alt

খেলা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল

নিষ্প্রভ রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি

স্পোর্টস ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেয় চেলসি। প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে চেলসি জিতেছে ৩-১ গোলে। ফাইনালে তারা খেলবে ইংল্যান্ডেরই আরেক দল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ম্যানসিটি দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। ২৯ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হবে ফাইনাল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে এ ম্যাচে ফেবারিট ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু মাঠে দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। রিয়াল মাদ্রিদ পরিকল্পনাহীন এবং ক্লান্তিকর ফুটবল খেলে হার মানতে বাধ্য হয়। বল দখলের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে তারা পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। চেলসির খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই তারা দ্রুত গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে প্রায় সময়ই তারা রিয়ালের রক্ষণভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মিডফিল্ডের সাথে আক্রমণভাগের যেমন সমন্বয় ছিল না, তেমনি সমন্বয় ছিল না রক্ষণভাগের সাথেও। যে কারণে চেলসি রিয়ালের সীমানায় অনেক ফাকা জায়গা পেয়েছে। ম্যান টু ম্যান গার্ড দিতেও ব্যর্থ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তারুন্যদীপ্ত চেলসি উপহার দিয়েছে দুরন্ত ফুটবল। তাদের মধ্যে জয়ী হওয়ার স্পৃহা ছিল। যা দেখা যায়নি রিয়ালের খেলোয়াড়দের মধ্যে। তারা খেলেছে ধীর গতির ফুটবল। অপর দিকে চেলসি খেলেছে পাওয়ার ফুটবল। প্রথমার্ধে টিমো ওয়ার্নার এবং দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাসন মাউন্ট করে চেলসির পক্ষে গোল। উভয় ক্ষেত্রেই গোলদাতারা বলতে গেলে চ্যালেঞ্জহীন অবস্থানে থেকেই শট নিতে সক্ষম হয়েছে। মূলত অনেক দিন পর খেলতে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড এবং সার্জিও র‌্যামোস। এ দুজনকে খেলাতে গিয়ে কোচ জিদান তার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন। ফলে এতদিন যারা ভাল খেলে রিয়ালকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন তাদের কাজে লাগাতে পারেননি কোচ। বেনজামার সাথে ভিনিসিয়ুসের বোঝা পড়া দারুন ছিল আগের ম্যাচগুলোতে। কিন্তু এ ম্যাচে কোচ ভিনিসিয়ুসকে খেলান মিডফিল্ডে। নতুন পজিশনে ভাল করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। আবার হ্যাজার্ড ব্যর্থ হওয়ায় বেনজামা তেমন সহায়তা পাননি আক্রমণভাগে। মূলত কোচের ভুল একাদশ নির্বাচনই রিয়ালকে পেছনে ফেলে দেয়। চেলসি সহজেই প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলো খুজে পেয়ে যায় এবং সেগুলো কাজে লাগায়। খেলার দশ মিনিটের সময়ে টনি ক্রুস প্রথম শট নিতে সক্ষম হন প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে। সেটি সহজেই ধরে নেন চেলসির গোলরক্ষক এডওয়ার্ড মেন্ডি। পাল্টা আক্রমণে চেলসির অ্যান্টনিও রুডিগারের শট বাচিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। এর কিছুক্ষণ পরই রিয়ালের জালে বল পাঠান ওয়ার্নার। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। বেনজামার দারুন একটি প্রচেষ্টা ২৬ মিনিটে রুখে দেন মেন্ডি। ২৮ মিনিটের মাথায়সপাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় চেলসি। ওয়ার্নারের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে কাই হাভার্টজকে পাস দেন এনগোলো কন্টে। আক্রমন রুখতে সামনে এগিয়ে যাওয়া কোর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে নেওয়া হাভার্টজের চিপ ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলেও গোলমুখে ছুটে গিয়ে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ওয়ার্নার।

ইনজুরি কাটিয়ে অধিনায়ক রামোস ফিরলেও এই গোলে রিয়ালের রক্ষণের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। হাভার্টজের শট নেওয়া থেকে গোল পর্যন্ত কেউই প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি, ওয়ার্নারের হেডের সময় তো তার ধারে কাছে ছিল না কেউ!

দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশী ছন্নছাড়া হয়ে যায় রিয়াল। তখন খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছিল তারা আগেই হার মেনে নিয়েছে। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল গোলরক্ষক কর্তোয়া। তার দৃঢ়তায় আরও বড় লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্পেনিশ জায়ান্টরা। রিয়ালের রক্ষণভাগ বলতে কিছুই ছিল না। আগের ম্যাচগুলোতে মিলিটাও দারুন খেলেছেন। বলতে গেলে রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। কিন্তু এদিন রামোসের উপস্থিতিতে তিনিও হয়ে যান নিষ্প্রভ। ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি তারই প্রমান। নাচো বলতে গেলে দাড়িয়েই গিয়েছিলেন শেষ দিকে। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে কন্টে দেন পলিসিচকে। তিনি পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ঢুকে ছোট একটি মাইনাস করেন। সেটিতে পা লাগিয়ে চেলসিকে জয়ের উৎসবে মাতান ম্যাসন মাউন্ট। পলিসিচের পাস রুখতে ব্যর্থ হন রামোস এবং মিলিটাও। ২০১২ সালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল চেলসি। কোচের সঠিক সিদ্ধান্ত যে একটি দলের পারফরমেন্সে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে তার প্রমাণ চেলসি। টমাস টুখেল দায়িত্ব নেয়ার আগে কোচের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তার অধীনে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল চেলসির। জানুয়ারি মাসে টুখেল দায়িত্ব নিয়েই যেন জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে দিয়েছেন চেলসিকে। এ ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে তা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।

ছবি

টানা ৫ ম্যাচে জোড়া গোলে অপ্রতিরোধ্য মেসি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

উইম্বলডনের ফাইনালে ৬-০, ৬-০ জয়ে ইতিহাস গড়লেন শিয়াওতেক, অ্যানিসিমোভাকে দিলেন কেবল প্রশংসা

ছবি

রবিবার বাংলাদেশের সামনে হিমালয় কন্যারা

ছবি

দলের প্রশংসায় পিএসজি কোচ

ছবি

‘সাকিবের জন্য দরজা খোলা এখানে সেকেন্ড চয়েস নেই’

ছবি

পিএসজিকে থামাতে চায় চেলসি

ছবি

প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি

ছবি

চেলসিকে নিয়ে আশাবাদী কোচ

ছবি

জো রুটের বিশ্বরেকর্ড

সাঁতারে মিশরীয় কোচ সাইদ

ছবি

সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

সাগরিকার হ্যাটট্রিকে শ্রীলঙ্কার জালে বাংলাদেশের ৯ গোল

ছবি

লর্ডসে সেঞ্চুরির যত কীর্তি রুটের

ছবি

ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল সেমিতে পুঠিয়া

কিংস অ্যারেনার মাঠ নিয়ে উষ্মা জানালেন দুই কোচই

ছবি

উইকেট বেশ ভালো ছিল, কিন্তু আমরা পেরে উঠিনি: লিটন

আবাহনীর ফুটবল কোচ থাকছেন মারুফুলই

ছবি

ছেলেদের মতো সুবিধাদি পাই না আমরা: ঋতুপর্ণা

ছবি

হেরে যাবো এমন ভয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় না: মুশতাক

ছবি

স্বপ্না-মুনকি-সাগরিকার ঝলক, ৯-১ গোলে শ্রীলঙ্কাকে উড়াল মেয়েরা

ছবি

জাপানের বিপক্ষে হেরে তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ হকি দল

ছবি

রেয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে ফাইনালে পিএসজি

ছবি

এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয়ায় বাংলাদেশকে অন্য চোখে দেখছে সবাই

ছবি

রেয়ালে মদ্রিচ-যুগ শেষ

ছবি

তরুণদের জাত চেনানোর দারুণ সুযোগ: বাটলার

ছবি

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে পেছালো বাংলাদেশ

ছবি

ঢাকার এসিসি বৈঠকে থাকতেও আপত্তি ভারতের!

বিপিএলে নতুন আরেকটি ভেন্যু যুক্ত হচ্ছে

ছবি

প্রথম টি-২০তে টস হেরে ব্যাটিংয়ে

রাজশাহী ডিসি গোল্ডকাপ টাইব্রেকারে বাগমারা জয়ী

ছবি

ত্রিদেশীয় সিরিজের বাংলাদেশ দল

শুক্রবার পর্তুগালে লড়াইয়ে নামবেন প্রবাসী বক্সার জিনাত

ছবি

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে পিএসজি, রেয়ালের আরেকটি শূন্য মৌসুম

