আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে মেয়েদের এশিয়া কাপের মূল পর্ব। তার আগে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার যথেষ্ট সময় আছে। সময়টা কাজে লাগাতে উদ্যেগ নেয়ার প্রতিশশ্রুতি দিয়েছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
‘২০২৬-এর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান কাপ হবে। সেখানেও আমাদের অনেক সুযোগ আছে। সেরা ছয়টি দল চলে যাবে বিশ্বকাপে। পরের দুটি দল আবার খেলবে অলিম্পিকে। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। অবশ্যই পরিকল্পনা আছে এশিয়া কাপ নিয়ে। কারণ সুযোগ বারবার আসে না।’
‘আমাদের যেহেতু সুযোগ এসেছে, আমরা সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করব। আমরা অবশ্যই আরও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে চাই। কারণ এশিয়ান কাপ যখন খেলতে হবে, তখন কিন্তু অনেক শক্তিশালী দেশ খেলবে- জাপান, কোরিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া থাকবে। তাই সেই প্রস্তুতি নিয়েই আমাদের যেতে হবে। যে কয় মাস পাব, আমি সেটাকে সেভাবে ব্যবহার করব।’
বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মঞ্চে তোলা কোচ বাটলারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিরণ। মূল পর্বে সেরা ছয়ে থেকে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণে এই ইংলিশ কোচের হাত ধরে মেয়েরা এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
‘বাটলার অনেক ভালো কোচ এবং সে জানে ডাগআউটে থেকে কীভাবে দলকে এগিয়ে নিতে হবে; সে এই কাজটাই করেছে। তার সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা সেভাবে এগিয়ে যাব।’ ‘ইতোমধ্যে বাটলারের সঙ্গে সেভাবেই কথা হয়েছে। আমাদের মনোযোগ ও নজর থাকবে সেখানে, যেন আরও ভালো কিছু করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেরা ছয়ে থাকার। আমাদের তো অনেক বড় স্বপ্ন-বিশ্বকাপ খেলা। সেটার জন্যই আমরা মাঠে নামব, সেটার জন্যই কাজ করব।’
শক্তিশালী মায়ানমারের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ঋতুপর্ণা চাকমার প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ কিরণ।
‘ঋতুপর্ণা বাংলাদেশের মেসি। হামজাও (চৌধুরী) ভালো ফুটবলার, কোনো সন্দেহ নেই। হামজাও আমাদের দেশের জন্য গর্বের। সামনে ছেলেদের এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে, আমার বিশ্বাস সেখানেও হামজা ভালো করবে। এগিয়ে যাবে। ছেলে-মেয়ে দুটো দলই আমাদের, তুলনা করার কিছু নেই। কিন্তু ঋতুপর্ণা আমাদের মেসি, এটার বলার অপেক্ষা নেই। ও যেভাবে বল টেনে নিয়ে যায়, মেসি ছাড়া আর কারও মতো নয়।’
এশিয়ান কাপে ঋতুপর্ণারা নজর করতে পারলে বড় বড় ক্লাব থেকেও প্রস্তাব আসবে বলে মনে করেন কিরণ। ‘চূড়ান্ত পর্ব খেলতে ওরা যখন অস্ট্রেলিয়াতে যাবে, ঋতুপর্ণা এই লেভেলে খেললে তখন দেখবেন ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকে ওর কাছে প্রস্তাব আসবে। বিভিন্ন দেশ থেকে অফার আসবে। আমাদের খেলোয়াড়দের খেলা মানুষের দেখতে হবে। মানুষ যখন খেলা দেখবে তখন অফার আসবে।’
ঋতু অনেক উচ্চ স্তরে খেলার
ক্ষমতা রাখে: বাটলার
ঋতুপর্ণা-আফঈদাদের চমকে অভাবনীয় এক প্রাপ্তির আনন্দ সঙ্গী হয়েছে, প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়া কাপের বাছাইয়ের বৈতরণী পার হয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইয়ে এখনও অবশ্য তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাকি। তবে এখনই মেয়েদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলে নিজেদের উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা প্রায়ই তুলে ধরেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। বাছাইয়ের আগে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্রয়ের ফলও তিনি পেয়েছেন মিয়ানমারে গিয়ে। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মায়ানমার ম্যাচে বিশেষ করে জোড়া গোল করা ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে, বাটলার ঋতুর আরও বড় মঞ্চে সাফল্যের সম্ভাবনাকে সমর্থন করেন, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় পর্যায়ে তার আধিপত্যের কারণে।
‘এই মেয়ে অনেক উচ্চ স্তরে খেলার ক্ষমতা রাখে। আমার মনে হয় সবাই এটা জানে,’ ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাটলার বলেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ঘরোয়া নারী লীগ সক্রিয় না থাকায়, ঋতু- তার বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক সতীর্থের সঙ্গে- বিদেশে খেলার সুযোগ খুঁজতে হয়েছে। এই মৌসুমে, তিনি ভুটান মহিলা লীগে পারো এফসির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটিও লক্ষণীয় যে ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলটিকে আরেকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রায় ১০ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের বাংলাদেশে কোনো লীগ হয়নি এবং তাকে ঘরোয়া ফুটবল খেলতে ভুটানে যেতে হয়েছে।
তার সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, অথবা বর্তমানে তার অভিজ্ঞতার চেয়ে উচ্চ মানের কোথাও খেলা উচিত ছিল,’ বাটলার বলেন।
‘সে একজন সাহসী, মৃদুভাষী মেয়ে যার মধ্যে প্রচুর প্রতিভা আছে। সে এখনও তরুণ। আমি সত্যিই আশা করি সে আরও বড় এবং উন্নত পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে, কারণ সে একেবারেই এর যোগ্য।’
