চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
প্যারিস সেন্ট জার্মেইর দ্বিতীয়ার্ধের শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছে। প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ী হওয়ায় ম্যানসিটি ফাইনালে ওঠার পথে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে গেছে। নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ১-০ গোলে হারলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে ফাইনালে খেলবে ম্যানসিটি। পিএসজিকে ফাইনালে খেলতে হলে ফিরতি লেগে জিততে হবে দুই গোলের ব্যবধানে। অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধে দুরন্ত খেলা উপহার দিয়ে পিএসজি এগিয়েছিল ১-০ গোলে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তারা প্রথমার্র্ধে আর বেশী গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায়। দুটি ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ম্যানসিটি। প্রথম গোলের সম্পূর্ণ দায় গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস বাইরে যাবে বলে মনে করে দাড়িয়ে ছিলেন নাভাস। কিন্তু সেটি জালে যাচ্ছে দেখে যখন ঝাপিয়েছিলেন তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ ঘটনা ৬৪ মিনিটের মাথায়। ৭১ মিনিটে রিয়াল মাহরেজের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। এটাও হয়েছে ডিফেন্সের ভুলে। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিকে গোল করেন মাহরেজ। ফ্রি কিক প্রতিহত করার জন্য পিএসজির খেলোয়াড়রা দেয়াল সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু শটের সময়ে লাফিয়ে ওঠায় তাদের মাঝখানে ফাকা সৃষ্টি হয় এবং সেখান দিয়েই বল জালে পাঠান মাহরেজ। ৭৭ মিনিটে গুইয়ে লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিনত হয় পিএসজি। বাকি সময়ে পিএসজিতে চেপে ধরেও আর কোন গোল করতে পারেনি তারা। আর একটি গোল করতে পারলে বলা যেতো যে সিটি ফাইনালে খেলছে। কিন্তু ব্যবধান যেহেতু কম তাই পিএসজির আশা একে বারে শেষ হয়ে যায়নি। বিশেষ করে এ ম্যাচের প্রথমার্ধে পিএসজি যেভাবে খেলেছে ফিরতি লেগে সেভাবে খেলতে পারলে তাদের ফাইনালে খেলা একেবারে অসম্ভব হবে না।
প্রথমার্ধটা ছিল পিএসজিরই। তিন মিনিটের মাথায়ই দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। তার শট সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক এডারসনের হাতে। এর পর পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হন কাইলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ১৪ মিনিটে আর তাদের হতাশ হতে হয়নি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে গোল করেন মার্কিনহোস। ৪০ মিনিট পর্যন্ত দাপট ছিল পিএসজির। এ সময়ে তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ম্যানসিটির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দৃঢ়তায় কাঙ্খিত গোল তারা পায়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল খেয়ে। এক গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা শিথিলতা ছিল। সে সুযোগই কাজে লাগায় সফরকারীরা। এক গোল করার পর ম্যানসিটি হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী এবং দ্বিতীয় গোল তাদের লিড এনে দেয়। এ সময়ে পিএসজির খেলোয়াড়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই মিলে রক্ষণ কাজে ন্যস্ত হলেও সিটির সাথে তারা পেরে উঠছিল না। নাভাস শেষ দিকে দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হওয়ায় ব্যবধান আর বাড়েনি। আগামী সপ্তায় ফিরতি লেগের ফলই নির্ধারণ করবে ফাইনালে কোন দল খেলবে ম্যানসিটি না পিএসজি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
প্যারিস সেন্ট জার্মেইর দ্বিতীয়ার্ধের শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছে। প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ী হওয়ায় ম্যানসিটি ফাইনালে ওঠার পথে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে গেছে। নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ১-০ গোলে হারলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে ফাইনালে খেলবে ম্যানসিটি। পিএসজিকে ফাইনালে খেলতে হলে ফিরতি লেগে জিততে হবে দুই গোলের ব্যবধানে। অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধে দুরন্ত খেলা উপহার দিয়ে পিএসজি এগিয়েছিল ১-০ গোলে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তারা প্রথমার্র্ধে আর বেশী গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায়। দুটি ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ম্যানসিটি। প্রথম গোলের সম্পূর্ণ দায় গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস বাইরে যাবে বলে মনে করে দাড়িয়ে ছিলেন নাভাস। কিন্তু সেটি জালে যাচ্ছে দেখে যখন ঝাপিয়েছিলেন তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ ঘটনা ৬৪ মিনিটের মাথায়। ৭১ মিনিটে রিয়াল মাহরেজের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। এটাও হয়েছে ডিফেন্সের ভুলে। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিকে গোল করেন মাহরেজ। ফ্রি কিক প্রতিহত করার জন্য পিএসজির খেলোয়াড়রা দেয়াল সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু শটের সময়ে লাফিয়ে ওঠায় তাদের মাঝখানে ফাকা সৃষ্টি হয় এবং সেখান দিয়েই বল জালে পাঠান মাহরেজ। ৭৭ মিনিটে গুইয়ে লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিনত হয় পিএসজি। বাকি সময়ে পিএসজিতে চেপে ধরেও আর কোন গোল করতে পারেনি তারা। আর একটি গোল করতে পারলে বলা যেতো যে সিটি ফাইনালে খেলছে। কিন্তু ব্যবধান যেহেতু কম তাই পিএসজির আশা একে বারে শেষ হয়ে যায়নি। বিশেষ করে এ ম্যাচের প্রথমার্ধে পিএসজি যেভাবে খেলেছে ফিরতি লেগে সেভাবে খেলতে পারলে তাদের ফাইনালে খেলা একেবারে অসম্ভব হবে না।
প্রথমার্ধটা ছিল পিএসজিরই। তিন মিনিটের মাথায়ই দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। তার শট সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক এডারসনের হাতে। এর পর পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হন কাইলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ১৪ মিনিটে আর তাদের হতাশ হতে হয়নি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে গোল করেন মার্কিনহোস। ৪০ মিনিট পর্যন্ত দাপট ছিল পিএসজির। এ সময়ে তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ম্যানসিটির রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দৃঢ়তায় কাঙ্খিত গোল তারা পায়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল খেয়ে। এক গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা শিথিলতা ছিল। সে সুযোগই কাজে লাগায় সফরকারীরা। এক গোল করার পর ম্যানসিটি হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী এবং দ্বিতীয় গোল তাদের লিড এনে দেয়। এ সময়ে পিএসজির খেলোয়াড়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই মিলে রক্ষণ কাজে ন্যস্ত হলেও সিটির সাথে তারা পেরে উঠছিল না। নাভাস শেষ দিকে দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হওয়ায় ব্যবধান আর বাড়েনি। আগামী সপ্তায় ফিরতি লেগের ফলই নির্ধারণ করবে ফাইনালে কোন দল খেলবে ম্যানসিটি না পিএসজি।