ভিরাট কোহলি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং তারকা ভিরাট কোহলি। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ভারত দল ঘোষণার আগে সোমবার,(১২ মে ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে অবসরের কথা জানান কোহলি।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন কোহলি। এখন শুধু ওয়ানডে খেলবেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবসর নেয়ার পাঁচ দিন পর বিদায় নিলেন কোহলিও।
নিজের ভেরিফাইড পেইজে কোহলি লিখেছেন, ‘১৪ বছর হয়ে গেছে আমি টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি ব্লু পড়েছি। সত্যি বলতে, আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে, এই ফরম্যাট আমাকে পথচলায় এগিয়ে নিবে। এটি আমার পরীক্ষা নিয়েছে ও আমাকে গড়েছে এবং আমাকে এমন শিক্ষা দিয়েছে যা আমি সারাজীবন বহন করব।’
তিনি আরও লিখেন, ‘এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেয়াটা সহজ নয়, তবে মনে হচ্ছে এটি সঠিক সময়। এখানে আমার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি এবং এটা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ভারতের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ছিলেন ‘কিং কোহলি’ নামে পরিচিতি পাওয়া কোহলি। গত বছর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ জয়ী ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ঐ ম্যাচের পরই রোহিতের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন কোহলি।
কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি?
জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। আগামী জুন মাসে ইংল্যান্ড সফরের আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন তিনি।
বোর্ড কোহলিকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিল। কারণ, সামনেই ইংল্যান্ড সফর। সেখানে রোহিতের পাশাপাশি কোহলিকে না পেলে সমস্যা হত ভারতের। কিন্তু কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন। কোহরির হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত এর মধ্যে রয়েছে : পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো, রোহিতের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, কোচ গম্ভীরের তারকা-সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা, শারীরিক ধকলের চাপ, সর্বোপরি ব্যর্থতার চাপ।
ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন কোহলি। করেছেন ৯,২৩০ রান। ৪৬.৮৫ গড়ে রান করেছেন। ৩০টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। এই মানের এক ব্যাটার গত কয়েক বছরে সমস্যায় পড়েছেন।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতার দিন-রাতের টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতরানের পর থেকে শুরু হয়েছিল দীর্ঘ দিনের খরা। তার পরে ৪৪টি টেস্ট ইনিংসে শতরান করতে পারেননি তিনি। চার বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টে করেছিলেন শতরান। তার পরের ২৯টি ইনিংসে মাত্র দু’টি শতরান করেছেন।
গত পাঁচ বছরে কোহলির গড় অনেকটা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে ৩৭টি টেস্টে ১,৯৯০ রান করেছেন কোহলি। গড় ২৬.৮৯। ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছেন কোহলি। পা?র্থে প্রথম টেস্টে শতরান করলেও সিরিজের বাকিটা ভালো যায়নি তার। পাঁচ টেস্টের সিরিজে আর একটিও অর্ধশতরান করতে পারেননি কোহলি। একটি শতরানের পরেও সিরিজে তার গড় ছিল ২৩.৭৫। মোট আট বার আউট হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সাত বার অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরে কোহলি জানিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারে হয়তো তার আর সে দেশে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখনই বোঝা গিয়েছিল, টেস্টে আর বেশি দিন দেখা যাবে না তাকে। ইংল্যান্ডেও কোহলির রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। ১৭টি টেস্টে ১,০৯৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৩৩.২১।
লাল বলের ক্রিকেটে তার যা হাল, তাতে আগামী জুন মাসে ইংল্যান্ডে গিয়ে রান করা কঠিন ছিল। আরও এক বার ব্যর্থ হলে হয়তো টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত তার। তখন আরও বেশি সমালোচনার মাঝে সরতে হত। তার আগেই সেই কারণে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন কোহলি।
ভিরাট কোহলি
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং তারকা ভিরাট কোহলি। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ভারত দল ঘোষণার আগে সোমবার,(১২ মে ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে অবসরের কথা জানান কোহলি।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন কোহলি। এখন শুধু ওয়ানডে খেলবেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবসর নেয়ার পাঁচ দিন পর বিদায় নিলেন কোহলিও।
নিজের ভেরিফাইড পেইজে কোহলি লিখেছেন, ‘১৪ বছর হয়ে গেছে আমি টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি ব্লু পড়েছি। সত্যি বলতে, আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে, এই ফরম্যাট আমাকে পথচলায় এগিয়ে নিবে। এটি আমার পরীক্ষা নিয়েছে ও আমাকে গড়েছে এবং আমাকে এমন শিক্ষা দিয়েছে যা আমি সারাজীবন বহন করব।’
তিনি আরও লিখেন, ‘এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেয়াটা সহজ নয়, তবে মনে হচ্ছে এটি সঠিক সময়। এখানে আমার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি এবং এটা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ভারতের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ছিলেন ‘কিং কোহলি’ নামে পরিচিতি পাওয়া কোহলি। গত বছর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ জয়ী ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ঐ ম্যাচের পরই রোহিতের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন কোহলি।
কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি?
জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। আগামী জুন মাসে ইংল্যান্ড সফরের আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন তিনি।
বোর্ড কোহলিকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিল। কারণ, সামনেই ইংল্যান্ড সফর। সেখানে রোহিতের পাশাপাশি কোহলিকে না পেলে সমস্যা হত ভারতের। কিন্তু কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন। কোহরির হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত এর মধ্যে রয়েছে : পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো, রোহিতের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, কোচ গম্ভীরের তারকা-সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা, শারীরিক ধকলের চাপ, সর্বোপরি ব্যর্থতার চাপ।
ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন কোহলি। করেছেন ৯,২৩০ রান। ৪৬.৮৫ গড়ে রান করেছেন। ৩০টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। এই মানের এক ব্যাটার গত কয়েক বছরে সমস্যায় পড়েছেন।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতার দিন-রাতের টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতরানের পর থেকে শুরু হয়েছিল দীর্ঘ দিনের খরা। তার পরে ৪৪টি টেস্ট ইনিংসে শতরান করতে পারেননি তিনি। চার বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টে করেছিলেন শতরান। তার পরের ২৯টি ইনিংসে মাত্র দু’টি শতরান করেছেন।
গত পাঁচ বছরে কোহলির গড় অনেকটা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে ৩৭টি টেস্টে ১,৯৯০ রান করেছেন কোহলি। গড় ২৬.৮৯। ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছেন কোহলি। পা?র্থে প্রথম টেস্টে শতরান করলেও সিরিজের বাকিটা ভালো যায়নি তার। পাঁচ টেস্টের সিরিজে আর একটিও অর্ধশতরান করতে পারেননি কোহলি। একটি শতরানের পরেও সিরিজে তার গড় ছিল ২৩.৭৫। মোট আট বার আউট হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সাত বার অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরে কোহলি জানিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারে হয়তো তার আর সে দেশে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখনই বোঝা গিয়েছিল, টেস্টে আর বেশি দিন দেখা যাবে না তাকে। ইংল্যান্ডেও কোহলির রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। ১৭টি টেস্টে ১,০৯৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৩৩.২১।
লাল বলের ক্রিকেটে তার যা হাল, তাতে আগামী জুন মাসে ইংল্যান্ডে গিয়ে রান করা কঠিন ছিল। আরও এক বার ব্যর্থ হলে হয়তো টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত তার। তখন আরও বেশি সমালোচনার মাঝে সরতে হত। তার আগেই সেই কারণে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন কোহলি।