টিভিতে আজকের খেলা

tab

খেলা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল

নিষ্প্রভ রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি

স্পোর্টস ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১

উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেয় চেলসি। প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে চেলসি জিতেছে ৩-১ গোলে। ফাইনালে তারা খেলবে ইংল্যান্ডেরই আরেক দল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ম্যানসিটি দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। ২৯ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হবে ফাইনাল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে এ ম্যাচে ফেবারিট ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু মাঠে দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। রিয়াল মাদ্রিদ পরিকল্পনাহীন এবং ক্লান্তিকর ফুটবল খেলে হার মানতে বাধ্য হয়। বল দখলের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে তারা পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। চেলসির খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই তারা দ্রুত গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে প্রায় সময়ই তারা রিয়ালের রক্ষণভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মিডফিল্ডের সাথে আক্রমণভাগের যেমন সমন্বয় ছিল না, তেমনি সমন্বয় ছিল না রক্ষণভাগের সাথেও। যে কারণে চেলসি রিয়ালের সীমানায় অনেক ফাকা জায়গা পেয়েছে। ম্যান টু ম্যান গার্ড দিতেও ব্যর্থ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তারুন্যদীপ্ত চেলসি উপহার দিয়েছে দুরন্ত ফুটবল। তাদের মধ্যে জয়ী হওয়ার স্পৃহা ছিল। যা দেখা যায়নি রিয়ালের খেলোয়াড়দের মধ্যে। তারা খেলেছে ধীর গতির ফুটবল। অপর দিকে চেলসি খেলেছে পাওয়ার ফুটবল। প্রথমার্ধে টিমো ওয়ার্নার এবং দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাসন মাউন্ট করে চেলসির পক্ষে গোল। উভয় ক্ষেত্রেই গোলদাতারা বলতে গেলে চ্যালেঞ্জহীন অবস্থানে থেকেই শট নিতে সক্ষম হয়েছে। মূলত অনেক দিন পর খেলতে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড এবং সার্জিও র‌্যামোস। এ দুজনকে খেলাতে গিয়ে কোচ জিদান তার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন। ফলে এতদিন যারা ভাল খেলে রিয়ালকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন তাদের কাজে লাগাতে পারেননি কোচ। বেনজামার সাথে ভিনিসিয়ুসের বোঝা পড়া দারুন ছিল আগের ম্যাচগুলোতে। কিন্তু এ ম্যাচে কোচ ভিনিসিয়ুসকে খেলান মিডফিল্ডে। নতুন পজিশনে ভাল করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। আবার হ্যাজার্ড ব্যর্থ হওয়ায় বেনজামা তেমন সহায়তা পাননি আক্রমণভাগে। মূলত কোচের ভুল একাদশ নির্বাচনই রিয়ালকে পেছনে ফেলে দেয়। চেলসি সহজেই প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলো খুজে পেয়ে যায় এবং সেগুলো কাজে লাগায়। খেলার দশ মিনিটের সময়ে টনি ক্রুস প্রথম শট নিতে সক্ষম হন প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে। সেটি সহজেই ধরে নেন চেলসির গোলরক্ষক এডওয়ার্ড মেন্ডি। পাল্টা আক্রমণে চেলসির অ্যান্টনিও রুডিগারের শট বাচিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। এর কিছুক্ষণ পরই রিয়ালের জালে বল পাঠান ওয়ার্নার। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। বেনজামার দারুন একটি প্রচেষ্টা ২৬ মিনিটে রুখে দেন মেন্ডি। ২৮ মিনিটের মাথায়সপাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় চেলসি। ওয়ার্নারের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে কাই হাভার্টজকে পাস দেন এনগোলো কন্টে। আক্রমন রুখতে সামনে এগিয়ে যাওয়া কোর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে নেওয়া হাভার্টজের চিপ ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলেও গোলমুখে ছুটে গিয়ে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ওয়ার্নার।

ইনজুরি কাটিয়ে অধিনায়ক রামোস ফিরলেও এই গোলে রিয়ালের রক্ষণের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। হাভার্টজের শট নেওয়া থেকে গোল পর্যন্ত কেউই প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি, ওয়ার্নারের হেডের সময় তো তার ধারে কাছে ছিল না কেউ!

দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশী ছন্নছাড়া হয়ে যায় রিয়াল। তখন খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়েছিল তারা আগেই হার মেনে নিয়েছে। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল গোলরক্ষক কর্তোয়া। তার দৃঢ়তায় আরও বড় লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্পেনিশ জায়ান্টরা। রিয়ালের রক্ষণভাগ বলতে কিছুই ছিল না। আগের ম্যাচগুলোতে মিলিটাও দারুন খেলেছেন। বলতে গেলে রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। কিন্তু এদিন রামোসের উপস্থিতিতে তিনিও হয়ে যান নিষ্প্রভ। ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি তারই প্রমান। নাচো বলতে গেলে দাড়িয়েই গিয়েছিলেন শেষ দিকে। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে কন্টে দেন পলিসিচকে। তিনি পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ঢুকে ছোট একটি মাইনাস করেন। সেটিতে পা লাগিয়ে চেলসিকে জয়ের উৎসবে মাতান ম্যাসন মাউন্ট। পলিসিচের পাস রুখতে ব্যর্থ হন রামোস এবং মিলিটাও। ২০১২ সালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল চেলসি। কোচের সঠিক সিদ্ধান্ত যে একটি দলের পারফরমেন্সে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে তার প্রমাণ চেলসি। টমাস টুখেল দায়িত্ব নেয়ার আগে কোচের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তার অধীনে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল চেলসির। জানুয়ারি মাসে টুখেল দায়িত্ব নিয়েই যেন জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে দিয়েছেন চেলসিকে। এ ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে তা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।

back to top