বাংলাদেশ নারী দলের উল্লাস
বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। অনিশ্চয়তা নিয়ে তাকিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে জিতলেও রান রেটে বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে পারেনি। যার ফলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল গত ২০২২ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট। কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরে ভারতে যাওয়ার স্বপ্নটা ফিকে হতে বসেছিল! শেষ পর্যন্ত ভারতে যাওয়ার ‘লাইসেন্স’ পেয়ে গেছে নিগার সুলতানার দল। সেটা সম্ভব হয়েছে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায়। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটিতে থাইল্যান্ড কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেই জিততো, তাতে দুশ্চিন্তার কিছু ছিল না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি ১০ ওভারের মধ্যে জিতে যেত, তাহলে কপাল পুড়তো বাংলাদেশের। শুরুর দিকে ক্যারিবিয়ানরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারসহ ভক্তদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলেও বাংলাদেশই ভারতে যাওয়ার টিকিট পেয়েছে।
গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে থাইল্যান্ড ৪৬.১ ওভারে ১৬৬ রান করে। নিজেদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে হলে ক্যারিবীয় মেয়েদের ১০ ওভারের মধ্যে ম্যাচ জিততে হতো। সেই চেষ্টা ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা করেছিল। কিন্তু শেষ অবধি সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা, ৫ বল বেশি খেলে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করায় রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি বছরের নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানও। ৫ ম্যাচের সবকটিতে জিতে পুরো দশ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তারা। এ বছরের অক্টোবরে ভারতে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কেটেছে। বাছাইপর্ব থেকে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
পাকিস্তানের কাছে হেরে অপেক্ষায় ছিলেন নিগাররা
পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাতে নিগার সুলতানাদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেছে।
পাকিস্তান এরই মধ্যে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারায় নির্বিঘ্নে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট টাকার সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান দল জিতলে তখন রান রেটের হিসেব চলে আসবে। রান রেটে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। শনিবার, (১৯ এপ্রিল) শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা জয় পেলেও রান রেটে পেছনে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দলকে।
শনিবার সকালে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিংয়ে। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে। জবাবে অনায়াসে সেই লক্ষ্য তাড়া করেছে পাকিস্তান। ৩৯.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে।
শুরুর ওভারে দ্বিতীয় বলে উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তান। যার মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন ওপেনার মুনিবা আলী। ৯৩ বলে ৬৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তাতে ছিল ৮টি চারের মার। সঙ্গী সিদরা আমিন (৩৩) ৮২ রানে ফিরলেও দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মুনিবা। তিনি ফেরেন দলীয় ১৫৬ রানে। ম্যাচসেরাও মুনিবা। তার পর দলকে জয়ের পথে টেনে নেন আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান আলিয়া রিয়াজ। ৬৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাতালিয়া পারভেইজ।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
এর আগে শুরুতে টস জিতে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মূলত মাঝের দিকে তিনটি জুটি বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ পেতে সহায়তা করেছে। যার মূল কারিগর ছিলেন রিতু মনি। শুরুতে শারমিন আক্তারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। সেই রিতু মনি নাহিদাকে নিয়েও পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪৪। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটিতে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রানে রিতু আউট হলে হাল ধরার কাজটা করেন ফাহিমা। রিতুর দায়িত্বশীল ইনিংসে ছিল ৫টি চার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও বাকিরা সঙ্গ দিতে পারেননি তাকে। ফাহিমা ৫৩ বলে ৪ চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রানে তিনটি উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল। ৪৫ রানে দুটি নেন ফাতিমা সানা, সমান রানের বিনিময়ে দিয়ানা বেগও দুটি উইকেট শিকার করেছেন। পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে বাছাই পর্বে সেরা হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৭৮/৯ (দিলারা ১৩, ফারজানা ০, শারমিন ২৪, নিগার ১, রিতু ৪৮, নাহিদা ১৯, ফাহিমা ৪৪*, স্বর্ণা ২, সুমনা ৬, রাবেয়া ২, মারুফা ৬*; ফাতিমা ২/৪৫, সাদিয়া ৩/২৮, রামিন ১/২৫, ডায়ানা ২/৪৫, নাস্রা ১/৩৪)।
পাকিস্তান ৩৯.৪ ওভারে ১৮১/৩ (মুনিবা ৬৯, সিদ্রা ৩৩, আলিয়া ৫২*, নাটালিয়া ১৩*; মারুফা ১/২৭, নাহিদা ১/৩৬, রাবেয়া ১/২৫)। ম্যাচসেরা: মুনিবা আলি।
