কোপা আমেরিকা
এবারের কোপা আমেরিকা আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছরের শিরোপার খড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য আরেকটি সুযোগ দিচ্ছে। তবে শেষ সময়ে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলে যাওয়ায় তাদের কাজটি আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়েছে। কোপা আমেরিকা এবার আর্জেন্টিনায় হওয়ার কথা ছিল। তখন মনে করা হয়েছিল নিজেদের মাঠে হয়তো শিরোপার খড়া কাটিয়ে উঠতে পারবেন মেসি। কিন্তু করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় শেষ সময়ে তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে ব্রাজিলে। এর ফলে ব্রাজিল পর পর দুইবার কোপা আমেরিকার আয়োজক হচ্ছে। আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। সেটা ছিল তাদের ১৪তম শিরোপা। মাঝ মাঠে দিয়েগো সিমেওনি দারুন খেলেছিলেন। আক্রমণভাগে খেলেছিলেন গ্যাব্রিয়ের বাতিস্তুতা। এর পর তারা আরও চারবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা রয়ে গেছে অধরাই। লিওনেল মেসির মতো বিশ^সেরা খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও তাদের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা সমর্থকদের জন্য খুবই হতাশার। মনে করা হয় মেসির সামনে এবারই কোপা জেতার শেষ সুযোগ। তিনি গত সপ্তায় বলেন, ‘কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়া সব সময়ই আমাদের স্বপ্ন। প্রতিযোগিতা যেটাই হোক না কেন, জাতীয় নিয়ে মাঠে নামলে আমরা শিরোপাই জিততে চাই। সত্যি কথা বলো এবার নবীন প্রবিন সবাই শিরোপার জন্য মরিয়া।’ আগামী ২৪ জুন মেসির বয়স হবে ৩৪ বছর। তাই মনে করা হচ্ছে সাদা-নীল জার্সি গায়ে শিরোপা জেতার এটা তার জন্য বড় একটি সুযোগ। নিজ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে সব ট্রফি জিতলেও দেশের হয়ে তিনি কোন ট্রফিই জিততে পারেননি। প্রতিযোগিতা ব্রাজিলে স্থানান্তরিত হওয়ায় মনে করা হচ্ছে তাদের জন্য শিরোপা জেতা আরও কঠিন হয়ে গেছে। তবে অনেকেই মনে করছেন এটা তাদেরকে ভাল খেলতে উৎসাহ যোগাবে। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলে। কিন্তু তখন রেফারিং নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। মেসি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে কনমেবল ইচছাকৃতভাবে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর জন্য চেষ্টা করছে। এবার আর্জেন্টিনার সামনে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। তাদের গ্রুপে রয়েছে চিলি, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে। তবে সুবিধা হলো এ ৫ দলের চারটিই খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, ফুটবল এখন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। খুবই কঠিন। আমরা জানি একটি মাত্র ভুল কিংবা রেফারির একটি ভুল সিদ্ধান্ত একটি দলকে ছিটকে দিতে পারে। আমরা সব ব্যাপারেই অবগত আছি। ভিএআর এর মাধ্যম সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে এমনটাই আমাদের কামনা। ভাল খেলতে না পারলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের কাছে হেরেও বিদায় নিতে হতে পারে। ম্যাচে কি হয়েছে তা কোন বিষয় নয়। সবাই দেখে জিতেছে কে? আমরা এবার শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।’
স্ক্যালোনির দলটি এবার খুবই শক্তিশালী। দলে আছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, হুয়ান ফোয়থ, ইন্টার মিলানের লতারো মার্টিনেজ এর মতো খেলোয়াড়। দলে আছেন তরুন খেলোয়াড়রাও। তারা বিশ^কাপের বাছাই পর্বে শেষ ছয় ম্যাচে আছে অপরাজিত। তবে এবার সবার নজর থাকবে মেসির দিকেই। তিনি কি পারবেন দলকে শিরোপা এনে দিতে? নাকি আরও একবা ব্যর্থতাই সঙ্গী হবে তার।
কোপা আমেরিকা
শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
এবারের কোপা আমেরিকা আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছরের শিরোপার খড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য আরেকটি সুযোগ দিচ্ছে। তবে শেষ সময়ে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলে যাওয়ায় তাদের কাজটি আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়েছে। কোপা আমেরিকা এবার আর্জেন্টিনায় হওয়ার কথা ছিল। তখন মনে করা হয়েছিল নিজেদের মাঠে হয়তো শিরোপার খড়া কাটিয়ে উঠতে পারবেন মেসি। কিন্তু করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় শেষ সময়ে তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে ব্রাজিলে। এর ফলে ব্রাজিল পর পর দুইবার কোপা আমেরিকার আয়োজক হচ্ছে। আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। সেটা ছিল তাদের ১৪তম শিরোপা। মাঝ মাঠে দিয়েগো সিমেওনি দারুন খেলেছিলেন। আক্রমণভাগে খেলেছিলেন গ্যাব্রিয়ের বাতিস্তুতা। এর পর তারা আরও চারবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা রয়ে গেছে অধরাই। লিওনেল মেসির মতো বিশ^সেরা খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও তাদের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা সমর্থকদের জন্য খুবই হতাশার। মনে করা হয় মেসির সামনে এবারই কোপা জেতার শেষ সুযোগ। তিনি গত সপ্তায় বলেন, ‘কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়া সব সময়ই আমাদের স্বপ্ন। প্রতিযোগিতা যেটাই হোক না কেন, জাতীয় নিয়ে মাঠে নামলে আমরা শিরোপাই জিততে চাই। সত্যি কথা বলো এবার নবীন প্রবিন সবাই শিরোপার জন্য মরিয়া।’ আগামী ২৪ জুন মেসির বয়স হবে ৩৪ বছর। তাই মনে করা হচ্ছে সাদা-নীল জার্সি গায়ে শিরোপা জেতার এটা তার জন্য বড় একটি সুযোগ। নিজ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে সব ট্রফি জিতলেও দেশের হয়ে তিনি কোন ট্রফিই জিততে পারেননি। প্রতিযোগিতা ব্রাজিলে স্থানান্তরিত হওয়ায় মনে করা হচ্ছে তাদের জন্য শিরোপা জেতা আরও কঠিন হয়ে গেছে। তবে অনেকেই মনে করছেন এটা তাদেরকে ভাল খেলতে উৎসাহ যোগাবে। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলে। কিন্তু তখন রেফারিং নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। মেসি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে কনমেবল ইচছাকৃতভাবে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর জন্য চেষ্টা করছে। এবার আর্জেন্টিনার সামনে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। তাদের গ্রুপে রয়েছে চিলি, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে। তবে সুবিধা হলো এ ৫ দলের চারটিই খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, ফুটবল এখন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। খুবই কঠিন। আমরা জানি একটি মাত্র ভুল কিংবা রেফারির একটি ভুল সিদ্ধান্ত একটি দলকে ছিটকে দিতে পারে। আমরা সব ব্যাপারেই অবগত আছি। ভিএআর এর মাধ্যম সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে এমনটাই আমাদের কামনা। ভাল খেলতে না পারলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের কাছে হেরেও বিদায় নিতে হতে পারে। ম্যাচে কি হয়েছে তা কোন বিষয় নয়। সবাই দেখে জিতেছে কে? আমরা এবার শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।’
স্ক্যালোনির দলটি এবার খুবই শক্তিশালী। দলে আছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, হুয়ান ফোয়থ, ইন্টার মিলানের লতারো মার্টিনেজ এর মতো খেলোয়াড়। দলে আছেন তরুন খেলোয়াড়রাও। তারা বিশ^কাপের বাছাই পর্বে শেষ ছয় ম্যাচে আছে অপরাজিত। তবে এবার সবার নজর থাকবে মেসির দিকেই। তিনি কি পারবেন দলকে শিরোপা এনে দিতে? নাকি আরও একবা ব্যর্থতাই সঙ্গী হবে তার।