alt

খেলা

দাপুটে জয় পেতে হবে বাংলাদেশকে’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরা ‘চট্টগ্রাম টেস্টে

১৯৯৭ সাল থেকে চলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বৈরথ। প্রথম সাত বছর দ্বিপক্ষিয় এই লড়াইয়ে জয় পায়নি বাংলাদেশ। টেস্ট জিততে অপেক্ষা করতে হয় আরও এক বছর। এরপর একটু একটু করে এগোয় বাংলাদেশ। দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা আর বোর্ডের নানা সঙ্কটে ক্রমেই পেছন পায়ে ছুটতে থাকে জিম্বাবুয়ে।

গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দুই দলের লড়াইয়ে যে কোনো সংস্করণে ফেভারিট বাংলাদেশ। তবে সিলেট টেস্টের পারফরম্যান্সে দেখা যায়নি সেই ছাপ। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ে অধিনায়ক শান্তর দলকেই মনে হয়েছে ‘আন্ডারডগ।’

এবারের সফরের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭টি একাধিক ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালে দুবার ও ২০০৪ সালে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। হিথ স্ট্রিক, ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয়, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, টাটেন্ডা টাইবুদের নিয়ে গড়া ওই সময়ের জিম্বাবুয়ে দলের শক্তিমত্তা ছিল অনেক বেশি। তাদের সঙ্গে তখন পেরে উঠত না বাংলাদেশ।

ধীরে ধীরে পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জেতে তারা। পরে সিরিজটিও নিজেদের করে নেয় হাবিবুল বাশারের দল। সেই যে শুরু, এরপর আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুতে খাবি খাওয়া এবং পরে ইতিহাসের প্রথম জয় পাওয়া ম্যাচের দলে ছিলেন হাবিবুল বাশার। ধীরে ধীরে জিম্বাবুয়েকে ছাড়িয়ে যাওয়াও কাছ থেকে দেখেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

সিলেট টেস্ট হারের পর এক আলাপচারিতায় হাবিবুল ফিরে গেলেন নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের দিনগুলোতে।

‘প্রথম প্রথম যখন আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলতাম, তারা খুবই শক্তিশালী দল ছিল। তাদের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটাররা তখন খেলত। আমরা ছিলাম নতুন। তখনকার জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে বর্তমান দলের কোনো তুলনা হয় না। শুরুর দিকে যে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলেছিলাম, সেটি অনেক এগিয়ে ছিল। মাঝে আমরা ভালো খেলতে শুরু করি। পরে অনেক ম্যাচও জিতি।’

২০০৫ সালের পর ২০১৪ সালেও চেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ড্র হয় দুই দলের টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় ২১ বছর পর আবার সিরিজ জয়ের হাতছানি জিম্বাবুয়ের সামনে।

সিলেট টেস্ট জেতার পর ক্রেইগ আরভিন বলেন, সিরিজ জয়ের ব্যাপারে তারা সত্যিই আত্মবিশ্বাসী ছিল। অথচ এই টেস্টের আগে টানা দশ ম্যাচে জিততে পারেনি তারা। ঘরের মাঠে হেরেছে টেস্টের দুই নবীন সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই দলই এবার দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

শক্তি-সামর্থ্য কিংবা অভিজ্ঞতার বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে হারের পরও অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, অনেক বেশি খারাপ লাগছে না তাদের।

বাশারও একটি পরাজয় দিয়েই বিচার করতে চান না। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে চেনা বাংলাদেশকে খুঁজে পাননি তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে উত্তরসূরীদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ দিলেন ৫০ টেস্ট খেলা সাবেক ব্যাটার।

‘একটা ম্যাচ দিয়ে বলতে চাই না, সবকিছু বদলে গেছে। এই ম্যাচ আমরা বাজে খেলেছি। শুধু বাজে নয়, খুব বাজে খেলেছি। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খেলতে পারিনি। পুরো ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক হতাশার ছিল। তবে এর মানে এই না যে, অনেক কিছু বদলে গেছে।’

‘কোনোভাবেই এই ম্যাচের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে মেলাতে পারছি না। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। এই দলটা পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হারিয়ে এসেছে। তারা দেশে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমনভাবে হেরে যাবে, একদমই অপ্রত্যাশিত। আমরা খুব খারাপ খেলেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের খুব ভালোভাবে ফিরে আসা উচিত।’

সিলেটে ব্যাটে-বলে নতুন বলের পারফরম্যান্স ভুগিয়েছে দলকে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা পারেনি দলকে ভালো শুরু এনে দিতে। পেসাররা পারেননি কোনো ইনিংসেই দ্রুত উইকেট নিতে।

তবে টপ অর্ডারের ভোগান্তিই এখন সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। প্রায় তিন বছর ধরে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পায় না বাংলাদেশ। সবশেষ ১৩ ইনিংসে পঞ্চাশ রানের জুটিও গড়তে পারেননি ওপেনাররা।

ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে তাই টপ-অর্ডার ব্যাটারদেরই বড় দায়িত্ব নিতে হবে, মনে করেন হাবিবুল।

‘চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলতে হবে। দাপুটে জয় পেতে হবে। আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে টপ-অর্ডার ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপর থেকে রান আসতে হবে।’

‘টপ-অর্ডার ব্যাটাররা বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখন রান করার পালা। আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ যখন আসছে, আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি। অথবা খুব ভালোভাবে চ্যালেঞ্জটার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি না। টেস্ট ম্যাচে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তারাই তো ভালো দল, যারা এই চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসবে।’

সিরিজ জয়ের সুযোগ এখন আর নেই বাংলাদেশের। পরের টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করলেও আসলে সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থই হয়ে থাকবে। তবে বিশাল ব্যবধানে জিততে পারলে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি মিলতে পারে, বলছেন বিসিবির ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল।

‘আমরা যেটা বলি যে, আমরা ভালো দল, এটা শুধু বললেই হবে না। মাঠে প্রমাণ করতে হবে। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর কোনো অপশন নেই। এই জিম্বাবুয়ে দলটাও খুব খারাপ দল নয়। কিন্তু বাকি দলগুলির চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল।’

‘নিজেদের জন্যই এখন ভালো করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ নেই। অনেক বড় ব্যবধানে জিতে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যটা কত। এর জন্য আমার মনে হয় না, খুব বেশি বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে। আমরা যে ভালো দল, মাঠেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটাই সব কথার শেষ কথা।’

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম) আগামী সোমবার শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

শনিবার কোপা দেল রে-র ফাইনালে মুখোমুখি রেয়াল-বার্সা

ছবি

সেমিফাইনাল থেকে বিদায় বাংলাদেশের

ছবি

মেসির বিবর্ণ দিনে মায়ামির হার

ছবি

মালয়েশিয়ার সাঁতারে রাফির স্বর্ণ

ছবি

হৃদয় ইস্যু: শাস্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তামিমের

ছবি

জয়ে শেষ করলো বাংলাদেশের মেয়েরা

ছবি

ফুটবলের ‘জোয়ার’ দেখছেন বাফুফে সভাপতি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

সুযোগ পেলে আইপিএলে খেলতে চান আমির

ছবি

ডিপিএলে টিকে গেল ব্রাদার্স

ছবি

তীব্র লড়াইয়ের পরও ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

ছবি

ঢাকায় হামজাদের ম্যাচের টিকেট অনলাইনে

ছবি

ফের নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়

এশিয়ান ইয়ুথ, সলিডারিটি ও এসএ গেমসের ৫০ ডিসিপ্লিনে লড়বে বাংলাদেশ

ছবি

সাফ অ্যাথলেটিক্স স্থগিত

ছবি

সাফ ফুটবল আকস্মিক স্থগিত

ছবি

চট্টগ্রাম টেস্টে তিন স্পিনার নিয়ে খেলার ভাবনায় স্বাগতিকরা

ছবি

স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৬ সালে পরবর্তী আসর

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

ইন্টারকে উড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে এসি মিলান

ছবি

লা লিগায় গিলেরের দুর্দান্ত গোলে রেয়ালের জয়

ছবি

পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিলেন শান্ত

ছবি

১৫৩ রান করে সৌম্য জেতালেন রূপগঞ্জকে

ছবি

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ

‘আমরা জিততে চেয়েছিলাম, যেকোনো কিছুর চেয়েও বেশি’

