সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি শনিবার
সিরিজের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে দুই অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও লিটন দাস
জয় দিয়ে শুরুর লক্ষ্য নিয়ে শনিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। একই ভেন্যূতে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ ১ এবং ৩ সেপ্টেম্বর।
আরব আমিরাতের মাটিতে আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নেদারল্যান্ডস সিরিজকে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। শক্তি এবং ক্রিকেট সংস্কৃতির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে পার্থক্যের কারণে সিরিজে স্পষ্টভাবে ফেবারিট বাংলাদেশ।
২০১২ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডসের কাছে কোনো ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে টাইগাররা। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে দুই ম্যাচের সিরিজে একটি ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৫ রানে।
কিন্তু ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
লিটন দাস: ইউরোপীয় দলটির বিপক্ষে রেকর্ড পক্ষে থাকার পরও এই সিরিজকে হালকাভাবে নিতে চান না অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানান, ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টাই আমরা করব।
প্রথম ম্যাচের আগে লিটন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। এখানে কোনো বড় বা ছোট দল নেই।’ এশিয়া কাপকে সামনে রেখে সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছেন লিটন, ‘কিছু খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করার সুযোগ পেলে আমরা আমরা সেটি করব। কিন্তু একই সঙ্গে, আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব।’
গত ১০ দিন ধরে সিলেটে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। আরব আমিরাতের উইকেটের রান-বন্যার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা থেকে সিলেটে অনুশীলন ক্যাম্প স্থানান্তর করেছে বিসিবি।
সিলেটের প্রস্তুতি আরব আমিরাতের উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে জানান লিটন, ‘এশিয়া কাপে আমরা ভিন্ন-ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলব। এশিয়া কাপে খেলবে এমন দলগুলোকে এখানে আমরা পাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কিন্তু আমার মনে হয় কন্ডিশন একই রকম হবে। কারণ, আমরা সবাই জানি আরব আমিরাত ভালো ব্যাটিং উইকেট তৈরি করে। সিলেটও অনেকাংশেই ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট হয়ে থাকে।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জয় প্রত্যাশিত। কিন্তু ম্যাচ হারলেই সমালোচনার মুখে পড়তে হবে টাইগারদের। যে কোনো ধরনের ফলাফলের জন্য প্রস্তুত লিটন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলই ছোট নয়। বাংলাদেশ আগেও বিভিন্ন দলের কাছে হেরেছে। আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
স্কট এডওয়ার্ডস: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল বলে স্বীকার করেছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তারপরও তার দলের সিরিজ জয়ের সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন স্কট। বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সিরিজ জিততে পারি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার আশা করি এবং আমরা যদি ভালো খেলি অবশ্যই আমাদের সাফল্যের সুযোগ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের জন্য এটি দারুণ প্রস্তুতির সুযোগ। তাই, এটি উত্তেজনাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। অনেক দলকে বাংলাদেশ সফরে এসে ধুঁকতে হয়। আমরা জানি, এই সিরিজটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে হবে।’
বাংলাদেশ দল
লিটন কুমার (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও সাইফুদ্দিন।
নেদারল্যান্ডস দল
স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), নোয়াহ ক্রোয়েস, ম্যাক্স ও’দাউদ, বিক্রমজিত সিং, তেজা নিদামানুরু, সিকান্দার জুলফিকার, সেডরিক ডি ল্যাং, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মেকেরেন, শারিজ আহমেদ, বেন ফ্লেচার, ড্যানিয়েল ডোরাম, সেবাস্টিয়ান ব্র্যাট, টিম প্রিঙ্গেল।
সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি শনিবার
সিরিজের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে দুই অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও লিটন দাস
শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫
জয় দিয়ে শুরুর লক্ষ্য নিয়ে শনিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। একই ভেন্যূতে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ ১ এবং ৩ সেপ্টেম্বর।
আরব আমিরাতের মাটিতে আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নেদারল্যান্ডস সিরিজকে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। শক্তি এবং ক্রিকেট সংস্কৃতির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে পার্থক্যের কারণে সিরিজে স্পষ্টভাবে ফেবারিট বাংলাদেশ।
২০১২ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডসের কাছে কোনো ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে টাইগাররা। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে দুই ম্যাচের সিরিজে একটি ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৫ রানে।
কিন্তু ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।
লিটন দাস: ইউরোপীয় দলটির বিপক্ষে রেকর্ড পক্ষে থাকার পরও এই সিরিজকে হালকাভাবে নিতে চান না অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানান, ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টাই আমরা করব।
প্রথম ম্যাচের আগে লিটন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। এখানে কোনো বড় বা ছোট দল নেই।’ এশিয়া কাপকে সামনে রেখে সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছেন লিটন, ‘কিছু খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করার সুযোগ পেলে আমরা আমরা সেটি করব। কিন্তু একই সঙ্গে, আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব।’
গত ১০ দিন ধরে সিলেটে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। আরব আমিরাতের উইকেটের রান-বন্যার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা থেকে সিলেটে অনুশীলন ক্যাম্প স্থানান্তর করেছে বিসিবি।
সিলেটের প্রস্তুতি আরব আমিরাতের উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে জানান লিটন, ‘এশিয়া কাপে আমরা ভিন্ন-ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলব। এশিয়া কাপে খেলবে এমন দলগুলোকে এখানে আমরা পাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কিন্তু আমার মনে হয় কন্ডিশন একই রকম হবে। কারণ, আমরা সবাই জানি আরব আমিরাত ভালো ব্যাটিং উইকেট তৈরি করে। সিলেটও অনেকাংশেই ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট হয়ে থাকে।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জয় প্রত্যাশিত। কিন্তু ম্যাচ হারলেই সমালোচনার মুখে পড়তে হবে টাইগারদের। যে কোনো ধরনের ফলাফলের জন্য প্রস্তুত লিটন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলই ছোট নয়। বাংলাদেশ আগেও বিভিন্ন দলের কাছে হেরেছে। আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
স্কট এডওয়ার্ডস: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল বলে স্বীকার করেছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তারপরও তার দলের সিরিজ জয়ের সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন স্কট। বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সিরিজ জিততে পারি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার আশা করি এবং আমরা যদি ভালো খেলি অবশ্যই আমাদের সাফল্যের সুযোগ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের জন্য এটি দারুণ প্রস্তুতির সুযোগ। তাই, এটি উত্তেজনাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। অনেক দলকে বাংলাদেশ সফরে এসে ধুঁকতে হয়। আমরা জানি, এই সিরিজটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে হবে।’
বাংলাদেশ দল
লিটন কুমার (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও সাইফুদ্দিন।
নেদারল্যান্ডস দল
স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), নোয়াহ ক্রোয়েস, ম্যাক্স ও’দাউদ, বিক্রমজিত সিং, তেজা নিদামানুরু, সিকান্দার জুলফিকার, সেডরিক ডি ল্যাং, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মেকেরেন, শারিজ আহমেদ, বেন ফ্লেচার, ড্যানিয়েল ডোরাম, সেবাস্টিয়ান ব্র্যাট, টিম প্রিঙ্গেল।