলেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করছেন অর্ধযুগের বেশি সময়। জামালকে অনুসরণ করে ফুটবল দলে তারিক কাজী, রাহবার ও কাজেম শাহ খেলেছেন। ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদ অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাবা-মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদসহ আরও অনেক বিষয়াদির আনুষ্ঠানিকতা থাকে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য রাজী হয়েছেন বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিমন্যাস্ট জ্যাক আশিকুল ইসলামের অনুকূলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্পৃক্ত রয়েছে। ফুটবলের বাইরে অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্স ও সাঁতারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ জিতেছেন। যা বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাস। গত ২০১২ সালে আমেরিকান প্রবাসী সাইক সিজার লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলেন। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে তিনি আমেরিকান জিমন্যাস্টিক্স দলের সহকারী কোচ ছিলেন। নিউজিল্যান্ড প্রবাসী জিমন্যাস্ট আলী কাদির ২০২২ সালে তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন। ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস অংশ নিয়েছিলে। যদিও তিনি কাক্সিক্ষত আশা পূরণ করতে পারেননি। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে লন্ডন প্রবাসী জুনাইনা আহমেদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
হামজা চৌধুরীর ফাইল ছবি
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
এক হামজা চৌধুরী যেন আমুল বদলে দিয়েছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে। লন্ডন থেকে তিনি এলেন, খেললেন, জয় করলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। মূলত হাজমার খেলা এবং তার প্রতি মানুষের নির্ভরতায় মুগ্ধ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এবার দেশের সকল ক্রীড়া ফেডারেশনকে ‘হামজা’র মতো প্রবাসী খুঁজে দেশের হয়ে খেলানোর জন্য চিঠি দিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিবাবক সংস্থাটি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রবাসী সকল ক্রীড়াবিদরা যেন বাংলাদেশের হয়ে খেলেন এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব ফেডারেশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বুধবার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা এমন চিঠি সব ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা প্রধান নির্বাহীকে দেয়া হয়েছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে লেস্টার সিটির হয়ে সাধারণত খেলে থাকেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এখন অবশ্য ধারে খেলছেন শেফিল্ডোর হয়ে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম সম্প্রতি বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে আসার পরই ফুটবলের আবহ বদলে গেছে। দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বত্রই এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা। সামিত সোমও যোগ হলে বাংলাদেশ দলের মান আরও অনেক বাড়বে। গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ দলে প্রথম খেলেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করছেন অর্ধযুগের বেশি সময়। জামালকে অনুসরণ করে ফুটবল দলে তারিক কাজী, রাহবার ও কাজেম শাহ খেলেছেন। ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদ অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাবা-মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদসহ আরও অনেক বিষয়াদির আনুষ্ঠানিকতা থাকে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য রাজী হয়েছেন বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিমন্যাস্ট জ্যাক আশিকুল ইসলামের অনুকূলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্পৃক্ত রয়েছে। ফুটবলের বাইরে অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্স ও সাঁতারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ জিতেছেন। যা বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাস। গত ২০১২ সালে আমেরিকান প্রবাসী সাইক সিজার লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলেন। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে তিনি আমেরিকান জিমন্যাস্টিক্স দলের সহকারী কোচ ছিলেন। নিউজিল্যান্ড প্রবাসী জিমন্যাস্ট আলী কাদির ২০২২ সালে তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন। ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস অংশ নিয়েছিলে। যদিও তিনি কাক্সিক্ষত আশা পূরণ করতে পারেননি। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে লন্ডন প্রবাসী জুনাইনা আহমেদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।