রায়ান কুক
প্রথম পছন্দের ক্রিকেটারদের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের এ সফরে সেরা একাদশের অন্তত চারজন নেই। তবে আছে বুকভরা সাহস আর হৃদয়জুড়ে তাড়না। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সেই বার্তাই ছিলেন কোচ রায়ান কুক, যিনি ২০১৮-২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন। পরে ডাচদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন। দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পথ ধরে ভারপ্রাপ্ত কোচ থেকে মূল কোচও হয়ে যান।
এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের আগে কোচ কুক বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো দলই নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে পারে। সম্প্রতি তারা (বাংলাদেশ) ভালো খেলছে। তবে অন্যান্য সময় আবার দেখিয়েছে যে, তারা ভুল করতে পারে। ভালো খেলতে পারি, এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশ ভালো ঘরানার কিছু খেলবে এবং অবশ্যই দারুণ কিছু ক্রিকেটার তাদের আছে। ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। আমাদের জন্য এটা হবে ভীষণ চ্যালেঞ্জের।’ ‘তবে জয়ের চেষ্টা না করতে পারলে আমরা এখানে আসতাম না। গত বিশ্বকাপে আমরা ওদেরকে হারিয়েছি। আবার একই গ্রুপে পড়লে (বিশ্বকাপে) আবারও চেষ্টা করবো ওদেরকে হারাতে। আমাদের সামনে যা আছে, সেসবকে আলিঙ্গন করে নিতে হবে আমাদের এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তা পারবো।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি। আমরা দেখিয়েছি যে, আমরা তা পারি। এবারও বিশ্বাস আছে। কিছু ক্রিকেটারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে অবশ্যই। তবে ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে, শুধু এখন নয়, গত তিন বছর ধরেই। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে আমরা ক্রমেই উন্নতির পথে হাঁটছি। অনেকবারই বিশ্বকাপে খেলেছি। এবার টানা চতুর্থবার হচ্ছে (ষষ্ঠবার)। এ দলগুলোর সঙ্গে খেলতে ও তাদের হারাতে যা করা প্রয়োজন, সেসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি আমরা।’
কুক বলেন, ‘যে দলীয় সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে চেয়েছি, সেটির জন্য প্রবল তাড়না জরুরি ছিল আমাদের। সেটি সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই তারা কে কেমন, কোত্থেকে উঠে এসেছে আমাদের দলটা অনেক বৈচিত্র্যময় একটি লক্ষ্যের পেছনে তাদের একতাবদ্ধ করা জরুরি ছিল। দলের ভেতরে এখন সংহতি অবিশ্বাস্য রকমের। দলে জায়গার জন্য লড়াই করে সবাই, দেশের জন্য লড়াই করে। সব দলই এ রকম চায়, কিন্তু পায় কমই। দল সফল হওয়ার পেছনে সেটি বড় কারণ।’
তবে এ চ্যালেঞ্জ জিততেও আত্মবিশ্বাসী কুক। তার দলের বড় শক্তির জায়গা দেখেন তিনি এখানেই। ‘খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনেক পথ বের করতে হয় আমাদের। সেখানে এ ধরনের (সিলেটের মতো) ভেন্যুগুলোতে যখন আমরা আসি, সেটা গত বছর বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে হোক বা ২০২২ বিশ্বকাপে জিলংয়ে (অস্ট্রেলিয়ায়)..সব জায়গায় আমরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি কারণ আমরা যেখান থেকে এসেছি, সেখানেও এরকম নানা রকম কন্ডিশনে খেলতে হয়।’
রায়ান কুক
শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পছন্দের ক্রিকেটারদের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের এ সফরে সেরা একাদশের অন্তত চারজন নেই। তবে আছে বুকভরা সাহস আর হৃদয়জুড়ে তাড়না। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সেই বার্তাই ছিলেন কোচ রায়ান কুক, যিনি ২০১৮-২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন। পরে ডাচদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন। দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পথ ধরে ভারপ্রাপ্ত কোচ থেকে মূল কোচও হয়ে যান।
এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের আগে কোচ কুক বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো দলই নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারাতে পারে। সম্প্রতি তারা (বাংলাদেশ) ভালো খেলছে। তবে অন্যান্য সময় আবার দেখিয়েছে যে, তারা ভুল করতে পারে। ভালো খেলতে পারি, এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশ ভালো ঘরানার কিছু খেলবে এবং অবশ্যই দারুণ কিছু ক্রিকেটার তাদের আছে। ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। আমাদের জন্য এটা হবে ভীষণ চ্যালেঞ্জের।’ ‘তবে জয়ের চেষ্টা না করতে পারলে আমরা এখানে আসতাম না। গত বিশ্বকাপে আমরা ওদেরকে হারিয়েছি। আবার একই গ্রুপে পড়লে (বিশ্বকাপে) আবারও চেষ্টা করবো ওদেরকে হারাতে। আমাদের সামনে যা আছে, সেসবকে আলিঙ্গন করে নিতে হবে আমাদের এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তা পারবো।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি। আমরা দেখিয়েছি যে, আমরা তা পারি। এবারও বিশ্বাস আছে। কিছু ক্রিকেটারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে অবশ্যই। তবে ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে, শুধু এখন নয়, গত তিন বছর ধরেই। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে আমরা ক্রমেই উন্নতির পথে হাঁটছি। অনেকবারই বিশ্বকাপে খেলেছি। এবার টানা চতুর্থবার হচ্ছে (ষষ্ঠবার)। এ দলগুলোর সঙ্গে খেলতে ও তাদের হারাতে যা করা প্রয়োজন, সেসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি আমরা।’
কুক বলেন, ‘যে দলীয় সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে চেয়েছি, সেটির জন্য প্রবল তাড়না জরুরি ছিল আমাদের। সেটি সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই তারা কে কেমন, কোত্থেকে উঠে এসেছে আমাদের দলটা অনেক বৈচিত্র্যময় একটি লক্ষ্যের পেছনে তাদের একতাবদ্ধ করা জরুরি ছিল। দলের ভেতরে এখন সংহতি অবিশ্বাস্য রকমের। দলে জায়গার জন্য লড়াই করে সবাই, দেশের জন্য লড়াই করে। সব দলই এ রকম চায়, কিন্তু পায় কমই। দল সফল হওয়ার পেছনে সেটি বড় কারণ।’
তবে এ চ্যালেঞ্জ জিততেও আত্মবিশ্বাসী কুক। তার দলের বড় শক্তির জায়গা দেখেন তিনি এখানেই। ‘খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনেক পথ বের করতে হয় আমাদের। সেখানে এ ধরনের (সিলেটের মতো) ভেন্যুগুলোতে যখন আমরা আসি, সেটা গত বছর বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে হোক বা ২০২২ বিশ্বকাপে জিলংয়ে (অস্ট্রেলিয়ায়)..সব জায়গায় আমরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি কারণ আমরা যেখান থেকে এসেছি, সেখানেও এরকম নানা রকম কন্ডিশনে খেলতে হয়।’