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে মেয়েদের এশিয়া কাপের মূল পর্ব। তার আগে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার যথেষ্ট সময় আছে। সময়টা কাজে লাগাতে উদ্যেগ নেয়ার প্রতিশশ্রুতি দিয়েছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
‘২০২৬-এর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান কাপ হবে। সেখানেও আমাদের অনেক সুযোগ আছে। সেরা ছয়টি দল চলে যাবে বিশ্বকাপে। পরের দুটি দল আবার খেলবে অলিম্পিকে। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। অবশ্যই পরিকল্পনা আছে এশিয়া কাপ নিয়ে। কারণ সুযোগ বারবার আসে না।’
‘আমাদের যেহেতু সুযোগ এসেছে, আমরা সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করব। আমরা অবশ্যই আরও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে চাই। কারণ এশিয়ান কাপ যখন খেলতে হবে, তখন কিন্তু অনেক শক্তিশালী দেশ খেলবে- জাপান, কোরিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া থাকবে। তাই সেই প্রস্তুতি নিয়েই আমাদের যেতে হবে। যে কয় মাস পাব, আমি সেটাকে সেভাবে ব্যবহার করব।’
বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মঞ্চে তোলা কোচ বাটলারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিরণ। মূল পর্বে সেরা ছয়ে থেকে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণে এই ইংলিশ কোচের হাত ধরে মেয়েরা এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
‘বাটলার অনেক ভালো কোচ এবং সে জানে ডাগআউটে থেকে কীভাবে দলকে এগিয়ে নিতে হবে; সে এই কাজটাই করেছে। তার সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা সেভাবে এগিয়ে যাব।’ ‘ইতোমধ্যে বাটলারের সঙ্গে সেভাবেই কথা হয়েছে। আমাদের মনোযোগ ও নজর থাকবে সেখানে, যেন আরও ভালো কিছু করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেরা ছয়ে থাকার। আমাদের তো অনেক বড় স্বপ্ন-বিশ্বকাপ খেলা। সেটার জন্যই আমরা মাঠে নামব, সেটার জন্যই কাজ করব।’
শক্তিশালী মায়ানমারের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ঋতুপর্ণা চাকমার প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ কিরণ।
‘ঋতুপর্ণা বাংলাদেশের মেসি। হামজাও (চৌধুরী) ভালো ফুটবলার, কোনো সন্দেহ নেই। হামজাও আমাদের দেশের জন্য গর্বের। সামনে ছেলেদের এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে, আমার বিশ্বাস সেখানেও হামজা ভালো করবে। এগিয়ে যাবে। ছেলে-মেয়ে দুটো দলই আমাদের, তুলনা করার কিছু নেই। কিন্তু ঋতুপর্ণা আমাদের মেসি, এটার বলার অপেক্ষা নেই। ও যেভাবে বল টেনে নিয়ে যায়, মেসি ছাড়া আর কারও মতো নয়।’
এশিয়ান কাপে ঋতুপর্ণারা নজর করতে পারলে বড় বড় ক্লাব থেকেও প্রস্তাব আসবে বলে মনে করেন কিরণ। ‘চূড়ান্ত পর্ব খেলতে ওরা যখন অস্ট্রেলিয়াতে যাবে, ঋতুপর্ণা এই লেভেলে খেললে তখন দেখবেন ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকে ওর কাছে প্রস্তাব আসবে। বিভিন্ন দেশ থেকে অফার আসবে। আমাদের খেলোয়াড়দের খেলা মানুষের দেখতে হবে। মানুষ যখন খেলা দেখবে তখন অফার আসবে।’
ঋতু অনেক উচ্চ স্তরে খেলার
ক্ষমতা রাখে: বাটলার
ঋতুপর্ণা-আফঈদাদের চমকে অভাবনীয় এক প্রাপ্তির আনন্দ সঙ্গী হয়েছে, প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়া কাপের বাছাইয়ের বৈতরণী পার হয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইয়ে এখনও অবশ্য তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাকি। তবে এখনই মেয়েদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলে নিজেদের উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা প্রায়ই তুলে ধরেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। বাছাইয়ের আগে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্রয়ের ফলও তিনি পেয়েছেন মিয়ানমারে গিয়ে। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মায়ানমার ম্যাচে বিশেষ করে জোড়া গোল করা ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে, বাটলার ঋতুর আরও বড় মঞ্চে সাফল্যের সম্ভাবনাকে সমর্থন করেন, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় পর্যায়ে তার আধিপত্যের কারণে।
‘এই মেয়ে অনেক উচ্চ স্তরে খেলার ক্ষমতা রাখে। আমার মনে হয় সবাই এটা জানে,’ ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাটলার বলেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ঘরোয়া নারী লীগ সক্রিয় না থাকায়, ঋতু- তার বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক সতীর্থের সঙ্গে- বিদেশে খেলার সুযোগ খুঁজতে হয়েছে। এই মৌসুমে, তিনি ভুটান মহিলা লীগে পারো এফসির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটিও লক্ষণীয় যে ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলটিকে আরেকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য প্রায় ১০ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের বাংলাদেশে কোনো লীগ হয়নি এবং তাকে ঘরোয়া ফুটবল খেলতে ভুটানে যেতে হয়েছে।
তার সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, অথবা বর্তমানে তার অভিজ্ঞতার চেয়ে উচ্চ মানের কোথাও খেলা উচিত ছিল,’ বাটলার বলেন।
‘সে একজন সাহসী, মৃদুভাষী মেয়ে যার মধ্যে প্রচুর প্রতিভা আছে। সে এখনও তরুণ। আমি সত্যিই আশা করি সে আরও বড় এবং উন্নত পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে, কারণ সে একেবারেই এর যোগ্য।’