আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের লড়াইয়ে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েই বাজিমাত করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সে এপ্রিল মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। নারীদের মধ্যে সেরার পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস।
গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) প্রকাশ করেছে আইসিসি।
মিরাজ সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে পেছনে ফেলে স্বীকৃতিটি জিতেছেন ব্রাইস।
বাংলাদেশের তৃতীয় পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরার পুরস্কার জিতলেন মিরাজ। দুই বছর আগে সর্বশেষ এই সম্মাননা পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ২০২৩ সালের মার্চে। পুরস্কারটি জেতা দেশের আরেকজন হলেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমৎকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন মিরাজ। যার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। পুরস্কারটি জিততে পেরে ভীষণ খুশি মিরাজ করলেন স্মৃতিচারণও।
মাস সেরা হবার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারটি জেতা একটি অসাধারণ সম্মান। আইসিসি অ্যাওয়ার্ড যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি, আর এটি যখন বৈশ্বিক ভোটের মাধ্যমে আসে, তখন তা আমার জন্য অনেক বেশি মূল্যবান। এই মুহূর্তটি আমাকে অতীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার অর্জন করেছিলাম। সেটা আমার ক্যারিয়ারে একটি বিশাল অনুপ্রেরণা ছিল। আর এবারের পুরস্কারটা স্পেশাল।
আমি সত্যিই আনন্দিত। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কারটি অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের স্বপ্ন থাকে দলের জয়ে অবদান রাখা ও সমর্থকদের খুশি করা। আইসিসির কাছ থেকে এই ধরনের স্বীকৃতি আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করবে ও দেশের হয়ে ধারাবাহিক পারফরমেন্সের অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই পুরস্কার তাদের সবারই প্রাপ্য।’
সম্প্রতি সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারলেও রেকর্ড গড়া বোলিং করেন মিরাজ। প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসে শেষের ৫ উইকেট একাই নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাত হানেন টপ অর্ডারে, চমৎকার বোলিংয়ে সেবারও তার শিকার ৫ উইকেট।
তৃতীয়বার এক টেস্টে অন্তত ১০ উইকেট পান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। দেশের আর কারও নেই এই কীর্তি। বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে দুবার করে ১০ উইকেট নিতে পেরেছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ের নায়ক মিরাজ। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে দেন তিনি। পরে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান (দুই বার) ও সোহাগ গাজীর। আর একই সিরিজে এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার ও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার তিনি। ব্রাইস মেয়েদের সেরা হয়েছেন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। ওই টুর্নামেন্টে স্কটল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০২৫ বিশ্বকাপের টিকেট অবশ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্কটিশরা। চতুর্থ হয়ে বাছাই পর্ব শেষ করে তারা।
বাছাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানের ইনিংসের পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রান করেন ব্রাইস। আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উপহার দেন ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ৭৩.২৫ গড়ে ২৯৩ রান করেন ব্রাইস, যা আসরে সর্বোচ্চ। পেস বোলিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটিসহ আসরে মোট উইকেট নেন ৬টি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাছাইপর্বের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাইস। উইমেন’স বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশেও জায়গা হয় তার। এবার জিতে নিলেন মাস সেরার পুরস্কারও।
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের লড়াইয়ে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েই বাজিমাত করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সে এপ্রিল মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। নারীদের মধ্যে সেরার পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস।
গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) প্রকাশ করেছে আইসিসি।
মিরাজ সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে পেছনে ফেলে স্বীকৃতিটি জিতেছেন ব্রাইস।
বাংলাদেশের তৃতীয় পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরার পুরস্কার জিতলেন মিরাজ। দুই বছর আগে সর্বশেষ এই সম্মাননা পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ২০২৩ সালের মার্চে। পুরস্কারটি জেতা দেশের আরেকজন হলেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমৎকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন মিরাজ। যার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। পুরস্কারটি জিততে পেরে ভীষণ খুশি মিরাজ করলেন স্মৃতিচারণও।
মাস সেরা হবার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আইসিসি মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারটি জেতা একটি অসাধারণ সম্মান। আইসিসি অ্যাওয়ার্ড যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি, আর এটি যখন বৈশ্বিক ভোটের মাধ্যমে আসে, তখন তা আমার জন্য অনেক বেশি মূল্যবান। এই মুহূর্তটি আমাকে অতীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার অর্জন করেছিলাম। সেটা আমার ক্যারিয়ারে একটি বিশাল অনুপ্রেরণা ছিল। আর এবারের পুরস্কারটা স্পেশাল।
আমি সত্যিই আনন্দিত। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কারটি অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের স্বপ্ন থাকে দলের জয়ে অবদান রাখা ও সমর্থকদের খুশি করা। আইসিসির কাছ থেকে এই ধরনের স্বীকৃতি আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করবে ও দেশের হয়ে ধারাবাহিক পারফরমেন্সের অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই পুরস্কার তাদের সবারই প্রাপ্য।’
সম্প্রতি সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারলেও রেকর্ড গড়া বোলিং করেন মিরাজ। প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসে শেষের ৫ উইকেট একাই নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাত হানেন টপ অর্ডারে, চমৎকার বোলিংয়ে সেবারও তার শিকার ৫ উইকেট।
তৃতীয়বার এক টেস্টে অন্তত ১০ উইকেট পান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। দেশের আর কারও নেই এই কীর্তি। বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে দুবার করে ১০ উইকেট নিতে পেরেছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ের নায়ক মিরাজ। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে দেন তিনি। পরে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান (দুই বার) ও সোহাগ গাজীর। আর একই সিরিজে এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার ও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার তিনি। ব্রাইস মেয়েদের সেরা হয়েছেন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। ওই টুর্নামেন্টে স্কটল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০২৫ বিশ্বকাপের টিকেট অবশ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্কটিশরা। চতুর্থ হয়ে বাছাই পর্ব শেষ করে তারা।
বাছাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানের ইনিংসের পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রান করেন ব্রাইস। আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উপহার দেন ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ৭৩.২৫ গড়ে ২৯৩ রান করেন ব্রাইস, যা আসরে সর্বোচ্চ। পেস বোলিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটিসহ আসরে মোট উইকেট নেন ৬টি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাছাইপর্বের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাইস। উইমেন’স বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশেও জায়গা হয় তার। এবার জিতে নিলেন মাস সেরার পুরস্কারও।