গভীর রাতে দেশে ফিরে সংবর্ধনায় সিক্ত আফঈদা, ঋতুপর্ণারা
বাফুফের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলের সদস্যরা
নারী এশিয়া কাপের বাছাই শেষ করে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে ওঠার ইতিহাস গড়া মেয়েদের জন্য রাতেই সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
ঋতুপর্ণা
আমরা বাংলাদেশের মেয়েরা জানি, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের নিরাশ করব না।
বাটলার
গত বছর থেকে আমাদের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। টালমাটাল সময় ছিল। তবে, এই মেয়েদের কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আজ আমরা এখানে থাকতে পারতাম না।
তাবিথ আউয়াল
আমরা ১৮ কোটি মানুষের দল, সমর্থন দেয়ার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা এগিয়ে যান। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য-মিশন অস্ট্রেলিয়া
রাত আড়াইটায় খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফদের নিয়ে টিম বাস বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় হাতিরঝিলের উদ্দেশ্যে। তাতে মধ্যরাতের আয়োজন গিয়ে পৌঁছায় আরও গভীর রাতে। টিম বাসে দেখা খেলোয়াড়দের কাউকে ঝিমাতে, আবার কেউ হাসিমুখে গণমাধ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ন।
রাত তিনটার একটু পর আলো ঝলমলে মঞ্চে উপস্থিত হন দলের সবাই। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বাফুফের কর্মকর্তারা। এসময় অবশ্য হাস্যোজ্জ্বলই দেখা যায় মেয়েদের।
জয়ী দলের সবার সামনে ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা ছিল ‘কোয়ালিফাইড’। একটু পর উপস্থাপক নিজেই গিয়ে মেয়েদের হাতে তুলে দেন জাতীয় দলের পতাকা। বাজতে থাকে রক মিউজিক।
একটু পর ব্যান্ড মিউজিকের তালে বেজে ওঠে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম ....শতদল’ সঙ্গীত। কিছুটা ক্লান্ত, অবসন্ন চোখে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন মেয়েরা। এতো রাতেও সমর্থকরা সেখানে হাজির ছিলেন মেয়েদের অভিনন্দন জানাতে। করতালিতে তারা মুখরিত করে রাখেন চারপাশ।
তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমার কথায় ফুটে ওঠে দেশের সংগ্রামী মেয়েদের প্রতিচ্ছবি। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের সেরা ছয় দলের মধ্যে থেকে বিশ্বকাপে খেলার আশাবাদ জানান ঋতু।
বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই দর্শকদের, এতো রাতে আমাদের বরণ করে নেয়ার জন্য। সভাপতি ও কিরণ ম্যাডামকে অভিনন্দন এমন আয়োজন করার জন্য। আজকে আমরা এখানে এসেছি দলীয় প্রচেষ্টায়, ফুটবল কোনো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলা নয়।’
‘আমরা বাংলাদেশের মেয়েরা জানি, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের নিরাশ করব না। আমরা এশিয়া নয়, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই।’
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তির কণ্ঠেও ছিল বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যয়। ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই, তাবিথ আউয়াল স্যার, কিরণ (মাহফুজা আক্তার) ম্যাডামসহ সবাইকে এত রাতে এত সুন্দর একটা আয়োজনের জন্য। কিরণ ম্যাডামকে ব্যক্তিগতভাবে আমার কৃতজ্ঞতা, এই মুহূর্ত ভোলার মতো নয়। কেবল দক্ষিণ এশিয়া নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে পারি।’
কোচ পিটার জেমস বাটলার ইতিহাস গড়া মেয়েদের প্রশংসায় ভাসালেন বেশি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘সকাল হতে বেশি দেরি নেই। আমি এই সময়ে কথা বলতে অভ্যস্ত নই। প্রথমত বাফুফে সভাপতি, মিস কিরণ, কমিটির সদস্য, সব খেলোয়াড় এবং টিম স্টাফ সবাইকে কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ছাড়া আমরা এখানে আজ থাকতে পারতাম না। বিশেষ করে সমর্থকদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এত রাতেও তারা এসেছেন, আমি আন্তরিকভাবে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
‘কঠিন হলেও আমি বলব, সম্ভবত এটা স্রেফ কঠিন একটা সপ্তাহ ছিল না, কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সর্বশেষ ৯ থেকে ১২ সপ্তাহ আমাদের অনেক কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। গত বছর থেকে যেটা শুরু হয়েছিল, আমাদের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। টালমাটাল সময় ছিল। তবে, এই মেয়েদের কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আজ আমরা এখানে থাকতে পারতাম না। মেয়েরা যা করেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ। টিম স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ।’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল তার সমাপনী বক্তব্যে খেলোয়াড়, কোচ, টিম স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। দলকে মনে করিয়ে দেন, সামনে এখন একটাই লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের কথা।
