ম্যাচশেষে মুজারাবানিকে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের অভিনন্দন
মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই জিম্বাবুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিত হার দেখলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট স্বাগতিকরা। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রান করে ৮২ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশ তিনশ রানের লক্ষ্য দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। মুজারাবানির ৬ উইকেটে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে মাত্র ১৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নেয় ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের জন্য যতটা হতাশার, জিম্বাবুয়ের জন্য ঠিক ততটাই আনন্দের উপলক্ষ্য। টেস্ট ক্রিকেটে চার বছরের বেশি সময় পর জয়ের স্বাদ পেল তারা। এর আগে আবু ধাবিতে ২০২১ সালের মার্চে আফগানিস্তানকে সর্বশেষ হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাড়ে ছয় বছর পর জিতল জিম্বাবুয়ে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেটের মাঠে প্রথম টেস্টে ১৫১ রানে জিতেছিল তারা। মাঝের সময়ে তিন টেস্টে কোনো লড়াই করতেই পারেনি আফ্রিকান দলটি।
এবার শুধু লড়াই করলোই না, রীতিমতো দাপুটে জয়ই পেল সফরকারীরা। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান করা বাংলাদেশ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাকি ছয় উইকেট হারিয়ে আর ৬৫ রান করতে পারে। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড গড়ে জেতে জিম্বাবুয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে রান তাড়ায় জয়ে এটিই জিম্বাবুয়ের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেটে জিতেছিল তারা। সব মিলিয়ে রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ জয় এটি। জিম্বাবুয়ের কাছেও পরাজয়ে ঘরের মাঠে দৈন্যদশা অব্যাহত রইল বাংলাদেশের। গত বছর দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়াসহ দেশের মাটিতে টানা ছয় টেস্ট হারল শান্তর দল। আগের দিনের ১৯৪/৪ রান নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫৫ রানে অলআউট হলে ১৭৪ রানের টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নামে দ্বাদশ ওভারে পূর্ণ হয় পঞ্চাশ রান।
৯৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিরাজ। কারান ফিরেন ৭৫ বলে ৪৭ রান করে । অন্য প্রান্তে ৬৫ বলে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি করেন বেনেট।
শেষ সেশনে নাটকীয়তার জন্ম দেন মিরাজ। তার বলে ৯ রান করে ফিরেন শন উইলিয়ামস। মিরাজের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করা তরুণ ওপেনার বেনেট। তাইজুলের বলে কট বিহাইন্ড হন আরভিন। এখানেও বড় ভূমিকা মিরাজের। অনেকটা জোর করেই শান্তকে দিয়ে সফল রিভিউ নেয়ান সহ-অধিনায়ক। পরের ওভারে মায়াভোকে বোল্ড করে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান মিরাজ। ৪ উইকেট বাকি রেখে তখনও জয় থেকে ২৯ রানে দূরে ছিল জিম্বাবুয়ে। আট নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মাসাকাদজা। তাইজুলের পরপর দুই ওভারে ছক্কা ও চার মেরে দেন তিনি। মাসাকাদজাকে (১২) বোল্ড করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মিরাজ। তখনও বাকি ছিল ১৩ রান। তাই আশা দেখছিল বাংলাদেশ। এর মাঝেই এক দফা বৃষ্টি ও পরে আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তবে ফ্লাডলাইট জালিয়েই চলতে থাকে খেলা। মিরাজের বলে বাউন্ডারি হাকান এনগারাভা। তাইজুলের বলে স্লগ করে চার মারেন মাধভেরে। পরে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করে মারা বাউন্ডারিতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত করেন মাধভেরে।
শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলে থাকলেও দারুণ বোলিংয়ে একাধিক অর্জন ধরা দিয়েছে মিরাজের। এ নিয়ে তৃতীয়বার ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও তাইজুলের আছে দুবার করে দশ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। একইসঙ্গে ৫২ ম্যাচে দুইশ উইকেট পূর্ণ হলো তার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মিরাজের আগে দুইশ উইকেট পেয়েছেন শুধু সাকিব ও তাইজুল।
