শ্রীলঙ্কার উইকেট উদযাপন
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে আড়াইশ’ নিচে আটকে রেখে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। রান তাড়ায় শুরুটাও দারুণ ছিল তাদের। কিন্তু হঠাৎ এক ধসে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক আসালঙ্কার সেঞ্চুরিতে ২৪৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১০০। সেখান থেকে ৫ রানের মধ্যে তারা হারায় ৭ উইকেট।
রান তাড়ায় ২৯ রানের উদ্বোধনীন জুটির পর আউট হন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালো জুটি তানজিম ও শান্ত। শান্তর (২৩) রান আউটে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিং ধসের সূচনাও সেখান থেকেই। হাসারাঙ্গা ও কামিন্দুর স্পিনে উইকেট পড়তে থাকে টপাটপ। ৬১ বলে ৬২ রান করে তানজিদ আউট হন লিয়ানাগের দুর্দান্ত ক্যাচে।
২৭ বলের মধ্যে ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ১০০ রান থেকে ৮ উইকেটে ১০৫!
এরপর লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে ব্যবধান কিছুটা কমান জাকের আলি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাসারাঙ্গা নেন ৪ উইকেট। দুই হাতে বোলিং করে কামিন্দু মেন্ডিসের শিকার ৩টি।
তবে ইনিংসের যেকোনো সময় সবচেয়ে কম রানে ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ডও আছে। সেটির মালিক জিম্বাবুয়ে। ২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট মাত্র ৩ রান যোগ করে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেটে ১২৪ রান থেকে ১২৭ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ে ইনিংস। তবে বাংলাদেশ ইনিংসে এমন ব্যাটিং এটিই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল ৮ রানে । ৩ উইকেটে ৫০ রান থেকে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচটি বৃষ্টি আইনে ৪৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
গত বছর শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ১১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১৩২ রান থেকে ১৪৩ রানে গুটিয়ে ৯২ রানে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ (কুসাল মেন্ডিস ৪৫, কামিন্দু আসালঙ্কা ১০৬, লিয়ানাগে ২৯, রাতœায়াকে ২২, হাসারাঙ্গা ২২; তাসকিন ১০-২-৪৭-৪, তানজিম ৯.২-০-৪৫-৩, মোস্তাফিজ ৬-১-২৪-০, মিরাজ ১০-০-৪৭-০, তানভির ১০-০-৪৪-১, শান্ত ৪-০-৩২-১)।
বাংলাদেশ ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ (পারভেজ ১৩, তানজিদ ৬২, শান্ত ২৩, লিটন ০, হৃদয় ১, মিরাজ ০, জাকের আলি ৫১, তানজিম ১, তাসকিন ০, তানভির ৫, মোস্তাফিজ ০*; আসিথা ৫-০-৩৮-১, থিকশানা ৯-১-৩২-১, হাসারাঙ্গা ৭.৫-২-১০-৪, কামিন্দু মেন্ডিস ৫-০-১৯-৩)। ম্যাচ সেরা: আসালঙ্কা।
আগামী শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে।
শ্রীলঙ্কার উইকেট উদযাপন
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে আড়াইশ’ নিচে আটকে রেখে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। রান তাড়ায় শুরুটাও দারুণ ছিল তাদের। কিন্তু হঠাৎ এক ধসে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক আসালঙ্কার সেঞ্চুরিতে ২৪৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১০০। সেখান থেকে ৫ রানের মধ্যে তারা হারায় ৭ উইকেট।
রান তাড়ায় ২৯ রানের উদ্বোধনীন জুটির পর আউট হন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালো জুটি তানজিম ও শান্ত। শান্তর (২৩) রান আউটে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিং ধসের সূচনাও সেখান থেকেই। হাসারাঙ্গা ও কামিন্দুর স্পিনে উইকেট পড়তে থাকে টপাটপ। ৬১ বলে ৬২ রান করে তানজিদ আউট হন লিয়ানাগের দুর্দান্ত ক্যাচে।
২৭ বলের মধ্যে ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ১০০ রান থেকে ৮ উইকেটে ১০৫!
এরপর লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে ব্যবধান কিছুটা কমান জাকের আলি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাসারাঙ্গা নেন ৪ উইকেট। দুই হাতে বোলিং করে কামিন্দু মেন্ডিসের শিকার ৩টি।
তবে ইনিংসের যেকোনো সময় সবচেয়ে কম রানে ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ডও আছে। সেটির মালিক জিম্বাবুয়ে। ২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট মাত্র ৩ রান যোগ করে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেটে ১২৪ রান থেকে ১২৭ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ে ইনিংস। তবে বাংলাদেশ ইনিংসে এমন ব্যাটিং এটিই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল ৮ রানে । ৩ উইকেটে ৫০ রান থেকে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচটি বৃষ্টি আইনে ৪৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
গত বছর শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ১১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১৩২ রান থেকে ১৪৩ রানে গুটিয়ে ৯২ রানে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ (কুসাল মেন্ডিস ৪৫, কামিন্দু আসালঙ্কা ১০৬, লিয়ানাগে ২৯, রাতœায়াকে ২২, হাসারাঙ্গা ২২; তাসকিন ১০-২-৪৭-৪, তানজিম ৯.২-০-৪৫-৩, মোস্তাফিজ ৬-১-২৪-০, মিরাজ ১০-০-৪৭-০, তানভির ১০-০-৪৪-১, শান্ত ৪-০-৩২-১)।
বাংলাদেশ ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ (পারভেজ ১৩, তানজিদ ৬২, শান্ত ২৩, লিটন ০, হৃদয় ১, মিরাজ ০, জাকের আলি ৫১, তানজিম ১, তাসকিন ০, তানভির ৫, মোস্তাফিজ ০*; আসিথা ৫-০-৩৮-১, থিকশানা ৯-১-৩২-১, হাসারাঙ্গা ৭.৫-২-১০-৪, কামিন্দু মেন্ডিস ৫-০-১৯-৩)। ম্যাচ সেরা: আসালঙ্কা।
আগামী শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে।