শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশের শুরু হলো হার দিয়ে। আগে ব্যাটিং করে পারভেজ হোসেন ইমন ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে কোনোরকমে দেড়শ’ পার করে তারা। কিন্তু বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে শ্রীলঙ্কা জয়ের ভিত গড়ে নেয়। এক ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। এমন হারের পরও ইতিবাচক বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি বোলিং কোচ মুশতাক বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো বোলিং করেছি। অনেক সময় আমরা যখন ম্যাচ জিতি না তখন আমাদেরকে (বোলারদের) কৃতিত্ব দিতে চান না। রিশাদ তো দারুণ বোলিং করেছে। একজন লেগস্পিনার হিসেবে আমি খুশি যে রিশাদ অনেক উন্নতি করছে। তার বলগুলো দারুণভাবে ভেতরে ঢুকছে, স্পিনও হচ্ছে, বাউন্সও করেছে। মিরাজও ভালো করেছে, সেজন্য আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি। তানজিম ও অন্য পেসাররাও নিজেদের সবটাই দিয়েছে। মাঠের একটা জিনিস নিয়ে গর্ব করে বলতে পারি, ওরা কখনও হাল ছাড়েনি। তারা লড়াই করেছে। মাঠে আপনারা দেখেছেন। আমরা তো এটাই চাই। তারা যদি এটা করে যেতে পারে, বিশ্বাস রাখতে পারে, আমরা যদি ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’
ক্রিকেটারদের ভয় কাটাতে হবে মনে করেন মুশতাক, ‘আমরা হেরে যাবো এমন ভয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যাবে না। আপনাকে মাঠে নামতে হবে এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করতে হবে। অনুশীলনে আপনি যখন কাজ করবেন, সেটা ম্যাচেও প্রয়োগ করবেন তখন কিন্তু ইতিবাচক ফলাফল আসবে। ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও একই কথা। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করুন, এই ছেলেদের ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য আছে। আমাকে শুধু এটা বিশ্বাস করতে হবে এবং একজন আরেকজনকে ব্যাক করতে হবে। যখন ইনিংস বড় করবেন, ৩০-৪০ রানের ইনিংসকে ৭০-৮০ তে নিতে পারবেন, তখন ফলাফল দেখতে পাবেন।’
ছেলেদের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি, ‘ক্রিকেট ইজ ক্রিকেট। ক্রিকেটকে ক্রাইম বলার কোনও সুযোগ নেই। ক্রাইম খুবই বাজে একটা শব্দ। তারা সত্যিই চেষ্টা করেছে। কোচ হিসেবে দেখলাম তারা প্রতিটি বলে হিট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু হয়নি। এটা নিয়ে তারা নিজেরাও হতাশ। দেখুন চার ওভারে তারা ৮০ রান তুলেছিল, তারপর আমরা দারুণভাবে কামব্যাক করেছি। আমরা যদি একবার স্কোরবোর্ডে ১৭০ রান করতে পারতাম, তাহলে ভাবুন পরিস্থিতি কী হতো। এখন আমাদেরকে কী করতে হবে, এখন আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং সামনে আগাতে হবে। এই ছেলেরাই ম্যাচ জেতাতে পারবে।’
এই ম্যাচেই লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস অবিশ্বাস্য শুরু এনে দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক। তার মতো একজন ব্যাটারের অভাব বাংলাদেশ দলে, এমনটা মনে করছেন কোচ মুশতাক আহমেদ।’
কুশলের উদাহরণ টেনে মুশতাক বললেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেও তা ধরে রাখতে পারিনি। কুশল মেন্ডিস যেটা করে যাচ্ছে, আমাদের মধ্যে যারা ফর্মে আছে, তাদের মধ্যে কাউকে মেন্ডিসের মতো করে আমাদের হয়ে কাজটা করে দিতে হবে। ৩০-৪০ করে আউট না হয়ে গিয়ে ইনিংসটাকে বড় করতে হবে। আমাদের ব্যাটিংয়ের জন্য এটা জরুরি।’
বাংলাদেশ স্পিন কোচ বলেন, ‘এই পিচে আমার মনে হয় ১৭০ কিংবা ১৭৫ রান পার স্কোর ছিল। আমরা যদি ওই রানটা করতে পারতাম এবং পাওয়ার প্লেতে ভালো বোলিং করতে পারতাম তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো। তবে আমার মনে হয় পরের দিকে ছেলেরা ভালোভাবে কামব্যাক করেছে।’