দীর্ঘ চার বছর ৫১ দিন আর ১০ ম্যাচ অপেক্ষার পর বহুল আকাক্সিক্ষত টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের মাটিতে সাত বছর পর সাদা পোশাকে বর্ণিল উৎসব করলো তারা। ২০১৮ সালে সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের টেস্ট জিতেছিল আফ্রিকানরা। সেই মাঠেই একই সাফল্য পেলো তারা। চার দিনেই স্বাগতিকদেরকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বুধবার সকালটা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আগের রাতে টানা বৃষ্টির কারণে ভেজা আউটফিল্ডে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের সোয়া ঘণ্টা পর। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বুধবার দিনের প্রথম ওভারে মাজারাবানিকে অহেতুক পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। আগের দিনের ৬০ রানের সঙ্গে আর কিছু যোগ করতে পারেননি তিনি।
অধিনায়কের বিদায়ের পর নামা সহ-অধিনায়ক মিরাজ শুরু থেকেই যেন পাল্টা আক্রমণের পথ ধরেন । মুজারাবানির পরপর দুই ওভারে চার-ছক্কা মারেন তিনি। বদলা নিতে সময় নেননি জিম্বাবুয়ের পেসার। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে গালিতে ক্যাচ দেন ফিরেন মিরাজ। পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের চাপ বাড়ান ভিক্টর নিয়াউচি। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন জাকের আলি। অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। দুজন মিলে ৯১ বলে যোগ করেন ৩৫ রান।
নিয়াউচির বলে বাউন্ডারি মেরে চার ম্যাচের ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করেন জাকের। পরের ওভারেই ভাঙে হাসানের প্রতিরোধ। বড় শট মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি, ৫৮ বলে ১২ রান করে। সৈয়দ খালেদ প্রথম বলেই ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আগ্রাসী ব্যাটিং করে রান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন জাকের। কিন্তু ছক্কার চেষ্টায় আউট হন ৫৮ রান করা এই ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ৩টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ১১ টেস্টে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন মুজারাবানি।
ম্যাচশেষে মুজারাবানিকে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের অভিনন্দন
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই জিম্বাবুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিত হার দেখলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট স্বাগতিকরা। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রান করে ৮২ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশ তিনশ রানের লক্ষ্য দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। মুজারাবানির ৬ উইকেটে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে মাত্র ১৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নেয় ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের জন্য যতটা হতাশার, জিম্বাবুয়ের জন্য ঠিক ততটাই আনন্দের উপলক্ষ্য। টেস্ট ক্রিকেটে চার বছরের বেশি সময় পর জয়ের স্বাদ পেল তারা। এর আগে আবু ধাবিতে ২০২১ সালের মার্চে আফগানিস্তানকে সর্বশেষ হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাড়ে ছয় বছর পর জিতল জিম্বাবুয়ে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেটের মাঠে প্রথম টেস্টে ১৫১ রানে জিতেছিল তারা। মাঝের সময়ে তিন টেস্টে কোনো লড়াই করতেই পারেনি আফ্রিকান দলটি।
এবার শুধু লড়াই করলোই না, রীতিমতো দাপুটে জয়ই পেল সফরকারীরা। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান করা বাংলাদেশ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাকি ছয় উইকেট হারিয়ে আর ৬৫ রান করতে পারে। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড গড়ে জেতে জিম্বাবুয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে রান তাড়ায় জয়ে এটিই জিম্বাবুয়ের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেটে জিতেছিল তারা। সব মিলিয়ে রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ জয় এটি। জিম্বাবুয়ের কাছেও পরাজয়ে ঘরের মাঠে দৈন্যদশা অব্যাহত রইল বাংলাদেশের। গত বছর দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়াসহ দেশের মাটিতে টানা ছয় টেস্ট হারল শান্তর দল। আগের দিনের ১৯৪/৪ রান নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫৫ রানে অলআউট হলে ১৭৪ রানের টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নামে দ্বাদশ ওভারে পূর্ণ হয় পঞ্চাশ রান।
