হেড, মার্শ ও গ্রিনের সেঞ্চুরির পর কনোলির ৫ উইকেট
কনোলির উইকেট উদযাপন
কুপার কনোলির স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৬ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে (২-১) লাভ করেছে সফরকারী প্রোটিয়া। গতকাল শনিবার ম্যাকাইয়ে ২ উইকেটে ৪৩১ রানের পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা।
এ সংস্করণে রানের হিসাবে নিজেদের সবচেয়ে বড় হার পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া পেলো তাদের দ্বিতীয় বড় জয়। এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেন্সে ২৪৩ রানে। একই আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক কয়েকজন। ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ বলে ১৪২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড। তার সঙ্গে আড়াইশ’ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ১০৬ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০০ রান করেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তিন নম্বরে নেমে ৪৭ বলের সেঞ্চুরিতে গ্রিন ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন ৮ ছক্কা ও ৬ চারে। প্রতিপক্ষকে অল্পে গুটিয়ে দিতে ৬ ওভারে স্রেফ ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার কনোলি। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এখন কনোলির। এ সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচসহ ঘরের মাঠে আগের চার ওয়ানডের সবটিতে দুইশ’র নিচে অলআউট হওয়া অস্ট্রেলিয়া এ দিন ছিল ভিন্নরূপে।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হেড ও মার্শের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২০৫ বলে ২৫০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
মার্শ চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের ওভারেই বিদায় নেন ক্যাচ দিয়ে। অলরাউন্ডার গ্রিন প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৭ বলে।
একই ম্যাচে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পঞ্চম নজির এটি। আগের চারটির তিনটিতে করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা, একটিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। এ সংস্করণে অস্ট্রেলিয়া পেলো তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০০৬ সালে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ৪৩৪ টপকে জিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটির পুনরাবৃত্তি দূরে থাক, এবার দাঁড়াতেই পারলো না প্রোটিয়ারা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই। পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন জোর্জি ও ব্রেভিস। এ জুটি ভাঙার পর আবার নিয়মিত উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
চতুর্দশ ওভারে প্রথম বল হাতে পেয়ে ডি জর্জিকে (৩০ বলে ৩৩) ফিরিয়ে শিকার ধরা শুরু করেন কনোলি।
ছয় ওভারের টানা স্পেলে পরে একে একে ব্রেভিস (২৮ বলে ৪৯), ভিয়ান মুল্ডার, কর্বিন বশ ও মহারাজকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। মাফাকাকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৪৩১/২ (হেড ১৪২, মার্শ ১০০, গ্রিন ১১৮, কেয়ারি ৫০*; মহারাজ ১/৫৭, মুথুসামি ১/৭৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ (বাভুমা ১৯, ডি জোর্জি ৩৩, ব্রেভিস ৪৯; বার্টলেট ২/৪৫, অ্যাবট ২/২৭, জ্যাম্পা ১/৩১, কনোলি ৬-০-২২-৫)। ম্যাচসেরা: ট্রাভিস হেড; ম্যাচসেরা: কেশভ মহারাজ।
হেড, মার্শ ও গ্রিনের সেঞ্চুরির পর কনোলির ৫ উইকেট
কনোলির উইকেট উদযাপন
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
কুপার কনোলির স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৬ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে (২-১) লাভ করেছে সফরকারী প্রোটিয়া। গতকাল শনিবার ম্যাকাইয়ে ২ উইকেটে ৪৩১ রানের পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা।
এ সংস্করণে রানের হিসাবে নিজেদের সবচেয়ে বড় হার পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া পেলো তাদের দ্বিতীয় বড় জয়। এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেন্সে ২৪৩ রানে। একই আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক কয়েকজন। ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ বলে ১৪২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড। তার সঙ্গে আড়াইশ’ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ১০৬ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০০ রান করেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তিন নম্বরে নেমে ৪৭ বলের সেঞ্চুরিতে গ্রিন ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন ৮ ছক্কা ও ৬ চারে। প্রতিপক্ষকে অল্পে গুটিয়ে দিতে ৬ ওভারে স্রেফ ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার কনোলি। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এখন কনোলির। এ সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচসহ ঘরের মাঠে আগের চার ওয়ানডের সবটিতে দুইশ’র নিচে অলআউট হওয়া অস্ট্রেলিয়া এ দিন ছিল ভিন্নরূপে।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হেড ও মার্শের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২০৫ বলে ২৫০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
মার্শ চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের ওভারেই বিদায় নেন ক্যাচ দিয়ে। অলরাউন্ডার গ্রিন প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৭ বলে।
একই ম্যাচে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পঞ্চম নজির এটি। আগের চারটির তিনটিতে করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা, একটিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। এ সংস্করণে অস্ট্রেলিয়া পেলো তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০০৬ সালে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ৪৩৪ টপকে জিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটির পুনরাবৃত্তি দূরে থাক, এবার দাঁড়াতেই পারলো না প্রোটিয়ারা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় পাওয়ার প্লের মধ্যেই। পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন জোর্জি ও ব্রেভিস। এ জুটি ভাঙার পর আবার নিয়মিত উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
চতুর্দশ ওভারে প্রথম বল হাতে পেয়ে ডি জর্জিকে (৩০ বলে ৩৩) ফিরিয়ে শিকার ধরা শুরু করেন কনোলি।
ছয় ওভারের টানা স্পেলে পরে একে একে ব্রেভিস (২৮ বলে ৪৯), ভিয়ান মুল্ডার, কর্বিন বশ ও মহারাজকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। মাফাকাকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৪৩১/২ (হেড ১৪২, মার্শ ১০০, গ্রিন ১১৮, কেয়ারি ৫০*; মহারাজ ১/৫৭, মুথুসামি ১/৭৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ (বাভুমা ১৯, ডি জোর্জি ৩৩, ব্রেভিস ৪৯; বার্টলেট ২/৪৫, অ্যাবট ২/২৭, জ্যাম্পা ১/৩১, কনোলি ৬-০-২২-৫)। ম্যাচসেরা: ট্রাভিস হেড; ম্যাচসেরা: কেশভ মহারাজ।