অস্ট্রেলিয়ার টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) লীগ পর্বের শেষ দিনে সেমিফাইনালে ওঠার কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সামনে। জয়ের পাশাপাশি ভালো রান রেটেরও দরকার ছিল। কিন্তু কোনো সমীকরণই মেলাতে পারেনি। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমি। তাতে ১১ দলের টুর্নামেন্ট নবম স্থান নিয়ে শেষ করেছে তারা। ৬ ম্যাচের দুটিতে জিতলেও হেরেছে চারটি।
ডারউইনে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৪ উইকেট ১৭৫ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন জিসান আলম। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন ৩৭ বলে। তবে সেখানেই শেষ তার ইনিংস।
তিন বলের মধ্যে সাইফ (১৯ বলে ১৫) ও জিসানকে (৩৮ বলে ৫০) বিদায় করেন পেসার হ্যানো জ্যাকবস। দুজনই আউট হন উড়িয়ে মারার চেষ্টায়।
সাইফের মতো এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া নুরুল হাসান সোহানও পারেননি ভালো কিছু করতে (৮ বলে ৬)।
দলের রানের গতি কমে আসে অনেকটাই। তারপরও বাংলাদেশ ১৭৫ পর্যন্ত যেতে পারে আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি চৌধুরির সৌজন্যে। পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ ৪০ ছোঁয়া ইনিংস এটি। এর মধ্যে দুটি ছিল ধীরগতির, দুটিতে তিনি দাবি মিটিয়েছেন দলের।
১৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। আগের দুই ম্যাচে ১৩ বলে ২২ ও ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস তিনি খেলেছিলেন।
রান তাড়ায় নেমে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভি। উদ্বোধনী জুটিতে হার্ভি ও জেক উইন্টার তোলেন ১২৩ রান। ২৪ বলে ফিফটি পান হার্ভি। উইন্টার ছিলেন ধীরস্থির। ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। উইন্টার ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। তারপর দ্রুত সময়ে হ্যারি নিয়েলসেন (৩) ও টম ও’কনেল (৬) বিদায় নেন। তারপরও অবশ্য সমস্যা হয়নি দলটির। হ্যারি ম্যানেন্টিকে সঙ্গে নিয়ে ১৮.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেন হার্ভি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন হার্ভি। তাতে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার। দলের জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১ রান, তার শতরান ছুঁতে লাগে তখন ২। বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে দলকে জেতালেন এ ওপেনার। ম্যাচসেরাও তিনি। ম্যানেন্টি ১৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে দুটি উইকেট নেন সাইফ হাসান। ৩২ রানে একটি নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
ছয় ম্যাচে দুটি জয় আর চার পরাজয় নিয়ে আসর শেষ করলো নুরুল হাসান সোহানের দল। গত বছর এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ দল নিয়েও ১১ দলের মধ্যে অবস্থান নবম। আরও বিব্রতকর ব্যাপার, চার পরাজয়ের তিনটিই অ্যাকাডেমি দলের বিপক্ষে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ১৭৫/৪ (জিসান ৫০, নাঈম ১৫, সাইফ ১৫, আফিফ ৪৯*, সোহান ৬, ইয়াসির ২৫*; জ্যাকবস ৩/৩৩)। অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমি ১৮.১ ওভারে ১৭৯/৪ (হার্ভি ১০২*, উইন্টার ৩৫, ম্যানেন্টি ২৫*; সাইফ ২/২৮, মৃত্যুঞ্জয় ১/৩২)। ম্যাচ সেরা: ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) লীগ পর্বের শেষ দিনে সেমিফাইনালে ওঠার কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সামনে। জয়ের পাশাপাশি ভালো রান রেটেরও দরকার ছিল। কিন্তু কোনো সমীকরণই মেলাতে পারেনি। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমি। তাতে ১১ দলের টুর্নামেন্ট নবম স্থান নিয়ে শেষ করেছে তারা। ৬ ম্যাচের দুটিতে জিতলেও হেরেছে চারটি।
ডারউইনে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৪ উইকেট ১৭৫ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন জিসান আলম। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন ৩৭ বলে। তবে সেখানেই শেষ তার ইনিংস।
তিন বলের মধ্যে সাইফ (১৯ বলে ১৫) ও জিসানকে (৩৮ বলে ৫০) বিদায় করেন পেসার হ্যানো জ্যাকবস। দুজনই আউট হন উড়িয়ে মারার চেষ্টায়।
সাইফের মতো এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া নুরুল হাসান সোহানও পারেননি ভালো কিছু করতে (৮ বলে ৬)।
দলের রানের গতি কমে আসে অনেকটাই। তারপরও বাংলাদেশ ১৭৫ পর্যন্ত যেতে পারে আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি চৌধুরির সৌজন্যে। পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ ৪০ ছোঁয়া ইনিংস এটি। এর মধ্যে দুটি ছিল ধীরগতির, দুটিতে তিনি দাবি মিটিয়েছেন দলের।
১৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। আগের দুই ম্যাচে ১৩ বলে ২২ ও ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস তিনি খেলেছিলেন।
রান তাড়ায় নেমে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভি। উদ্বোধনী জুটিতে হার্ভি ও জেক উইন্টার তোলেন ১২৩ রান। ২৪ বলে ফিফটি পান হার্ভি। উইন্টার ছিলেন ধীরস্থির। ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। উইন্টার ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। তারপর দ্রুত সময়ে হ্যারি নিয়েলসেন (৩) ও টম ও’কনেল (৬) বিদায় নেন। তারপরও অবশ্য সমস্যা হয়নি দলটির। হ্যারি ম্যানেন্টিকে সঙ্গে নিয়ে ১৮.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেন হার্ভি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন হার্ভি। তাতে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার। দলের জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১ রান, তার শতরান ছুঁতে লাগে তখন ২। বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে দলকে জেতালেন এ ওপেনার। ম্যাচসেরাও তিনি। ম্যানেন্টি ১৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে দুটি উইকেট নেন সাইফ হাসান। ৩২ রানে একটি নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
ছয় ম্যাচে দুটি জয় আর চার পরাজয় নিয়ে আসর শেষ করলো নুরুল হাসান সোহানের দল। গত বছর এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ দল নিয়েও ১১ দলের মধ্যে অবস্থান নবম। আরও বিব্রতকর ব্যাপার, চার পরাজয়ের তিনটিই অ্যাকাডেমি দলের বিপক্ষে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ ১৭৫/৪ (জিসান ৫০, নাঈম ১৫, সাইফ ১৫, আফিফ ৪৯*, সোহান ৬, ইয়াসির ২৫*; জ্যাকবস ৩/৩৩)। অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমি ১৮.১ ওভারে ১৭৯/৪ (হার্ভি ১০২*, উইন্টার ৩৫, ম্যানেন্টি ২৫*; সাইফ ২/২৮, মৃত্যুঞ্জয় ১/৩২)। ম্যাচ সেরা: ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।