৯৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিরাজ। কারান ফিরেন ৭৫ বলে ৪৭ রান করে । অন্য প্রান্তে ৬৫ বলে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি করেন বেনেট।
শেষ সেশনে নাটকীয়তার জন্ম দেন মিরাজ। তার বলে ৯ রান করে ফিরেন শন উইলিয়ামস। মিরাজের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করা তরুণ ওপেনার বেনেট। তাইজুলের বলে কট বিহাইন্ড হন আরভিন। এখানেও বড় ভূমিকা মিরাজের। অনেকটা জোর করেই শান্তকে দিয়ে সফল রিভিউ নেয়ান সহ-অধিনায়ক। পরের ওভারে মায়াভোকে বোল্ড করে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান মিরাজ। ৪ উইকেট বাকি রেখে তখনও জয় থেকে ২৯ রানে দূরে ছিল জিম্বাবুয়ে। আট নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মাসাকাদজা। তাইজুলের পরপর দুই ওভারে ছক্কা ও চার মেরে দেন তিনি। মাসাকাদজাকে (১২) বোল্ড করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মিরাজ। তখনও বাকি ছিল ১৩ রান। তাই আশা দেখছিল বাংলাদেশ। এর মাঝেই এক দফা বৃষ্টি ও পরে আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তবে ফ্লাডলাইট জালিয়েই চলতে থাকে খেলা। মিরাজের বলে বাউন্ডারি হাকান এনগারাভা। তাইজুলের বলে স্লগ করে চার মারেন মাধভেরে। পরে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করে মারা বাউন্ডারিতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত করেন মাধভেরে।
শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলে থাকলেও দারুণ বোলিংয়ে একাধিক অর্জন ধরা দিয়েছে মিরাজের। এ নিয়ে তৃতীয়বার ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও তাইজুলের আছে দুবার করে দশ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। একইসঙ্গে ৫২ ম্যাচে দুইশ উইকেট পূর্ণ হলো তার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মিরাজের আগে দুইশ উইকেট পেয়েছেন শুধু সাকিব ও তাইজুল।
দীর্ঘ চার বছর ৫১ দিন আর ১০ ম্যাচ অপেক্ষার পর বহুল আকাক্সিক্ষত টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের মাটিতে সাত বছর পর সাদা পোশাকে বর্ণিল উৎসব করলো তারা। ২০১৮ সালে সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের টেস্ট জিতেছিল আফ্রিকানরা। সেই মাঠেই একই সাফল্য পেলো তারা। চার দিনেই স্বাগতিকদেরকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বুধবার সকালটা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আগের রাতে টানা বৃষ্টির কারণে ভেজা আউটফিল্ডে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের সোয়া ঘণ্টা পর। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বুধবার দিনের প্রথম ওভারে মাজারাবানিকে অহেতুক পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। আগের দিনের ৬০ রানের সঙ্গে আর কিছু যোগ করতে পারেননি তিনি।
অধিনায়কের বিদায়ের পর নামা সহ-অধিনায়ক মিরাজ শুরু থেকেই যেন পাল্টা আক্রমণের পথ ধরেন । মুজারাবানির পরপর দুই ওভারে চার-ছক্কা মারেন তিনি। বদলা নিতে সময় নেননি জিম্বাবুয়ের পেসার। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে গালিতে ক্যাচ দেন ফিরেন মিরাজ। পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের চাপ বাড়ান ভিক্টর নিয়াউচি। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন জাকের আলি। অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। দুজন মিলে ৯১ বলে যোগ করেন ৩৫ রান।
নিয়াউচির বলে বাউন্ডারি মেরে চার ম্যাচের ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করেন জাকের। পরের ওভারেই ভাঙে হাসানের প্রতিরোধ। বড় শট মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি, ৫৮ বলে ১২ রান করে। সৈয়দ খালেদ প্রথম বলেই ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আগ্রাসী ব্যাটিং করে রান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন জাকের। কিন্তু ছক্কার চেষ্টায় আউট হন ৫৮ রান করা এই ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ৩টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ১১ টেস্টে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন মুজারাবানি।