বাংলাদেশ নারী দলের উল্লাস
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। অনিশ্চয়তা নিয়ে তাকিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে জিতলেও রান রেটে বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে পারেনি। যার ফলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল গত ২০২২ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট। কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরে ভারতে যাওয়ার স্বপ্নটা ফিকে হতে বসেছিল! শেষ পর্যন্ত ভারতে যাওয়ার ‘লাইসেন্স’ পেয়ে গেছে নিগার সুলতানার দল। সেটা সম্ভব হয়েছে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায়। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটিতে থাইল্যান্ড কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেই জিততো, তাতে দুশ্চিন্তার কিছু ছিল না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি ১০ ওভারের মধ্যে জিতে যেত, তাহলে কপাল পুড়তো বাংলাদেশের। শুরুর দিকে ক্যারিবিয়ানরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারসহ ভক্তদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলেও বাংলাদেশই ভারতে যাওয়ার টিকিট পেয়েছে।
গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে থাইল্যান্ড ৪৬.১ ওভারে ১৬৬ রান করে। নিজেদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে হলে ক্যারিবীয় মেয়েদের ১০ ওভারের মধ্যে ম্যাচ জিততে হতো। সেই চেষ্টা ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা করেছিল। কিন্তু শেষ অবধি সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা, ৫ বল বেশি খেলে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করায় রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি বছরের নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানও। ৫ ম্যাচের সবকটিতে জিতে পুরো দশ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তারা। এ বছরের অক্টোবরে ভারতে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কেটেছে। বাছাইপর্ব থেকে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
পাকিস্তানের কাছে হেরে অপেক্ষায় ছিলেন নিগাররা
পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাতে নিগার সুলতানাদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেছে।
পাকিস্তান এরই মধ্যে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারায় নির্বিঘ্নে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট টাকার সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান দল জিতলে তখন রান রেটের হিসেব চলে আসবে। রান রেটে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। শনিবার, (১৯ এপ্রিল) শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা জয় পেলেও রান রেটে পেছনে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দলকে।
শনিবার সকালে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিংয়ে। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে। জবাবে অনায়াসে সেই লক্ষ্য তাড়া করেছে পাকিস্তান। ৩৯.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে।
শুরুর ওভারে দ্বিতীয় বলে উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তান। যার মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন ওপেনার মুনিবা আলী। ৯৩ বলে ৬৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তাতে ছিল ৮টি চারের মার। সঙ্গী সিদরা আমিন (৩৩) ৮২ রানে ফিরলেও দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মুনিবা। তিনি ফেরেন দলীয় ১৫৬ রানে। ম্যাচসেরাও মুনিবা। তার পর দলকে জয়ের পথে টেনে নেন আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান আলিয়া রিয়াজ। ৬৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাতালিয়া পারভেইজ।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
এর আগে শুরুতে টস জিতে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মূলত মাঝের দিকে তিনটি জুটি বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ পেতে সহায়তা করেছে। যার মূল কারিগর ছিলেন রিতু মনি। শুরুতে শারমিন আক্তারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। সেই রিতু মনি নাহিদাকে নিয়েও পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪৪। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটিতে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রানে রিতু আউট হলে হাল ধরার কাজটা করেন ফাহিমা। রিতুর দায়িত্বশীল ইনিংসে ছিল ৫টি চার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও বাকিরা সঙ্গ দিতে পারেননি তাকে। ফাহিমা ৫৩ বলে ৪ চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রানে তিনটি উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল। ৪৫ রানে দুটি নেন ফাতিমা সানা, সমান রানের বিনিময়ে দিয়ানা বেগও দুটি উইকেট শিকার করেছেন। পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে বাছাই পর্বে সেরা হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৭৮/৯ (দিলারা ১৩, ফারজানা ০, শারমিন ২৪, নিগার ১, রিতু ৪৮, নাহিদা ১৯, ফাহিমা ৪৪*, স্বর্ণা ২, সুমনা ৬, রাবেয়া ২, মারুফা ৬*; ফাতিমা ২/৪৫, সাদিয়া ৩/২৮, রামিন ১/২৫, ডায়ানা ২/৪৫, নাস্রা ১/৩৪)।
পাকিস্তান ৩৯.৪ ওভারে ১৮১/৩ (মুনিবা ৬৯, সিদ্রা ৩৩, আলিয়া ৫২*, নাটালিয়া ১৩*; মারুফা ১/২৭, নাহিদা ১/৩৬, রাবেয়া ১/২৫)। ম্যাচসেরা: মুনিবা আলি।