দলের দুই সেরা তারকা বেন স্টোকস ও জোফরা আর্চারকে ছাড়াই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে খেলবে ইংল্যান্ড। অন্তত কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে বিশ্বকাপে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। দলের বাইরে থাকলেও এটি মানতে নারাজ আর্চার। তার মতে, বর্তমান ফর্মের কারণে ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষের অবশ্যই সমীহ করতে হবে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করে দেবে বলেই মনে করছেন এই পেসার।
মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে ৩০ জুলাই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিতে যান স্টোকস। এতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি টি-২০ বিশ্বকাপেও খেলছেন না এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন তিনি। যে কারণে আগামী অ্যাশেজেও অনিশ্চিত স্টোকস।
এদিকে গত মার্চে ডান-হাতের কনুইয়ের ইনজুরিতে পড়েন আর্চার। মে-জুলাইয়ে মাঠে ফিরলেও, পুরনো ইনজুরিটা তাকে মাঠে থিতু হতে দেয়নি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টোকস-আর্চারের অনুপস্থিতিতে ভুগবে ইংল্যান্ড। কিন্তু এটি মানতে নারাজ আর্চার। তার মতে, ইংল্যান্ডের এই দলটিই প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করবে।
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্চার বলেন, সামনের দিনগুলোতে প্রতিপক্ষ আমাদের মুখোমুখি হওয়ার সময়েই ভয়ে থাকবে। আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের আগের রাতে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা ঘুমাতে পারবে না।
গত জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস ও তাকে ছাড়াও ইংল্যান্ড সাদা বলের ক্রিকেটে জয়ী হতে পারে বলে জানান আর্চার।
তিনি বলেন, লক্ষ্য করুন, আমরা লম্বা সময় ধরে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছি। এ কারণেই আমরা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। আমাদের দলে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। হ্যাঁ, আমি আর স্টোকস খেলতে পারছি না। কিন্তু দল যেভাবে পারফর্ম করছে তাতে আমি চিন্তিত নই।
উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে দু’বার ফাইনাল খেলে ইংল্যান্ড। ২০১০ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শিরোপা জিতলেও ২০১৬ সালের ফাইনালে হার মানে ইংলিশরা। শিরোপার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কালোর্স ব্র্যাথওয়েটের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সেরার মুকুট পরতে পারেনি ইংলিশরা। তবে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে তারা।
২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩১টি ম্যাচ খেলে ২২টি ম্যাচ জিতে বর্তমানে টি-২০ র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ইংল্যান্ড। র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকেই আগামী ২৩ অক্টোবর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ইংলিশরা। সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের অন্য তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেইলি মেইল।
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
দলের দুই সেরা তারকা বেন স্টোকস ও জোফরা আর্চারকে ছাড়াই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে খেলবে ইংল্যান্ড। অন্তত কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে বিশ্বকাপে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। দলের বাইরে থাকলেও এটি মানতে নারাজ আর্চার। তার মতে, বর্তমান ফর্মের কারণে ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষের অবশ্যই সমীহ করতে হবে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করে দেবে বলেই মনে করছেন এই পেসার।
মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে ৩০ জুলাই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিতে যান স্টোকস। এতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি টি-২০ বিশ্বকাপেও খেলছেন না এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন তিনি। যে কারণে আগামী অ্যাশেজেও অনিশ্চিত স্টোকস।
এদিকে গত মার্চে ডান-হাতের কনুইয়ের ইনজুরিতে পড়েন আর্চার। মে-জুলাইয়ে মাঠে ফিরলেও, পুরনো ইনজুরিটা তাকে মাঠে থিতু হতে দেয়নি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টোকস-আর্চারের অনুপস্থিতিতে ভুগবে ইংল্যান্ড। কিন্তু এটি মানতে নারাজ আর্চার। তার মতে, ইংল্যান্ডের এই দলটিই প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করবে।
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্চার বলেন, সামনের দিনগুলোতে প্রতিপক্ষ আমাদের মুখোমুখি হওয়ার সময়েই ভয়ে থাকবে। আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের আগের রাতে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা ঘুমাতে পারবে না।
গত জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস ও তাকে ছাড়াও ইংল্যান্ড সাদা বলের ক্রিকেটে জয়ী হতে পারে বলে জানান আর্চার।
তিনি বলেন, লক্ষ্য করুন, আমরা লম্বা সময় ধরে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছি। এ কারণেই আমরা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। আমাদের দলে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। হ্যাঁ, আমি আর স্টোকস খেলতে পারছি না। কিন্তু দল যেভাবে পারফর্ম করছে তাতে আমি চিন্তিত নই।
উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে দু’বার ফাইনাল খেলে ইংল্যান্ড। ২০১০ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শিরোপা জিতলেও ২০১৬ সালের ফাইনালে হার মানে ইংলিশরা। শিরোপার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কালোর্স ব্র্যাথওয়েটের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সেরার মুকুট পরতে পারেনি ইংলিশরা। তবে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে তারা।
২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩১টি ম্যাচ খেলে ২২টি ম্যাচ জিতে বর্তমানে টি-২০ র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ইংল্যান্ড। র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকেই আগামী ২৩ অক্টোবর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ইংলিশরা। সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের অন্য তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেইলি মেইল।