সাফে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সাবিনাদেরকে দেড় কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা করলে তা আজও দিতে পারেনি বাফুফে। তবে এশিয়া কাপে প্রথমবার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন বাফুফে সভাপতি বোনাস দেবেন। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। বরং বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা নারী দলের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
‘শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের নারী জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা দুটি কাজ করেছেন। আপনারা নতুন করে ইতিহাস লিখছেন এবং আমাদের সমাজের মন-মানসিকতা বদলানোর একটা যাত্রায় আমাদের এগিয়ে নিচ্ছেন। আমরা ১৮ কোটি মানুষ, এটা একটা টিম ওয়ার্ক। আমরা ১৮ কোটি মানুষের দল, সমর্থন দেয়ার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা এগিয়ে যান। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য-মিশন অস্ট্রেলিয়া।’
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ নারী দল তাদের বাছাইপর্বে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয়, মায়ানমারকে ২-১ গোলে হারায়, আর তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। এই অনবদ্য অভিযানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ নারীরা প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয়। তবে এটি কেবল শুরু।
২০২৬ সালের এশিয়ান কাপে খেলবে মোট ১২টি দলের মধ্যে রয়েছে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। আছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ফুটবল পরাশক্তি। এই টুর্নামেন্টটি একসঙ্গে ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপ কাপ এবং ২০২৮ অলিম্পিক গেমসের বাছাইপর্ব হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে, শীর্ষ ৮টি দল অলিম্পিকে জায়গা পাবে, সপ্তম ও অষ্টম দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সুযোগ পাবে।
হাতিরঝিলের আলোঝলমলে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ ইজাজসহ অনেকে।
গভীর রাতে দেশে ফিরে সংবর্ধনায় সিক্ত আফঈদা, ঋতুপর্ণারা
বাফুফের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলের সদস্যরা
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
নারী এশিয়া কাপের বাছাই শেষ করে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে ওঠার ইতিহাস গড়া মেয়েদের জন্য রাতেই সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
ঋতুপর্ণা
আমরা বাংলাদেশের মেয়েরা জানি, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের নিরাশ করব না।
বাটলার
গত বছর থেকে আমাদের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। টালমাটাল সময় ছিল। তবে, এই মেয়েদের কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আজ আমরা এখানে থাকতে পারতাম না।
তাবিথ আউয়াল
আমরা ১৮ কোটি মানুষের দল, সমর্থন দেয়ার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা এগিয়ে যান। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য-মিশন অস্ট্রেলিয়া
রাত আড়াইটায় খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফদের নিয়ে টিম বাস বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় হাতিরঝিলের উদ্দেশ্যে। তাতে মধ্যরাতের আয়োজন গিয়ে পৌঁছায় আরও গভীর রাতে। টিম বাসে দেখা খেলোয়াড়দের কাউকে ঝিমাতে, আবার কেউ হাসিমুখে গণমাধ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ন।
রাত তিনটার একটু পর আলো ঝলমলে মঞ্চে উপস্থিত হন দলের সবাই। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বাফুফের কর্মকর্তারা। এসময় অবশ্য হাস্যোজ্জ্বলই দেখা যায় মেয়েদের।
জয়ী দলের সবার সামনে ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা ছিল ‘কোয়ালিফাইড’। একটু পর উপস্থাপক নিজেই গিয়ে মেয়েদের হাতে তুলে দেন জাতীয় দলের পতাকা। বাজতে থাকে রক মিউজিক।
একটু পর ব্যান্ড মিউজিকের তালে বেজে ওঠে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম ....শতদল’ সঙ্গীত। কিছুটা ক্লান্ত, অবসন্ন চোখে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন মেয়েরা। এতো রাতেও সমর্থকরা সেখানে হাজির ছিলেন মেয়েদের অভিনন্দন জানাতে। করতালিতে তারা মুখরিত করে রাখেন চারপাশ।
তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমার কথায় ফুটে ওঠে দেশের সংগ্রামী মেয়েদের প্রতিচ্ছবি। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের সেরা ছয় দলের মধ্যে থেকে বিশ্বকাপে খেলার আশাবাদ জানান ঋতু।
বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই দর্শকদের, এতো রাতে আমাদের বরণ করে নেয়ার জন্য। সভাপতি ও কিরণ ম্যাডামকে অভিনন্দন এমন আয়োজন করার জন্য। আজকে আমরা এখানে এসেছি দলীয় প্রচেষ্টায়, ফুটবল কোনো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলা নয়।’
‘আমরা বাংলাদেশের মেয়েরা জানি, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের নিরাশ করব না। আমরা এশিয়া নয়, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই।’
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তির কণ্ঠেও ছিল বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যয়। ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই, তাবিথ আউয়াল স্যার, কিরণ (মাহফুজা আক্তার) ম্যাডামসহ সবাইকে এত রাতে এত সুন্দর একটা আয়োজনের জন্য। কিরণ ম্যাডামকে ব্যক্তিগতভাবে আমার কৃতজ্ঞতা, এই মুহূর্ত ভোলার মতো নয়। কেবল দক্ষিণ এশিয়া নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে পারি।’
কোচ পিটার জেমস বাটলার ইতিহাস গড়া মেয়েদের প্রশংসায় ভাসালেন বেশি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘সকাল হতে বেশি দেরি নেই। আমি এই সময়ে কথা বলতে অভ্যস্ত নই। প্রথমত বাফুফে সভাপতি, মিস কিরণ, কমিটির সদস্য, সব খেলোয়াড় এবং টিম স্টাফ সবাইকে কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ছাড়া আমরা এখানে আজ থাকতে পারতাম না। বিশেষ করে সমর্থকদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এত রাতেও তারা এসেছেন, আমি আন্তরিকভাবে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
‘কঠিন হলেও আমি বলব, সম্ভবত এটা স্রেফ কঠিন একটা সপ্তাহ ছিল না, কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সর্বশেষ ৯ থেকে ১২ সপ্তাহ আমাদের অনেক কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। গত বছর থেকে যেটা শুরু হয়েছিল, আমাদের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। টালমাটাল সময় ছিল। তবে, এই মেয়েদের কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আজ আমরা এখানে থাকতে পারতাম না। মেয়েরা যা করেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ। টিম স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ।’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল তার সমাপনী বক্তব্যে খেলোয়াড়, কোচ, টিম স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। দলকে মনে করিয়ে দেন, সামনে এখন একটাই লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের কথা।
সাফে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সাবিনাদেরকে দেড় কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা করলে তা আজও দিতে পারেনি বাফুফে। তবে এশিয়া কাপে প্রথমবার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন বাফুফে সভাপতি বোনাস দেবেন। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। বরং বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা নারী দলের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
‘শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের নারী জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা দুটি কাজ করেছেন। আপনারা নতুন করে ইতিহাস লিখছেন এবং আমাদের সমাজের মন-মানসিকতা বদলানোর একটা যাত্রায় আমাদের এগিয়ে নিচ্ছেন। আমরা ১৮ কোটি মানুষ, এটা একটা টিম ওয়ার্ক। আমরা ১৮ কোটি মানুষের দল, সমর্থন দেয়ার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা এগিয়ে যান। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য-মিশন অস্ট্রেলিয়া।’
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ নারী দল তাদের বাছাইপর্বে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয়, মায়ানমারকে ২-১ গোলে হারায়, আর তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। এই অনবদ্য অভিযানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ নারীরা প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয়। তবে এটি কেবল শুরু।
২০২৬ সালের এশিয়ান কাপে খেলবে মোট ১২টি দলের মধ্যে রয়েছে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। আছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ফুটবল পরাশক্তি। এই টুর্নামেন্টটি একসঙ্গে ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপ কাপ এবং ২০২৮ অলিম্পিক গেমসের বাছাইপর্ব হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। শীর্ষ ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে, শীর্ষ ৮টি দল অলিম্পিকে জায়গা পাবে, সপ্তম ও অষ্টম দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সুযোগ পাবে।
হাতিরঝিলের আলোঝলমলে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ ইজাজসহ অনেকে।