বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় টি-২০ সোমবার
প্রথম ম্যাচ জয়ের দুই নায়ক তাসকিন ও লিটন
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার আশা বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে তাসকিন-লিটনের নৈপুণ্যে টাইগাররা ৮ উইকেটে বড় জয় পায়। ডাচদের ১৩৬/৮ রানের জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ বল হাতে রেখে সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩তম আন্তর্জাতিক ফিফটি করে লিটন দলকে সহজ জয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। গতকাল শনিবারের ম্যাচের ৪ উইকেট নিয়ে সেরা পারফর্মার পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, লিটন ধারাবাহিক হলে বড় ইভেন্টে ভালো করা সম্ভব।
ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘শিশির বড় প্রভাব ফেললেও আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে। তাসকিন, ফিজ (মুস্তাফিজুর) এবং সাইফ অসাধারণ বোলিং করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশিরের কারণে রিশাদের কিছুটা সমস্যা হলেও অন্য বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে ১৩৬ রানে আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। এরপর প্রথম ওভার থেকেই পারভেজের মারমুখী শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে আমাদের পক্ষে চলে আসে।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ নিশ্চিত লক্ষ্য হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। সিরিজে টিকে থাকার জন্য একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে নেদারল্যান্ডস।
প্রথম ম্যাচের সেরা তাসকিন বলেন, ‘লিটন অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আসলে লিটনের ভালো খেলাটা বা ফর্মে থাকাটা আমাদের টিমের জন্য অনেক জরুরি। সম্প্রতি ফর্মে আসছে এবং ভালো ব্যাটিং করছে, নেটেও দেখছি। এ ধারাবাহিকতা যদি আমাদের আগাতে থাকে, সামনে বড় ইভেন্টেও ভালো করা সম্ভব।’
এ ম্যাচে অসাধারণ পারফর্ম করেন সাইফ হাসানও। লম্বা সময় পর দলে ফেরা সাইফ দুই ওভারে ১৮ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের কার্যকরি ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাইফকে অলরাউন্ডার হিসেবেই চেয়েছিলেন লিটন। তাসকিনও খুশি তার পারফরম্যান্সে, ‘মাশাআল্লাহ, সাইফের ভালো অবদান ছিল। বোলিংয়ে দুইটা উইকেট নিয়েছে, ব্যাটিংয়েও দারুণ ফিনিশ করছে।’
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হোবার্টের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছিলেন ম্যাচসেরা পুরস্কার। ঠিক একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও আবার নিজের ছন্দে দেখা গেলো তাকে। অসাধারণ লাইন-লেংথে বল করে ডাচ ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন শুরু থেকেই, ছিলেন নিয়ন্ত্রিত ও আগ্রাসী। এবারও হলেন ম্যাচসেরা। পরিশ্রমের ফল পেয়ে দারুণ খুশি তিনি। ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন জানান, ‘সব সময়ই দারুণ লাগে এমন ম্যাচ খেলতে, বিশেষ করে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। চোট কাটিয়ে ওঠার পর ছন্দ খুঁজে পেতে কিছুটা ভুগছিলাম, তবে দিন দিন তা ভালো হচ্ছে। গত কয়েক দিন অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছি, আর পরিশ্রমের ফল একদিন না একদিন মিলবেই। উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল, ছিল শিশিরের প্রভাবও। আমি শুধু মৌলিক বিষয়গুলোই মেনে চলেছি এবং সঙ্গে বৈচিত্র্যগুলো কাজে লাগিয়েছি।’
পেসারদের ইনজুরি ও চাপ সামলানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে থাকে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওয়ার্কলোড কমানোর জন্য এক’দুই ম্যাচ বিরতি দিয়ে পেসারদের খেলানো হয়। তাসকিন এসব চাপ নিয়ে ভাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি তো সব ম্যাচেই খেলতে চাই। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও বাদ যেতে চাই না। কিন্তু আমাদের ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, তারা এসব নিয়ে কাজ করেন। আমার কতটুকু খেলা উচিত সেটা তারাই খেয়াল রাখেন। সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছি।’
ডাচদের বিপক্ষে গতির সঙ্গে ভালো কিছু স্লোয়ার দিয়ে উইকেট নিয়েছেন। তাতে তাসকিনের প্রতিক্রিয়া, ‘এখন অনেক ভালো অনুভব হচ্ছে। ইনজুরি থেকে এসে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে শুরু করছিলাম। ছন্দ পেতে একটু কষ্ট হচ্ছিল, এখন ভালো হচ্ছে। শেষ কিছু সপ্তাহে অনেক কষ্ট করেছি। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। উইকেট পাওয়া, ছন্দ যেটা বললেন। এটাই প্রসেস ফলো করছি।’
নিজের বোলিং নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘পেস বোলার হিসেবে আমি ফাস্ট বল করতে পছন্দ করি। বিষয়টা হলো- পরিস্থিতি বুঝে বল করা। যে পরিস্থিতি যেমন বল করার কথা ছিল, তেমন চেষ্টা করছি। ভালো প্রয়োগ হয়েছে।
ভালোর তো শেষ নেই। টি-টোয়েন্টি খেলা, অনেক সময় অনেক ভালো বলে বাউন্ডারি হয়। ভ্যারিয়েশনগুলো সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারায় হয়তো আজকের এ সাফল্যটা পেয়েছি।’
