সামার অ্যাথলেটিক্স
পদক জয়ের পর শারিফা ও তারেক
১০০ মিটারে সতীর্থ সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে .০২ সেকেন্ডে দ্রুততম মানবীর খেতাব হারালেন শিরিন। এবার মুকুট হারালেন ২০০ মিটার স্প্রিন্টেও। সেনাবাহিনীর শারিফা খাতুনও সামান্য ব্যবধানে হারালেন দেশের অ্যাথলেটিক্সের হাল আমলের এ রানীকে। শারিফা যেখানে সময় নিয়েছেন ২৫.২৪ সেকেন্ড। সেখানে শিরিন সময় নেন ২৫.২৭ সেকেন্ড। অন্যদিকে দৌড়ের সময় ট্র্যাকে পড়ে গেলেন দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। ফলে এ ইভেন্টে নতুন তারকা হলেন সেনাবাহিনীর তারেক রহমান। স্বর্ণ জিততে তিনি সময় নেন ২২.০৪ সেকেন্ড।
আগে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টেই খেলতেন শারিফা খাতুন। তবে ২০১৮ সাল থেকে ২০০ মিটারেও খেলছেন খুলনার এ কৃতি সন্তান। কিন্তু কখনই স্বর্ণ জেতা হয়নি তার। এবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। হাসিমাখা মুখে বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। ২০০ মিটারে প্রথমবার স্বর্ণপদক জিতেছি।’ ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতা এ স্প্রিন্টারের কথা, ‘আগেও ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে শিরিন আপুর সঙ্গে আমার ক্লোজ হার ছিল। কখনও দ্বিতীয় আবার কখনও তৃতীয় হতাম। এবার সেই দূরত্ব ঘুচাতে পেরেছি। তবে এ ইভেন্টে স্বর্ণ জেতার কথা কল্পনাও করতে পারিনি।’ ইনজুরির কারণে এবার ৪০০ মিটার ইভেন্টে খেলতে পারেননি শারিফা। সেই খেদ তিনি মেটালেন দেশসেরা স্প্রিন্টার শিরিনকে হারিয়ে। ২০১৯ সালে নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক চারশ’ ও চার গুনিতক একশ’ মিটার রিলেতে খেলেছেন শারিফা। তবে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পঞ্চম হয়েছিলেন বলে জানান শারিফা। জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাফে দেশের জন্য পদক আনতে চান সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলেট। ১০০ মিটারে শিরিনকে হারিয়ে দ্রুততম মানবীর খেতাব জেতা সুমাইয়া ২০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলতে পারেননি। কারণ তিনি ইনজুরিতে।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারে প্রথমবার স্বর্ণপদক জিতে খুব খুশি সেনাবাহিনীর তারেক রহমান। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দু’বার অংশ নিয়েই সোনার মুখ দেখেন তিনি। তারেকের কথা, ‘আমার ক্যারিয়ার খুব বেশি একটা দীর্ঘ নয়। মাত্র দু’বার দুটিটে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছি। এবার পেলাম সেই বহুল কাক্সিক্ষত স্বর্ণ। খুব ভালো লাগছে।’ ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌঁড়াতে নেমে ৪০ মিটার পরেই ট্র্যাকে পড়ে যান দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর। ইমরানুর পড়ে যাওয়াতে স্বর্ণ জিততে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান বলেন, ‘ইমরান ভাই থাকলে হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে স্বর্ণ আমিই জিততাম।’ ২০২০ সালে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে আন্তঃইউনিটে খেলা শুরু করেন তারেক। সেখানে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছে ক’বার। ১০০ মিটারে ভালো করতে না পারলেও ২০০ মিটারে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। জাতীয় সামারে স্বর্ণ জেতার পর এবার এসএ গেমসের চোখ তার, ‘এসএ গেমসে আমি দেশের জন্য পদক জিতে আনতে চাই। দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করতে পারলে এটা সম্ভব।