ছবি

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে চার বছর পর জিম্বাবুয়ের জয়

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বার্নলির কাছে হেরে ঝামেলায় জড়ালেন হামজা

ছবি

নেপালে নারী কাবাডি দলের জয়

ছবি

৩০০ হলে ভালো জায়গায় থাকবে বাংলাদেশ: মোমিনুল

ছবি

এএইচএফ কাপ হকির সেমিতে বাংলাদেশ

ছবি

আবাহনী-বসুন্ধরা ফাইনাল স্থগিত

ছবি

মেয়েদের ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নাহিদা, শারমিন ও রিতুর উন্নতি

ছবি

শান্তর লড়াইয়ে ১১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

টিভিতে আজকের খেলা

tab

খেলা

দাপুটে জয় পেতে হবে বাংলাদেশকে’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরা ‘চট্টগ্রাম টেস্টে

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১৯৯৭ সাল থেকে চলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বৈরথ। প্রথম সাত বছর দ্বিপক্ষিয় এই লড়াইয়ে জয় পায়নি বাংলাদেশ। টেস্ট জিততে অপেক্ষা করতে হয় আরও এক বছর। এরপর একটু একটু করে এগোয় বাংলাদেশ। দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা আর বোর্ডের নানা সঙ্কটে ক্রমেই পেছন পায়ে ছুটতে থাকে জিম্বাবুয়ে।

গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দুই দলের লড়াইয়ে যে কোনো সংস্করণে ফেভারিট বাংলাদেশ। তবে সিলেট টেস্টের পারফরম্যান্সে দেখা যায়নি সেই ছাপ। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ে অধিনায়ক শান্তর দলকেই মনে হয়েছে ‘আন্ডারডগ।’

এবারের সফরের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭টি একাধিক ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালে দুবার ও ২০০৪ সালে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। হিথ স্ট্রিক, ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয়, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, টাটেন্ডা টাইবুদের নিয়ে গড়া ওই সময়ের জিম্বাবুয়ে দলের শক্তিমত্তা ছিল অনেক বেশি। তাদের সঙ্গে তখন পেরে উঠত না বাংলাদেশ।

ধীরে ধীরে পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জেতে তারা। পরে সিরিজটিও নিজেদের করে নেয় হাবিবুল বাশারের দল। সেই যে শুরু, এরপর আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুতে খাবি খাওয়া এবং পরে ইতিহাসের প্রথম জয় পাওয়া ম্যাচের দলে ছিলেন হাবিবুল বাশার। ধীরে ধীরে জিম্বাবুয়েকে ছাড়িয়ে যাওয়াও কাছ থেকে দেখেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

সিলেট টেস্ট হারের পর এক আলাপচারিতায় হাবিবুল ফিরে গেলেন নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের দিনগুলোতে।

‘প্রথম প্রথম যখন আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলতাম, তারা খুবই শক্তিশালী দল ছিল। তাদের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটাররা তখন খেলত। আমরা ছিলাম নতুন। তখনকার জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে বর্তমান দলের কোনো তুলনা হয় না। শুরুর দিকে যে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলেছিলাম, সেটি অনেক এগিয়ে ছিল। মাঝে আমরা ভালো খেলতে শুরু করি। পরে অনেক ম্যাচও জিতি।’

