লিটন দাস
লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বের মেয়াদ আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার দৃষ্টিও এখন সেই আসরেই। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আঙিনায় কখনোই আলো ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের আশা, সামনের সময়টায় গুছিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছু উপহার দেবে তার দল।
নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অভিজ্ঞতার বিচারে আগামী বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটনকে বেছে নেয় বিসিবি। ২০২১ সাল থেকে নানা সময়ে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে নিজেদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও জিতেছে বাংলাদেশ। অন্য দুই সংস্করণেও অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তার আছে। তবে আগে কখনও লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পাননি স্টাইলিশ ব্যাটার। এবার সেই দায়িত্বটি পেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনার অবকাশও পাচ্ছেন তিনি। অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শোনালেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার আশার কথা।
‘স্বাভাবিকভাবেই এটা (লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব) ইতিবাচক বিষয়। কারণ আপনি যখন লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন, অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন।’
‘এখন দেখার বিষয়, এই সময়ের মধ্যে আমি দলটা কতটুকু গুছিয়ে নিতে পারি। আমিও অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে, দীর্ঘমেয়াদি একটা চিন্তা থাকবে। আমার হাতে যে ক্রিকেটাররা আছে, (বিশ্বকাপে) আমরা ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।’
বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ১ টেস্ট, ৭ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পালন করেছেন লিটন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের জয় ৭টি।
এবার পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর আগের সঙ্গে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী ব্যাটার।
‘পার্থক্য যদি বলি, আগে পরিকল্পনা যা ছিল, সবই সিরিজ ভিত্তিক। এখন যেহেতু লম্বা সময়ের একটা সুযোগ এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব। নিজেই জানবো যে, এতদূর পর্যন্ত আমার একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজভিত্তিক (পরিকল্পনা) তো থাকবেই। সঙ্গে এটাও থাকবে যে সামনের দিকে আরও কী করতে পারি।’
লিটন বলেন, ‘চাপের কিছু নেই। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম না তখন পারফরম্যান্স খারাপ ছিল, এমন না যে এখনও খারাপ হবে। এটা (অধিনায়কত্ব) একটা প্লাস পয়েন্ট হতেই পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, তাৎক্ষণিকভাবে ১-২ দিন ব্যর্থ হলেও ফলাফল আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। আমি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি যেন ফলাফলটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে লিটন জানান, ‘আগের যত প্ল্যানিং ছিল সেটা তাৎক্ষণিক সেই সিরিজের জন্য। যেহেতু এখন লং টাইমের জন্য সুযোগ এসেছে, আমার চিন্তাগুলো এখন ভবিষ্যতকেন্দ্রিক হবে। এখন আমি জানি আমার এতদিন পর্যন্ত একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজের বিষয়টা এখনও থাকবে কিন্তু ভবিষ্যতের বিষয়টাও মাথায় থাকবে।’
দলের উন্নতির জন্যই তাগিদ দিয়ে রাখলেন লিটন, ‘বাংলাদেশ দল এগিয়ে যেতে হলে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ক্রিকেটারদের। আমরা ভালো খেললেই দল আগাবে। প্রথমত আমাদের খেলোয়াড়দের সবার নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। যতটা বিসিবির সঙ্গে আমি যোগাযোগ করবো, তার চেয়ে বেশি করব খেলোয়াড়দের সঙ্গে- তাদের চাওয়া কী, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমি তো কেবল আসলাম, যত সময় যাবে তত আমি বিষয়টার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারব।’
আমিরাত সফর দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক। তার বিশ্বাস, ফর্মে ফেরার চেষ্টায় সফল হয়ে দলকে সাহায্য করতে পারবেন তিনি।
‘সর্বশেষ মনে হয় ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছি। হ্যাঁ, আমি একটা খারাপ সময় পার করছিলাম। আমার ব্যাটে রান হচ্ছিল না। এরপর আমি চেষ্টা করেছি। ক্রিকেটার হিসেবে আমি এটুকুই বলতে পারি, যেকোনো ক্রিকেটার সর্বোচ্চ তার চেষ্টাই করতে পারে।’
‘কিছু কিছু সময় থাকে এমন যে অনেক চেষ্টা করেও হয়তো ফল পায় না। অন্যদিকে এমনও হয়, কোনো ক্রিকেটার এক-দুইটা সিরিজ খারাপ খেলে, আবার কামব্যাক করে। আমিও ওই চেষ্টাই করব। আমার যে খেলার ধরন, আমি যে ধরনের ক্রিকেটার, সেটা যেন বাংলাদেশকে দিতে পারি। আমি পারফর্ম করল বাংলাদেশ টিমেও সাহায্য হবে।’
