সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মিরাজ
দুই অধিনায়ক
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।
লঙ্কানদের কাছে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় মিরাজ-মোস্তাফিজরা। ১৬ রানের দারুণ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে যেভাবে হেরেছি সেটি মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। জানতাম, সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই চূড়ান্ত লক্ষ্য সিরিজ জয় এবং আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর মাত্র একবার তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সেটি ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনও ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে দু’বার লংকানদের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পারে টাইগাররা। ঐ দুই সিরিজের দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।
এবার হোয়াইটওয়াশ নিয়ে চিন্তা নেই বাংলাদেশের। তবে ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই সিরিজ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশ। ২০২১ এবং ২০২৪ সালে ঘরের মাঠে লংকানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ঐ দুই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।
সব মিলিয়ে ১০টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে বাংলাদেশ ২টি এবং শ্রীলঙ্কা ৬টি সিরিজ জিতে। দুই সিরিজ ড্র হয়।
এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩টি জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ১টি করে জয় ও হার আছে টাইগারদের। ২০১৩ সালের সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। ঐ জয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আর ২০২৩ সালে এশিয়া কাপের ম্যাচে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে ৫ উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা।
পরিসংখ্যান পক্ষে না থাকলেও সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। কারণ প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর, দ্বিতীয় ওয়ানডের জয় টাইগারদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
তৃতীয় ম্যাচের একাদশে ফিরতে পারেন আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ। এজন্য বাদ পড়তে পারেন পেসার হাসান মাহমুদ।
দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে নিজের সেরাটা দিতে না পারলে, ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ডেথ ওভারে শ্রীলঙ্কার সেট ব্যাটার জানিথ লিয়ানাগেকে শিকার করে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখান ফিজ।
ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ২১ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ২৫০ রানের (২৪৮ রানে অলআউট) কাছাকাছি নিয়ে যান তিনি।
পাশাপাশি বল হাতে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন তানজিম।
তানজিম সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘শেষ দিকে তানজিমের ব্যাটিং অসাধারণ ছিল। তার রানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২২০ এবং ২৫০ রানের পুঁজির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছিল।’
পেশীতে টান লাগায় নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু জানা গেছে, শান্ত ফিট আছেন এবং দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন।
বাংলাদেশ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মিরাজ
দুই অধিনায়ক
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।
লঙ্কানদের কাছে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় মিরাজ-মোস্তাফিজরা। ১৬ রানের দারুণ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে যেভাবে হেরেছি সেটি মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। জানতাম, সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই চূড়ান্ত লক্ষ্য সিরিজ জয় এবং আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর মাত্র একবার তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সেটি ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনও ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে দু’বার লংকানদের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পারে টাইগাররা। ঐ দুই সিরিজের দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।
এবার হোয়াইটওয়াশ নিয়ে চিন্তা নেই বাংলাদেশের। তবে ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই সিরিজ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশ। ২০২১ এবং ২০২৪ সালে ঘরের মাঠে লংকানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ঐ দুই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।
সব মিলিয়ে ১০টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে বাংলাদেশ ২টি এবং শ্রীলঙ্কা ৬টি সিরিজ জিতে। দুই সিরিজ ড্র হয়।
এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩টি জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ১টি করে জয় ও হার আছে টাইগারদের। ২০১৩ সালের সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। ঐ জয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আর ২০২৩ সালে এশিয়া কাপের ম্যাচে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে ৫ উইকেটে হেরেছিল টাইগাররা।
পরিসংখ্যান পক্ষে না থাকলেও সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। কারণ প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর, দ্বিতীয় ওয়ানডের জয় টাইগারদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
তৃতীয় ম্যাচের একাদশে ফিরতে পারেন আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ। এজন্য বাদ পড়তে পারেন পেসার হাসান মাহমুদ।
দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে নিজের সেরাটা দিতে না পারলে, ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ডেথ ওভারে শ্রীলঙ্কার সেট ব্যাটার জানিথ লিয়ানাগেকে শিকার করে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখান ফিজ।
ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ২১ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ২৫০ রানের (২৪৮ রানে অলআউট) কাছাকাছি নিয়ে যান তিনি।
পাশাপাশি বল হাতে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন তানজিম।
তানজিম সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘শেষ দিকে তানজিমের ব্যাটিং অসাধারণ ছিল। তার রানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২২০ এবং ২৫০ রানের পুঁজির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছিল।’
পেশীতে টান লাগায় নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু জানা গেছে, শান্ত ফিট আছেন এবং দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন।
বাংলাদেশ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।