নারায়ণগঞ্জের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিবি সভাপতি
নারায়ণগঞ্জের ‘শহীদ রিয়া গোপ’ (ফতুল্লা) স্টেডিয়ামের করুণ দশা দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ফতুল্লা স্টেডিয়ামে করুণ অবস্থা দেখে আমার কান্না পাচ্ছিল। এখানে আমাদের শাহরিয়ার নাফিজ অট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিল। সেই মাঠের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্রিকেট খেলার বড় যে উপাদান যেটা হচ্ছে ফ্যাসিলিটি। সে ফ্যাসেলিটির যে করুণ অবস্থা দেখে আসলাম ফতুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে! আমার মনে হয়, এখানে অনেক অনেক কিছু করার আছে।’
রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কোয়াব ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আইডিয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফ্যাসেলিটি, মাঠ, কোচ উন্নয়ন ও হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার করা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান টপ-২০তে অর্ধ-সেঞ্চুরি করেছে। জিসানের অর্ধ-সেঞ্চুরি আর জিসান যেখানে প্র্যাকটিস করে তা মিলাতে পারছিলাম না। বিশ্ব পর্যায়ে অর্ধ-সেঞ্চুরি আর এখানে ফ্যাসালিটি কী! এর মধ্য দিয়েই জিসানের মতো খেলোয়াররা উঠে আসে। এখানে ৩টি উইকেট আছে, আমরা অন্তত ২০টি উইকেট বানানো। ১২ মাস খেলার জন্য মাঠ উপযোগী করবো। খেলোয়াড়দের ফ্যাসালিটি বৃদ্ধি ও জেলা পর্যায়ে অন্তত লেভেল-৩ এর কোচ রাখাবো। এক থেকে দেড় বছরের মাধ্যে নারায়ণগঞ্জে এতটাই স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করবো যেন নারায়ণগঞ্জকে ঢাকায় যেতে না হয়।’
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় শহর, এখানে নাকি ক্রিকেটার তৈরি করে না; ক্রিকেটের ইতিহাস তৈরি হয়। চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জে একটি হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার করার। একটা ইনডোর স্টেডিয়াম ও আউটডোর ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করতে পারি তাহলে অনায়েসে হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার ব্যবস্থা করা যাবে।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটি আইডিওলজিক্যাল জায়গা। আমি যখন ফুটবল খেলি তখন বড় বড় ফুটবলাররা এখান থেকে আসতো। ক্রিকেটের ইতিহাস বেশ বড়। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন এখানকার খেলোয়াড়দের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন লীগ অনুষ্ঠিত হতো।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্লাব থেকে খেলোয়াড় ওঠে এসে ঢাকায় গিয়ে খেলতো। এখনও নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটের প্রতি যে আগ্রহ দেখলাম, তাতে আমি আনন্দিত।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, সিসিডিএমের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, কোয়াব জেলার সভাপতি জাকারিয়া ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাবিত আল হাসান, নূর জামাল হাসান, গোলাম গাউস প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিবি সভাপতি
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের ‘শহীদ রিয়া গোপ’ (ফতুল্লা) স্টেডিয়ামের করুণ দশা দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ফতুল্লা স্টেডিয়ামে করুণ অবস্থা দেখে আমার কান্না পাচ্ছিল। এখানে আমাদের শাহরিয়ার নাফিজ অট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিল। সেই মাঠের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্রিকেট খেলার বড় যে উপাদান যেটা হচ্ছে ফ্যাসিলিটি। সে ফ্যাসেলিটির যে করুণ অবস্থা দেখে আসলাম ফতুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে! আমার মনে হয়, এখানে অনেক অনেক কিছু করার আছে।’
রোববার,(২৪ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কোয়াব ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আইডিয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফ্যাসেলিটি, মাঠ, কোচ উন্নয়ন ও হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার করা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান টপ-২০তে অর্ধ-সেঞ্চুরি করেছে। জিসানের অর্ধ-সেঞ্চুরি আর জিসান যেখানে প্র্যাকটিস করে তা মিলাতে পারছিলাম না। বিশ্ব পর্যায়ে অর্ধ-সেঞ্চুরি আর এখানে ফ্যাসালিটি কী! এর মধ্য দিয়েই জিসানের মতো খেলোয়াররা উঠে আসে। এখানে ৩টি উইকেট আছে, আমরা অন্তত ২০টি উইকেট বানানো। ১২ মাস খেলার জন্য মাঠ উপযোগী করবো। খেলোয়াড়দের ফ্যাসালিটি বৃদ্ধি ও জেলা পর্যায়ে অন্তত লেভেল-৩ এর কোচ রাখাবো। এক থেকে দেড় বছরের মাধ্যে নারায়ণগঞ্জে এতটাই স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করবো যেন নারায়ণগঞ্জকে ঢাকায় যেতে না হয়।’
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় শহর, এখানে নাকি ক্রিকেটার তৈরি করে না; ক্রিকেটের ইতিহাস তৈরি হয়। চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জে একটি হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার করার। একটা ইনডোর স্টেডিয়াম ও আউটডোর ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করতে পারি তাহলে অনায়েসে হাই পার্ফারর্মিং সেন্টার ব্যবস্থা করা যাবে।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটি আইডিওলজিক্যাল জায়গা। আমি যখন ফুটবল খেলি তখন বড় বড় ফুটবলাররা এখান থেকে আসতো। ক্রিকেটের ইতিহাস বেশ বড়। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন এখানকার খেলোয়াড়দের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন লীগ অনুষ্ঠিত হতো।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্লাব থেকে খেলোয়াড় ওঠে এসে ঢাকায় গিয়ে খেলতো। এখনও নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটের প্রতি যে আগ্রহ দেখলাম, তাতে আমি আনন্দিত।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, সিসিডিএমের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, কোয়াব জেলার সভাপতি জাকারিয়া ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাবিত আল হাসান, নূর জামাল হাসান, গোলাম গাউস প্রমুখ।