সামার অ্যাথলেটিক্স
পদক জয়ের পর শারিফা ও তারেক
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
১০০ মিটারে সতীর্থ সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে .০২ সেকেন্ডে দ্রুততম মানবীর খেতাব হারালেন শিরিন। এবার মুকুট হারালেন ২০০ মিটার স্প্রিন্টেও। সেনাবাহিনীর শারিফা খাতুনও সামান্য ব্যবধানে হারালেন দেশের অ্যাথলেটিক্সের হাল আমলের এ রানীকে। শারিফা যেখানে সময় নিয়েছেন ২৫.২৪ সেকেন্ড। সেখানে শিরিন সময় নেন ২৫.২৭ সেকেন্ড। অন্যদিকে দৌড়ের সময় ট্র্যাকে পড়ে গেলেন দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। ফলে এ ইভেন্টে নতুন তারকা হলেন সেনাবাহিনীর তারেক রহমান। স্বর্ণ জিততে তিনি সময় নেন ২২.০৪ সেকেন্ড।
আগে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টেই খেলতেন শারিফা খাতুন। তবে ২০১৮ সাল থেকে ২০০ মিটারেও খেলছেন খুলনার এ কৃতি সন্তান। কিন্তু কখনই স্বর্ণ জেতা হয়নি তার। এবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। হাসিমাখা মুখে বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। ২০০ মিটারে প্রথমবার স্বর্ণপদক জিতেছি।’ ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতা এ স্প্রিন্টারের কথা, ‘আগেও ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে শিরিন আপুর সঙ্গে আমার ক্লোজ হার ছিল। কখনও দ্বিতীয় আবার কখনও তৃতীয় হতাম। এবার সেই দূরত্ব ঘুচাতে পেরেছি। তবে এ ইভেন্টে স্বর্ণ জেতার কথা কল্পনাও করতে পারিনি।’ ইনজুরির কারণে এবার ৪০০ মিটার ইভেন্টে খেলতে পারেননি শারিফা। সেই খেদ তিনি মেটালেন দেশসেরা স্প্রিন্টার শিরিনকে হারিয়ে। ২০১৯ সালে নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক চারশ’ ও চার গুনিতক একশ’ মিটার রিলেতে খেলেছেন শারিফা। তবে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পঞ্চম হয়েছিলেন বলে জানান শারিফা। জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাফে দেশের জন্য পদক আনতে চান সেনাবাহিনীর এ অ্যাথলেট। ১০০ মিটারে শিরিনকে হারিয়ে দ্রুততম মানবীর খেতাব জেতা সুমাইয়া ২০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলতে পারেননি। কারণ তিনি ইনজুরিতে।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারে প্রথমবার স্বর্ণপদক জিতে খুব খুশি সেনাবাহিনীর তারেক রহমান। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দু’বার অংশ নিয়েই সোনার মুখ দেখেন তিনি। তারেকের কথা, ‘আমার ক্যারিয়ার খুব বেশি একটা দীর্ঘ নয়। মাত্র দু’বার দুটিটে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছি। এবার পেলাম সেই বহুল কাক্সিক্ষত স্বর্ণ। খুব ভালো লাগছে।’ ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌঁড়াতে নেমে ৪০ মিটার পরেই ট্র্যাকে পড়ে যান দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর। ইমরানুর পড়ে যাওয়াতে স্বর্ণ জিততে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান বলেন, ‘ইমরান ভাই থাকলে হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে স্বর্ণ আমিই জিততাম।’ ২০২০ সালে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে আন্তঃইউনিটে খেলা শুরু করেন তারেক। সেখানে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছে ক’বার। ১০০ মিটারে ভালো করতে না পারলেও ২০০ মিটারে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। জাতীয় সামারে স্বর্ণ জেতার পর এবার এসএ গেমসের চোখ তার, ‘এসএ গেমসে আমি দেশের জন্য পদক জিতে আনতে চাই। দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করতে পারলে এটা সম্ভব।