সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।
দলীয় প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বলে জানালেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জয়ে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের সারির দল জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার এড়াতে পেরেছে টাইগাররা। এমন জয়ের পর দলের পারফরমেন্সকে অসাধারণ বলেছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘পুরো দল অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে। ম্যাচের আগে তারা যে পরিশ্রম করেছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি। তবে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’
প্রথম টেস্ট হারের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ওপর কোনো চাপ ছিল না বলে জানান শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, প্রথম টেস্টে হারের পর আমরা চাপে পড়েছিলাম। আমরা প্রথম টেস্টে ভালো ক্রিকেট খেলিনি, কিন্তু আমরা জানতাম চট্টগ্রামে ভালো করতে পারবো। কারণ আগেও আমরা অনেকবার এমন করেছি।’
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেট টেস্ট হারলেও চট্টগ্রামে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। উইকেটে টিকে থাকতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ব্যাটাররা। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষ বোলারদের সামাল দিয়ে দলের স্কোর বোর্ডে বড় রান জমা করেছে ব্যাটাররা।
সাদমান ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েন তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ।
এনামুল ৩৯ রানে আউট হলেও, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে আউট হন তিনি। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ছোট-ছোট ইনিংস খেললেও সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসে ১০৪ রান করেন তিনি। মিরাজের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে ২১৭ রানের বড় লিড পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে খেই হারায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা। ১১১ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে মিরাজ উইকেট না পেলেও, বাংলাদেশের কা-রি ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে আটকে রাখেন তাইজুল।
শান্ত বলেন, ‘উদ্বোধনী জুটিতে আমাদের সমস্যা থাকলেও এবার দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন সাদমান এবং বিজয়। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।
দলীয় প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বলে জানালেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জয়ে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের সারির দল জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার এড়াতে পেরেছে টাইগাররা। এমন জয়ের পর দলের পারফরমেন্সকে অসাধারণ বলেছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘পুরো দল অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে। ম্যাচের আগে তারা যে পরিশ্রম করেছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি। তবে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’
প্রথম টেস্ট হারের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ওপর কোনো চাপ ছিল না বলে জানান শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, প্রথম টেস্টে হারের পর আমরা চাপে পড়েছিলাম। আমরা প্রথম টেস্টে ভালো ক্রিকেট খেলিনি, কিন্তু আমরা জানতাম চট্টগ্রামে ভালো করতে পারবো। কারণ আগেও আমরা অনেকবার এমন করেছি।’
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেট টেস্ট হারলেও চট্টগ্রামে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। উইকেটে টিকে থাকতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ব্যাটাররা। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষ বোলারদের সামাল দিয়ে দলের স্কোর বোর্ডে বড় রান জমা করেছে ব্যাটাররা।
সাদমান ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েন তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ।
এনামুল ৩৯ রানে আউট হলেও, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে আউট হন তিনি। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ছোট-ছোট ইনিংস খেললেও সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসে ১০৪ রান করেন তিনি। মিরাজের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে ২১৭ রানের বড় লিড পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে খেই হারায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা। ১১১ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে মিরাজ উইকেট না পেলেও, বাংলাদেশের কা-রি ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে আটকে রাখেন তাইজুল।
শান্ত বলেন, ‘উদ্বোধনী জুটিতে আমাদের সমস্যা থাকলেও এবার দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন সাদমান এবং বিজয়। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।