লিটন দাস
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বের মেয়াদ আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার দৃষ্টিও এখন সেই আসরেই। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আঙিনায় কখনোই আলো ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের আশা, সামনের সময়টায় গুছিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছু উপহার দেবে তার দল।
নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অভিজ্ঞতার বিচারে আগামী বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটনকে বেছে নেয় বিসিবি। ২০২১ সাল থেকে নানা সময়ে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে নিজেদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও জিতেছে বাংলাদেশ। অন্য দুই সংস্করণেও অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তার আছে। তবে আগে কখনও লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পাননি স্টাইলিশ ব্যাটার। এবার সেই দায়িত্বটি পেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনার অবকাশও পাচ্ছেন তিনি। অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শোনালেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার আশার কথা।
‘স্বাভাবিকভাবেই এটা (লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব) ইতিবাচক বিষয়। কারণ আপনি যখন লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন, অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন।’
‘এখন দেখার বিষয়, এই সময়ের মধ্যে আমি দলটা কতটুকু গুছিয়ে নিতে পারি। আমিও অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে, দীর্ঘমেয়াদি একটা চিন্তা থাকবে। আমার হাতে যে ক্রিকেটাররা আছে, (বিশ্বকাপে) আমরা ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।’
বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ১ টেস্ট, ৭ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পালন করেছেন লিটন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের জয় ৭টি।
এবার পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর আগের সঙ্গে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী ব্যাটার।
‘পার্থক্য যদি বলি, আগে পরিকল্পনা যা ছিল, সবই সিরিজ ভিত্তিক। এখন যেহেতু লম্বা সময়ের একটা সুযোগ এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব। নিজেই জানবো যে, এতদূর পর্যন্ত আমার একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজভিত্তিক (পরিকল্পনা) তো থাকবেই। সঙ্গে এটাও থাকবে যে সামনের দিকে আরও কী করতে পারি।’
লিটন বলেন, ‘চাপের কিছু নেই। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম না তখন পারফরম্যান্স খারাপ ছিল, এমন না যে এখনও খারাপ হবে। এটা (অধিনায়কত্ব) একটা প্লাস পয়েন্ট হতেই পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, তাৎক্ষণিকভাবে ১-২ দিন ব্যর্থ হলেও ফলাফল আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। আমি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি যেন ফলাফলটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে লিটন জানান, ‘আগের যত প্ল্যানিং ছিল সেটা তাৎক্ষণিক সেই সিরিজের জন্য। যেহেতু এখন লং টাইমের জন্য সুযোগ এসেছে, আমার চিন্তাগুলো এখন ভবিষ্যতকেন্দ্রিক হবে। এখন আমি জানি আমার এতদিন পর্যন্ত একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজের বিষয়টা এখনও থাকবে কিন্তু ভবিষ্যতের বিষয়টাও মাথায় থাকবে।’
দলের উন্নতির জন্যই তাগিদ দিয়ে রাখলেন লিটন, ‘বাংলাদেশ দল এগিয়ে যেতে হলে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ক্রিকেটারদের। আমরা ভালো খেললেই দল আগাবে। প্রথমত আমাদের খেলোয়াড়দের সবার নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। যতটা বিসিবির সঙ্গে আমি যোগাযোগ করবো, তার চেয়ে বেশি করব খেলোয়াড়দের সঙ্গে- তাদের চাওয়া কী, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমি তো কেবল আসলাম, যত সময় যাবে তত আমি বিষয়টার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারব।’
আমিরাত সফর দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক। তার বিশ্বাস, ফর্মে ফেরার চেষ্টায় সফল হয়ে দলকে সাহায্য করতে পারবেন তিনি।
‘সর্বশেষ মনে হয় ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছি। হ্যাঁ, আমি একটা খারাপ সময় পার করছিলাম। আমার ব্যাটে রান হচ্ছিল না। এরপর আমি চেষ্টা করেছি। ক্রিকেটার হিসেবে আমি এটুকুই বলতে পারি, যেকোনো ক্রিকেটার সর্বোচ্চ তার চেষ্টাই করতে পারে।’
‘কিছু কিছু সময় থাকে এমন যে অনেক চেষ্টা করেও হয়তো ফল পায় না। অন্যদিকে এমনও হয়, কোনো ক্রিকেটার এক-দুইটা সিরিজ খারাপ খেলে, আবার কামব্যাক করে। আমিও ওই চেষ্টাই করব। আমার যে খেলার ধরন, আমি যে ধরনের ক্রিকেটার, সেটা যেন বাংলাদেশকে দিতে পারি। আমি পারফর্ম করল বাংলাদেশ টিমেও সাহায্য হবে।’