২০০৫ সালের পর ২০১৪ সালেও চেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ড্র হয় দুই দলের টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় ২১ বছর পর আবার সিরিজ জয়ের হাতছানি জিম্বাবুয়ের সামনে।

সিলেট টেস্ট জেতার পর ক্রেইগ আরভিন বলেন, সিরিজ জয়ের ব্যাপারে তারা সত্যিই আত্মবিশ্বাসী ছিল। অথচ এই টেস্টের আগে টানা দশ ম্যাচে জিততে পারেনি তারা। ঘরের মাঠে হেরেছে টেস্টের দুই নবীন সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই দলই এবার দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

শক্তি-সামর্থ্য কিংবা অভিজ্ঞতার বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে হারের পরও অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, অনেক বেশি খারাপ লাগছে না তাদের।

বাশারও একটি পরাজয় দিয়েই বিচার করতে চান না। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে চেনা বাংলাদেশকে খুঁজে পাননি তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে উত্তরসূরীদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ দিলেন ৫০ টেস্ট খেলা সাবেক ব্যাটার।

‘একটা ম্যাচ দিয়ে বলতে চাই না, সবকিছু বদলে গেছে। এই ম্যাচ আমরা বাজে খেলেছি। শুধু বাজে নয়, খুব বাজে খেলেছি। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খেলতে পারিনি। পুরো ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক হতাশার ছিল। তবে এর মানে এই না যে, অনেক কিছু বদলে গেছে।’

‘কোনোভাবেই এই ম্যাচের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে মেলাতে পারছি না। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। এই দলটা পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হারিয়ে এসেছে। তারা দেশে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমনভাবে হেরে যাবে, একদমই অপ্রত্যাশিত। আমরা খুব খারাপ খেলেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের খুব ভালোভাবে ফিরে আসা উচিত।’

সিলেটে ব্যাটে-বলে নতুন বলের পারফরম্যান্স ভুগিয়েছে দলকে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা পারেনি দলকে ভালো শুরু এনে দিতে। পেসাররা পারেননি কোনো ইনিংসেই দ্রুত উইকেট নিতে।

তবে টপ অর্ডারের ভোগান্তিই এখন সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। প্রায় তিন বছর ধরে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পায় না বাংলাদেশ। সবশেষ ১৩ ইনিংসে পঞ্চাশ রানের জুটিও গড়তে পারেননি ওপেনাররা।

ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে তাই টপ-অর্ডার ব্যাটারদেরই বড় দায়িত্ব নিতে হবে, মনে করেন হাবিবুল।

‘চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলতে হবে। দাপুটে জয় পেতে হবে। আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে টপ-অর্ডার ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপর থেকে রান আসতে হবে।’

‘টপ-অর্ডার ব্যাটাররা বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখন রান করার পালা। আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ যখন আসছে, আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি। অথবা খুব ভালোভাবে চ্যালেঞ্জটার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি না। টেস্ট ম্যাচে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তারাই তো ভালো দল, যারা এই চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসবে।’

সিরিজ জয়ের সুযোগ এখন আর নেই বাংলাদেশের। পরের টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করলেও আসলে সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থই হয়ে থাকবে। তবে বিশাল ব্যবধানে জিততে পারলে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি মিলতে পারে, বলছেন বিসিবির ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল।

‘আমরা যেটা বলি যে, আমরা ভালো দল, এটা শুধু বললেই হবে না। মাঠে প্রমাণ করতে হবে। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর কোনো অপশন নেই। এই জিম্বাবুয়ে দলটাও খুব খারাপ দল নয়। কিন্তু বাকি দলগুলির চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল।’

‘নিজেদের জন্যই এখন ভালো করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ নেই। অনেক বড় ব্যবধানে জিতে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যটা কত। এর জন্য আমার মনে হয় না, খুব বেশি বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে। আমরা যে ভালো দল, মাঠেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটাই সব কথার শেষ কথা।’

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম) আগামী সোমবার শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।

back to top