সাফ অ-১৭ নারী ফুটবল
সুরভী প্রীতির হ্যাটট্রিক উদযাপন
সুরভী আকন্দ প্রীতির হ্যাটট্রিকে সাফ অ-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের মেয়েরা। বুধবার,(২৭ আগস্ট ২০২৫) থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অর্পিতারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। লাল-সবুজদের হয়ে অন্য গোলটি করেন থুইনু মারমা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ডাবল রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে হচ্ছে। গত ২৪ আগস্ট প্রথম রাউন্ডে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ।
ম্যাচের শুরু থেকে দু’দলই গোলের প্রত্যাশায় আক্রমণ প্রতিআক্রমণ করে খেলতে থাকে। তবে গোলের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।
৩৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে নেপাল, গোলকিপারের চোখ ফাঁকি দেন থুইনু মারমা। তার গোলে এগিয়ে যায় মাহবুবুর রহমানের দল (১-০)। প্রথমার্ধের যোগ করা মিনিটে মামনি চাকমার বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুরভী আকন্দ (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে উল্টো গোল হজম করে মেয়েরা। রক্ষণে ছয়জন খেলোয়াড় থাকার পরও কেউ গোল আটকাতে পারেননি। নেপালের এক ফুটবলারের শট বাংলাদেশের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে দিক বদলায়। ফাঁকা পেয়ে ফিরতি শটে জাল কাঁপান নেপালের অধিনায়ক ভূমিকা (১-২)।
বিরতির পর গোল বাড়ানোর চেষ্টায় আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। ৭০ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষের গোলমুখে সুযোগ নষ্ট, লক্ষ্যে শট না রাখা, এমনকি বারবার বলের দখল হারিয়ে হতাশই হতে হয়েছে। ৬৯ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি পূর্ণিমা মারমা। ৭১ মিনিটে আর ভুল হয়নি। মামনি চাকমার কর্নার থেকে আলতো টোকায় স্কোরলাইন ৩-১ করেন সুরভী। বৃষ্টি ভেজা মাঠে ৮৬ মিনিটে পূর্র্ণিমা মারমার আড়াআড়ি ক্রস অনায়াসে জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন প্রীতি।
নেপালকে হারিয়েও স্বস্তি থাকার কথা নয় বাংলাদেশের। নিজেদের চার ম্যাচের তিনটি জিতে ৯ পয়েন্ট তুলেছে তারা। শিরোপা লড়াইটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে পরের দুটি ম্যাচও জিততে হবে বাংলাদেশকে। চার দেশের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট সমান হলে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, তারপর গোল পার্থক্য।
চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দশবার বল পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বিপরীতে গোল হজম করেছেন চারটি। যে কারণে গোল ব্যবধান +৬। অন্যদিকে তিন ম্যাচ খেলা ভারত এখনও গোল হজম করেনি। তারা গোল করেছে ১৭টি গোল ব্যবধান +১৭। শিরোপা জিততে হলে পরবর্তী ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে অর্র্পিতাদের। ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা শুরুর পর ভারতের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
আগামী ২৯ ও ৩১ আগস্ট এ একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের বাকি দুটি ম্যাচে যথাক্রমে ভুটান ও ভারতের মুখোমুখি হবে।
সাফ অ-১৭ নারী ফুটবল
সুরভী প্রীতির হ্যাটট্রিক উদযাপন
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
সুরভী আকন্দ প্রীতির হ্যাটট্রিকে সাফ অ-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের মেয়েরা। বুধবার,(২৭ আগস্ট ২০২৫) থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অর্পিতারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। লাল-সবুজদের হয়ে অন্য গোলটি করেন থুইনু মারমা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ডাবল রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে হচ্ছে। গত ২৪ আগস্ট প্রথম রাউন্ডে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ।
ম্যাচের শুরু থেকে দু’দলই গোলের প্রত্যাশায় আক্রমণ প্রতিআক্রমণ করে খেলতে থাকে। তবে গোলের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।
৩৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে নেপাল, গোলকিপারের চোখ ফাঁকি দেন থুইনু মারমা। তার গোলে এগিয়ে যায় মাহবুবুর রহমানের দল (১-০)। প্রথমার্ধের যোগ করা মিনিটে মামনি চাকমার বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুরভী আকন্দ (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে উল্টো গোল হজম করে মেয়েরা। রক্ষণে ছয়জন খেলোয়াড় থাকার পরও কেউ গোল আটকাতে পারেননি। নেপালের এক ফুটবলারের শট বাংলাদেশের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে দিক বদলায়। ফাঁকা পেয়ে ফিরতি শটে জাল কাঁপান নেপালের অধিনায়ক ভূমিকা (১-২)।
বিরতির পর গোল বাড়ানোর চেষ্টায় আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। ৭০ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষের গোলমুখে সুযোগ নষ্ট, লক্ষ্যে শট না রাখা, এমনকি বারবার বলের দখল হারিয়ে হতাশই হতে হয়েছে। ৬৯ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি পূর্ণিমা মারমা। ৭১ মিনিটে আর ভুল হয়নি। মামনি চাকমার কর্নার থেকে আলতো টোকায় স্কোরলাইন ৩-১ করেন সুরভী। বৃষ্টি ভেজা মাঠে ৮৬ মিনিটে পূর্র্ণিমা মারমার আড়াআড়ি ক্রস অনায়াসে জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন প্রীতি।
নেপালকে হারিয়েও স্বস্তি থাকার কথা নয় বাংলাদেশের। নিজেদের চার ম্যাচের তিনটি জিতে ৯ পয়েন্ট তুলেছে তারা। শিরোপা লড়াইটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে পরের দুটি ম্যাচও জিততে হবে বাংলাদেশকে। চার দেশের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট সমান হলে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, তারপর গোল পার্থক্য।
চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দশবার বল পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বিপরীতে গোল হজম করেছেন চারটি। যে কারণে গোল ব্যবধান +৬। অন্যদিকে তিন ম্যাচ খেলা ভারত এখনও গোল হজম করেনি। তারা গোল করেছে ১৭টি গোল ব্যবধান +১৭। শিরোপা জিততে হলে পরবর্তী ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে অর্র্পিতাদের। ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা শুরুর পর ভারতের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
আগামী ২৯ ও ৩১ আগস্ট এ একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের বাকি দুটি ম্যাচে যথাক্রমে ভুটান ও ভারতের মুখোমুখি হবে।