রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেও কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে থাকার জন্য চুক্তি করেছেন। মনে করা হচ্ছে আর্থিক সুবিধা ছাড়াও এমবাপ্পেকে অনেক ধরনের সুবিধা দিয়েই পিএসজি তাকে রাখতে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রস্তাবটি হলো কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদানকে নিয়োগ দেয়া।
এমবাপ্পে আগেও জানিয়েছেন জিনেদিন জিদান তার আদর্শ। ছোট বেলায় জিদানকে আদর্শ মেনেই ফুটবলার হয়েছেন এমবাপ্পে। মূলত জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন বলেই সেখানে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। একই কারণে তিনি ছিলেন রিয়ালের সমর্থক। জিদান এখন রিয়ালের কোচ নেই তাই সেখানে যেতে ততটা আগ্রহী ছিলেন না এমবাপ্পে।
পিএসজি এমবাপ্পেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার পছন্দের ব্যক্তিকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। সরিয়ে দেয়া হবে স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দোকে। কারণ লিওনার্দো ডিরেক্টর থাকলে জিদান পিএসজির কোচের দায়িত্ব নিতে রাজী হবেন না। এছাড়া পরিবর্তন আনা হবে খেলোয়াড় তালিকাতেও। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে সম্ভবত বিক্রি করে দেবে পিএসজি। আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতি হলেও তাকে আর রাখতে চাচ্ছে না ফরাসী ক্লাবটি। কারণ নেইমারের কিছু আচরণ ক্লাব সমর্থকদের পছন্দ নয়। তাছাড়া নেইমার নিজেও খেলার মাঠে ততটা সিরিয়াস না। মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ পিএসজি।
লিওনেল মেসির সাথে চুক্তির মেয়াদ আছে মাত্র এক বছর। তাই তার ব্যাপারে পিএসজি এখনই নতুন করে সিদ্ধান্ত নিবে না। মেসি যদি ২০২২-২৩ মৌসুমে ভাল করতে পারে তাহলে তার সাথে চুক্তি নবায়নের চিন্তা করা হবে। তবে আসন্ন ট্রান্সফার মার্কেটে যে পিএসজি তোলপাড় করে দেবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
জিনেদিন জিদান শেষ পর্যন্ত পিএসজির কোচ হবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ জিদান অনেক বেশী স্বাধীনচেতা একজন কোচ। পিএসজিতে সেই স্বাধীনতা তিনি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে জিদান পিএসজির কোচ হলে রিয়ালে তিনি হয়ে যাবেন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি। তাছাড়া জিদানের লক্ষ্য ফ্রান্স দলের কোচ হওয়া। যদিও বর্তমান সময়ে ফ্রান্স এবং কাতার সরকার এক হয়েছে এমবাপ্পের ব্যাপারে। তাই হয়তো জাতীয় দলের পরিবর্তে জিদানকে পিএসজির কোচ হতে চাপ দেয়া হতে পারে।
আপাতত এমবাপ্পেকে দলে রেখে দিয়ে পিএসজি জয়ী হলেও ভবিষ্যতে তারা কতটা লাভবান হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেই বলা যায় ইউরোপের ৫ম স্থানীয় লিগে খেলে যতটা সহজে শিরোপা জেতা যায় ইউরোপিয়ান ফুটবলে সাফল্য পাওয়াটা ততটা সহজ নয়। তার প্রমাণ পিএসজি এবং ম্যনসিটি।
রোববার, ২২ মে ২০২২
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেও কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে থাকার জন্য চুক্তি করেছেন। মনে করা হচ্ছে আর্থিক সুবিধা ছাড়াও এমবাপ্পেকে অনেক ধরনের সুবিধা দিয়েই পিএসজি তাকে রাখতে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রস্তাবটি হলো কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদানকে নিয়োগ দেয়া।
এমবাপ্পে আগেও জানিয়েছেন জিনেদিন জিদান তার আদর্শ। ছোট বেলায় জিদানকে আদর্শ মেনেই ফুটবলার হয়েছেন এমবাপ্পে। মূলত জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন বলেই সেখানে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। একই কারণে তিনি ছিলেন রিয়ালের সমর্থক। জিদান এখন রিয়ালের কোচ নেই তাই সেখানে যেতে ততটা আগ্রহী ছিলেন না এমবাপ্পে।
পিএসজি এমবাপ্পেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার পছন্দের ব্যক্তিকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। সরিয়ে দেয়া হবে স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দোকে। কারণ লিওনার্দো ডিরেক্টর থাকলে জিদান পিএসজির কোচের দায়িত্ব নিতে রাজী হবেন না। এছাড়া পরিবর্তন আনা হবে খেলোয়াড় তালিকাতেও। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে সম্ভবত বিক্রি করে দেবে পিএসজি। আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতি হলেও তাকে আর রাখতে চাচ্ছে না ফরাসী ক্লাবটি। কারণ নেইমারের কিছু আচরণ ক্লাব সমর্থকদের পছন্দ নয়। তাছাড়া নেইমার নিজেও খেলার মাঠে ততটা সিরিয়াস না। মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ পিএসজি।
লিওনেল মেসির সাথে চুক্তির মেয়াদ আছে মাত্র এক বছর। তাই তার ব্যাপারে পিএসজি এখনই নতুন করে সিদ্ধান্ত নিবে না। মেসি যদি ২০২২-২৩ মৌসুমে ভাল করতে পারে তাহলে তার সাথে চুক্তি নবায়নের চিন্তা করা হবে। তবে আসন্ন ট্রান্সফার মার্কেটে যে পিএসজি তোলপাড় করে দেবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
জিনেদিন জিদান শেষ পর্যন্ত পিএসজির কোচ হবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ জিদান অনেক বেশী স্বাধীনচেতা একজন কোচ। পিএসজিতে সেই স্বাধীনতা তিনি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে জিদান পিএসজির কোচ হলে রিয়ালে তিনি হয়ে যাবেন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি। তাছাড়া জিদানের লক্ষ্য ফ্রান্স দলের কোচ হওয়া। যদিও বর্তমান সময়ে ফ্রান্স এবং কাতার সরকার এক হয়েছে এমবাপ্পের ব্যাপারে। তাই হয়তো জাতীয় দলের পরিবর্তে জিদানকে পিএসজির কোচ হতে চাপ দেয়া হতে পারে।
আপাতত এমবাপ্পেকে দলে রেখে দিয়ে পিএসজি জয়ী হলেও ভবিষ্যতে তারা কতটা লাভবান হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেই বলা যায় ইউরোপের ৫ম স্থানীয় লিগে খেলে যতটা সহজে শিরোপা জেতা যায় ইউরোপিয়ান ফুটবলে সাফল্য পাওয়াটা ততটা সহজ নয়। তার প্রমাণ পিএসজি এবং ম্যনসিটি।