ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিজেদের মাঠে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয়েছে তাদের। ব্যাট-বলে সাইম আইয়ুবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে জিতেছে।
লডারহিলে আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী পাকিস্তান নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে। মাঝে বিপর্যয়ে পড়লেও শেষদিকে আবারও সম্ভাবনা জাগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তারা শেষের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয়। শাই হোপের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি টোয়েন্টি দল থামে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে। এতে টানা দুই সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর আরেকটি টি টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়ে শুরু হলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুটা করেছিলো ধীর গতিতে। ১২ বলে ১৪ রান করেই আউট হয়ে যান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। এরপর সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান গড়েন ৮১ রানের জুটি। সাইম স্বভাবসুলভ মেজাজে খেললেও সুবিধা করতে পারছিলেন না ফখর। ৩৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাইম ৫৭ রানে আউট হওয়ার পরপরই ফখর জামান ফেরেন ২৪ বলে ২৮ রানে। অল্প সময়ের ব্যবধানে হাসান নওয়াজ (২৪) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) ফিরলে পাকিস্তানের জন্য বড় স্কোর গড়াও কঠিন হয়ে ওঠে।
মাত্র ১১ ওভারে দলীয় একশ করা পাকিস্তান হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের পুঁজি দাঁড়ায় ১৭৮ রানে। ফাহিম আশরাফ ১৫ ও সালমান আগা ১১ রান করেছেন। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে ৩০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসার শামারা জোসেফ।
জয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় টি টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত ওপেনার জোয়েল অ্যান্ড্রু ও জনসন চার্লস পাওয়ারপ্লে ৬ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান জমা দেন। এরপরই দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোয় রান তোলার গতি পড়ে যায়। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৭২ রানে। অ্যান্ড্রু জোয়েল ৩৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রান তুলে বিদায় নেবার ওভারেই আউট হন চার্লস ৩৬ বলে ৩৫ রান করা চার্লস। এর পরের ব্যাটাররা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এক পর্যায়ে ৯২ রানেই তারা ৫ উইকেট হারায়।
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইন আপকে আটকে পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর কাজটা করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বাঁ-হাতি এই স্পিনার দুই ওভারে তিনটি উইকেটের পতন ঘটিয়ে ক্যারিবীয়ান ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের শুরুটা করেন। গোদাকেশ মোটি রানের খাতা না খুলেই এবং অধিনায়ক শাই হোপ (২), রোস্টন চেজ (৫), শেরফান রাদারফোর্ড (১১) ও রোমারিও শেফার্ডরা (১২) দ্রুত আউট হয়ে দলের পরাজয়ের পথ প্রশস্ত করেন। শেষদিকে জেসন হোল্ডার ১২ বলে ৩০ এবং শামারা জোসেফ ১২ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ২০ ওভারে তারা থামে ১৬৪ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে হাফসেঞ্চুরি করা সাইম বল হাতে ২০ রানে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। এ ছাড়া নওয়াজ তিনটি, শাহিন আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম শিকার করেন একটি করে উইকেট।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিজেদের মাঠে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয়েছে তাদের। ব্যাট-বলে সাইম আইয়ুবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে জিতেছে।
লডারহিলে আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী পাকিস্তান নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে। মাঝে বিপর্যয়ে পড়লেও শেষদিকে আবারও সম্ভাবনা জাগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তারা শেষের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয়। শাই হোপের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি টোয়েন্টি দল থামে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে। এতে টানা দুই সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর আরেকটি টি টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়ে শুরু হলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুটা করেছিলো ধীর গতিতে। ১২ বলে ১৪ রান করেই আউট হয়ে যান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। এরপর সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান গড়েন ৮১ রানের জুটি। সাইম স্বভাবসুলভ মেজাজে খেললেও সুবিধা করতে পারছিলেন না ফখর। ৩৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাইম ৫৭ রানে আউট হওয়ার পরপরই ফখর জামান ফেরেন ২৪ বলে ২৮ রানে। অল্প সময়ের ব্যবধানে হাসান নওয়াজ (২৪) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) ফিরলে পাকিস্তানের জন্য বড় স্কোর গড়াও কঠিন হয়ে ওঠে।
মাত্র ১১ ওভারে দলীয় একশ করা পাকিস্তান হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের পুঁজি দাঁড়ায় ১৭৮ রানে। ফাহিম আশরাফ ১৫ ও সালমান আগা ১১ রান করেছেন। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে ৩০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসার শামারা জোসেফ।
জয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় টি টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত ওপেনার জোয়েল অ্যান্ড্রু ও জনসন চার্লস পাওয়ারপ্লে ৬ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান জমা দেন। এরপরই দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোয় রান তোলার গতি পড়ে যায়। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৭২ রানে। অ্যান্ড্রু জোয়েল ৩৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রান তুলে বিদায় নেবার ওভারেই আউট হন চার্লস ৩৬ বলে ৩৫ রান করা চার্লস। এর পরের ব্যাটাররা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এক পর্যায়ে ৯২ রানেই তারা ৫ উইকেট হারায়।
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইন আপকে আটকে পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর কাজটা করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বাঁ-হাতি এই স্পিনার দুই ওভারে তিনটি উইকেটের পতন ঘটিয়ে ক্যারিবীয়ান ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের শুরুটা করেন। গোদাকেশ মোটি রানের খাতা না খুলেই এবং অধিনায়ক শাই হোপ (২), রোস্টন চেজ (৫), শেরফান রাদারফোর্ড (১১) ও রোমারিও শেফার্ডরা (১২) দ্রুত আউট হয়ে দলের পরাজয়ের পথ প্রশস্ত করেন। শেষদিকে জেসন হোল্ডার ১২ বলে ৩০ এবং শামারা জোসেফ ১২ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ২০ ওভারে তারা থামে ১৬৪ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে হাফসেঞ্চুরি করা সাইম বল হাতে ২০ রানে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। এ ছাড়া নওয়াজ তিনটি, শাহিন আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম শিকার করেন একটি করে উইকেট।