জেসন হোল্ডারের জয়োল্লাস
হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ৯ ম্যাচ পর জয়ে ফেরার পথটা সহজ ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজদের জয় নিশ্চিত হয় একেবারে শেষ বলে। তখন ক্যারিবীয়ানদের ১ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান, বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেই সমীকরণ মেলান জেসন হোল্ডার। ওই বাউন্ডারিতে লো স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানের ১৩৩ রানের পুঁজি ২ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বিব্রতকর সময় আরও দীর্ঘায়িত হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে। রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ম্যাচে লডারহিলে হারলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত সালমান আলি আগাদের। তবে শেষ বলের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল হোল্ডার-শাই হোপরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটাই ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলতেই তারা ৩ উইকেট হারায়। আগের ম্যাচের নায়ক ও হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সাইম আইয়ুব দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন মাত্র ৭ রান করে। অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিরেছেন শাহিবজাদা ফারহান (৩) ও মোহাম্মদ হারিস (৪)। কিছুটা সময় ধীরে-সুস্থে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেও ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ফখর জামান। তিনি ১৯ বলে করেন ২০ রান।
ম্যাচে পাকিস্তানের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ৬০ রানের জুটিটি গড়েন সালমান আগা ও হাসান নওয়াজ মিলে। ২৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের অধিনায়ক ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন। এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটার। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন হোল্ডার। এছাড়া গোদাকেশ মোটি শিকার করেন ২ উইকেট।
জয়ের জন্য ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ৭ রানে আউট হয়েছেন উইন্ডিজ ওপেনার অলিক আথানাজে। টি-টোয়েন্টির বিপরীত মেজাজে ব্যাটিং করে এরপর ক্রমাগত আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় রান একশ’ হওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেট হারায়। শেষ ১৯ বলে তাদের ৩৬ রান প্রয়োজন ছিল। হোল্ডার-রোমারিও শেফার্ড মিলে এই সমীকরণ মিলিয়ে নেন। ২০ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গোদাকেশ মোটি। এ ছাড়া হোল্ডার ১০ বলে ১৬ ও শেফার্ড ১১ বলে ১৫ রান করেন। এর আগে অধিনায়ক শাই হোপ ৩০ বলে করেন ২১ রান।
ক্যারিবীয়ানদের এই জয় একেবারে শেষ বলে আসার আগে ছিল বেশ নাটকীয়তা। এই এক বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪ রান, শাহিন আফ্রিদি ওয়াইড দিয়ে সেটিকে তিনে নামিয়ে আনেন। এরপর তার বলটি সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন হোল্ডার। মোহাম্মদ নওয়াজ তিনটি এবং সাইম আইয়ুব দুটো উইকেটের পতন ঘটান।
জেসন হোল্ডারের জয়োল্লাস
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ৯ ম্যাচ পর জয়ে ফেরার পথটা সহজ ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজদের জয় নিশ্চিত হয় একেবারে শেষ বলে। তখন ক্যারিবীয়ানদের ১ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান, বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেই সমীকরণ মেলান জেসন হোল্ডার। ওই বাউন্ডারিতে লো স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানের ১৩৩ রানের পুঁজি ২ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বিব্রতকর সময় আরও দীর্ঘায়িত হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে। রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ম্যাচে লডারহিলে হারলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত সালমান আলি আগাদের। তবে শেষ বলের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল হোল্ডার-শাই হোপরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটাই ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলতেই তারা ৩ উইকেট হারায়। আগের ম্যাচের নায়ক ও হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সাইম আইয়ুব দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন মাত্র ৭ রান করে। অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিরেছেন শাহিবজাদা ফারহান (৩) ও মোহাম্মদ হারিস (৪)। কিছুটা সময় ধীরে-সুস্থে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেও ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ফখর জামান। তিনি ১৯ বলে করেন ২০ রান।
ম্যাচে পাকিস্তানের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ৬০ রানের জুটিটি গড়েন সালমান আগা ও হাসান নওয়াজ মিলে। ২৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের অধিনায়ক ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন। এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটার। ক্যারিবীয়ানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন হোল্ডার। এছাড়া গোদাকেশ মোটি শিকার করেন ২ উইকেট।
জয়ের জন্য ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ৭ রানে আউট হয়েছেন উইন্ডিজ ওপেনার অলিক আথানাজে। টি-টোয়েন্টির বিপরীত মেজাজে ব্যাটিং করে এরপর ক্রমাগত আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় রান একশ’ হওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেট হারায়। শেষ ১৯ বলে তাদের ৩৬ রান প্রয়োজন ছিল। হোল্ডার-রোমারিও শেফার্ড মিলে এই সমীকরণ মিলিয়ে নেন। ২০ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গোদাকেশ মোটি। এ ছাড়া হোল্ডার ১০ বলে ১৬ ও শেফার্ড ১১ বলে ১৫ রান করেন। এর আগে অধিনায়ক শাই হোপ ৩০ বলে করেন ২১ রান।
ক্যারিবীয়ানদের এই জয় একেবারে শেষ বলে আসার আগে ছিল বেশ নাটকীয়তা। এই এক বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪ রান, শাহিন আফ্রিদি ওয়াইড দিয়ে সেটিকে তিনে নামিয়ে আনেন। এরপর তার বলটি সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন হোল্ডার। মোহাম্মদ নওয়াজ তিনটি এবং সাইম আইয়ুব দুটো উইকেটের পতন ঘটান।