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় টি-২০ সোমবার
প্রথম ম্যাচ জয়ের দুই নায়ক তাসকিন ও লিটন
রোববার, ৩১ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার আশা বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে তাসকিন-লিটনের নৈপুণ্যে টাইগাররা ৮ উইকেটে বড় জয় পায়। ডাচদের ১৩৬/৮ রানের জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ বল হাতে রেখে সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩তম আন্তর্জাতিক ফিফটি করে লিটন দলকে সহজ জয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। গতকাল শনিবারের ম্যাচের ৪ উইকেট নিয়ে সেরা পারফর্মার পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, লিটন ধারাবাহিক হলে বড় ইভেন্টে ভালো করা সম্ভব।
ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘শিশির বড় প্রভাব ফেললেও আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে। তাসকিন, ফিজ (মুস্তাফিজুর) এবং সাইফ অসাধারণ বোলিং করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশিরের কারণে রিশাদের কিছুটা সমস্যা হলেও অন্য বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে ১৩৬ রানে আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। এরপর প্রথম ওভার থেকেই পারভেজের মারমুখী শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে আমাদের পক্ষে চলে আসে।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ নিশ্চিত লক্ষ্য হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। সিরিজে টিকে থাকার জন্য একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে নেদারল্যান্ডস।
প্রথম ম্যাচের সেরা তাসকিন বলেন, ‘লিটন অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আসলে লিটনের ভালো খেলাটা বা ফর্মে থাকাটা আমাদের টিমের জন্য অনেক জরুরি। সম্প্রতি ফর্মে আসছে এবং ভালো ব্যাটিং করছে, নেটেও দেখছি। এ ধারাবাহিকতা যদি আমাদের আগাতে থাকে, সামনে বড় ইভেন্টেও ভালো করা সম্ভব।’
এ ম্যাচে অসাধারণ পারফর্ম করেন সাইফ হাসানও। লম্বা সময় পর দলে ফেরা সাইফ দুই ওভারে ১৮ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের কার্যকরি ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাইফকে অলরাউন্ডার হিসেবেই চেয়েছিলেন লিটন। তাসকিনও খুশি তার পারফরম্যান্সে, ‘মাশাআল্লাহ, সাইফের ভালো অবদান ছিল। বোলিংয়ে দুইটা উইকেট নিয়েছে, ব্যাটিংয়েও দারুণ ফিনিশ করছে।’
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হোবার্টের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছিলেন ম্যাচসেরা পুরস্কার। ঠিক একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও আবার নিজের ছন্দে দেখা গেলো তাকে। অসাধারণ লাইন-লেংথে বল করে ডাচ ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন শুরু থেকেই, ছিলেন নিয়ন্ত্রিত ও আগ্রাসী। এবারও হলেন ম্যাচসেরা। পরিশ্রমের ফল পেয়ে দারুণ খুশি তিনি। ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন জানান, ‘সব সময়ই দারুণ লাগে এমন ম্যাচ খেলতে, বিশেষ করে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। চোট কাটিয়ে ওঠার পর ছন্দ খুঁজে পেতে কিছুটা ভুগছিলাম, তবে দিন দিন তা ভালো হচ্ছে। গত কয়েক দিন অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছি, আর পরিশ্রমের ফল একদিন না একদিন মিলবেই। উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল, ছিল শিশিরের প্রভাবও। আমি শুধু মৌলিক বিষয়গুলোই মেনে চলেছি এবং সঙ্গে বৈচিত্র্যগুলো কাজে লাগিয়েছি।’
পেসারদের ইনজুরি ও চাপ সামলানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে থাকে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওয়ার্কলোড কমানোর জন্য এক’দুই ম্যাচ বিরতি দিয়ে পেসারদের খেলানো হয়। তাসকিন এসব চাপ নিয়ে ভাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি তো সব ম্যাচেই খেলতে চাই। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও বাদ যেতে চাই না। কিন্তু আমাদের ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, তারা এসব নিয়ে কাজ করেন। আমার কতটুকু খেলা উচিত সেটা তারাই খেয়াল রাখেন। সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছি।’
ডাচদের বিপক্ষে গতির সঙ্গে ভালো কিছু স্লোয়ার দিয়ে উইকেট নিয়েছেন। তাতে তাসকিনের প্রতিক্রিয়া, ‘এখন অনেক ভালো অনুভব হচ্ছে। ইনজুরি থেকে এসে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে শুরু করছিলাম। ছন্দ পেতে একটু কষ্ট হচ্ছিল, এখন ভালো হচ্ছে। শেষ কিছু সপ্তাহে অনেক কষ্ট করেছি। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। উইকেট পাওয়া, ছন্দ যেটা বললেন। এটাই প্রসেস ফলো করছি।’
নিজের বোলিং নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘পেস বোলার হিসেবে আমি ফাস্ট বল করতে পছন্দ করি। বিষয়টা হলো- পরিস্থিতি বুঝে বল করা। যে পরিস্থিতি যেমন বল করার কথা ছিল, তেমন চেষ্টা করছি। ভালো প্রয়োগ হয়েছে।
ভালোর তো শেষ নেই। টি-টোয়েন্টি খেলা, অনেক সময় অনেক ভালো বলে বাউন্ডারি হয়। ভ্যারিয়েশনগুলো সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারায় হয়তো আজকের এ সাফল্যটা পেয়েছি।’