শ্রীলঙ্কার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশতাক, ‘অবশ্যই প্রথমে কৃতিত্ব দিতে হবে শ্রীলঙ্কান দলকে। তারা দারুণ ইতিবাচক ক্রিকেট, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের জন্য হতাশা। আমরা ভালো শুরু করেছি, সেখানেই ম্যাচ শেষ করে দেওয়া যেতো, তবে আমরা তা পারিনি। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি লাগবে।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশের শুরু হলো হার দিয়ে। আগে ব্যাটিং করে পারভেজ হোসেন ইমন ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে কোনোরকমে দেড়শ’ পার করে তারা। কিন্তু বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে শ্রীলঙ্কা জয়ের ভিত গড়ে নেয়। এক ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। এমন হারের পরও ইতিবাচক বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি বোলিং কোচ মুশতাক বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো বোলিং করেছি। অনেক সময় আমরা যখন ম্যাচ জিতি না তখন আমাদেরকে (বোলারদের) কৃতিত্ব দিতে চান না। রিশাদ তো দারুণ বোলিং করেছে। একজন লেগস্পিনার হিসেবে আমি খুশি যে রিশাদ অনেক উন্নতি করছে। তার বলগুলো দারুণভাবে ভেতরে ঢুকছে, স্পিনও হচ্ছে, বাউন্সও করেছে। মিরাজও ভালো করেছে, সেজন্য আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি। তানজিম ও অন্য পেসাররাও নিজেদের সবটাই দিয়েছে। মাঠের একটা জিনিস নিয়ে গর্ব করে বলতে পারি, ওরা কখনও হাল ছাড়েনি। তারা লড়াই করেছে। মাঠে আপনারা দেখেছেন। আমরা তো এটাই চাই। তারা যদি এটা করে যেতে পারে, বিশ্বাস রাখতে পারে, আমরা যদি ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’
ক্রিকেটারদের ভয় কাটাতে হবে মনে করেন মুশতাক, ‘আমরা হেরে যাবো এমন ভয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যাবে না। আপনাকে মাঠে নামতে হবে এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করতে হবে। অনুশীলনে আপনি যখন কাজ করবেন, সেটা ম্যাচেও প্রয়োগ করবেন তখন কিন্তু ইতিবাচক ফলাফল আসবে। ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও একই কথা। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করুন, এই ছেলেদের ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য আছে। আমাকে শুধু এটা বিশ্বাস করতে হবে এবং একজন আরেকজনকে ব্যাক করতে হবে। যখন ইনিংস বড় করবেন, ৩০-৪০ রানের ইনিংসকে ৭০-৮০ তে নিতে পারবেন, তখন ফলাফল দেখতে পাবেন।’
ছেলেদের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি, ‘ক্রিকেট ইজ ক্রিকেট। ক্রিকেটকে ক্রাইম বলার কোনও সুযোগ নেই। ক্রাইম খুবই বাজে একটা শব্দ। তারা সত্যিই চেষ্টা করেছে। কোচ হিসেবে দেখলাম তারা প্রতিটি বলে হিট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু হয়নি। এটা নিয়ে তারা নিজেরাও হতাশ। দেখুন চার ওভারে তারা ৮০ রান তুলেছিল, তারপর আমরা দারুণভাবে কামব্যাক করেছি। আমরা যদি একবার স্কোরবোর্ডে ১৭০ রান করতে পারতাম, তাহলে ভাবুন পরিস্থিতি কী হতো। এখন আমাদেরকে কী করতে হবে, এখন আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং সামনে আগাতে হবে। এই ছেলেরাই ম্যাচ জেতাতে পারবে।’
এই ম্যাচেই লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস অবিশ্বাস্য শুরু এনে দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক। তার মতো একজন ব্যাটারের অভাব বাংলাদেশ দলে, এমনটা মনে করছেন কোচ মুশতাক আহমেদ।’
কুশলের উদাহরণ টেনে মুশতাক বললেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেও তা ধরে রাখতে পারিনি। কুশল মেন্ডিস যেটা করে যাচ্ছে, আমাদের মধ্যে যারা ফর্মে আছে, তাদের মধ্যে কাউকে মেন্ডিসের মতো করে আমাদের হয়ে কাজটা করে দিতে হবে। ৩০-৪০ করে আউট না হয়ে গিয়ে ইনিংসটাকে বড় করতে হবে। আমাদের ব্যাটিংয়ের জন্য এটা জরুরি।’
বাংলাদেশ স্পিন কোচ বলেন, ‘এই পিচে আমার মনে হয় ১৭০ কিংবা ১৭৫ রান পার স্কোর ছিল। আমরা যদি ওই রানটা করতে পারতাম এবং পাওয়ার প্লেতে ভালো বোলিং করতে পারতাম তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো। তবে আমার মনে হয় পরের দিকে ছেলেরা ভালোভাবে কামব্যাক করেছে।’
শ্রীলঙ্কার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশতাক, ‘অবশ্যই প্রথমে কৃতিত্ব দিতে হবে শ্রীলঙ্কান দলকে। তারা দারুণ ইতিবাচক ক্রিকেট, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের জন্য হতাশা। আমরা ভালো শুরু করেছি, সেখানেই ম্যাচ শেষ করে দেওয়া যেতো, তবে আমরা তা পারিনি। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি লাগবে।